মুম্বই: বাজারে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করেই চলেছে দেশের অন্যতম বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান টাটা গোষ্ঠীর একের পর এক সংস্থা। মাত্র কয়েক মাস আগে, স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত হয়েছিল টাটা টেকনোলজিস। আইপিও হারের তুলনায় ১৪০ শতাংশ বেশি প্রিমিয়ামে তালিকাভুক্ত হয়েছিল সংসথাটি। সম্প্রতি, টাটা মোটরস বিভক্ত হওয়ার পর, এই সংস্থার শেয়ারও ১০০০ টাকার গন্ডি অতিক্রম করেছে। এমন অবস্থায় যদি টাটা গোষ্ঠীর হোল্ডিং সংস্থা, টাটা সন্সের আইপিও বাজারে আসে, তাহলে কী হবে একবার ভাবুন তো। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, আইপিও লঞ্চ করার আগেই টাটা সন্সের মার্কেট ভ্যালুয়েশন ৮ লক্ষ কোটি টাকার হতে পারে।
টাটা গোষ্ঠীর প্রায় প্রতিটি সংস্থাতেই টাটা সন্সের শেয়ার রয়েছে। তা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস হোক বা টাটা মোটরস। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কে এক নয়া নিয়ম নিয়ে আসে। যার ফলে, টাটা সন্সকে আইপিও চালু করতে হবে এবং স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত হতে হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, টাটা সন্সকে একটি ‘আপার লেয়ার’ নন-ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্স সংস্থার মর্যাদা দিয়েছে এবং সংস্থাকে ৩ বছরের মধ্যে আইপিও চালু করতে বলেছে। ফলে, আগামী দেড় বছরের মধ্যেই টাটা সন্সের আইপিও আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
টাটা সন্স একটি হোল্ডিং কোম্পানি। টাটা গ্রুপের এমন অনেক সংস্থা, যেখানে এই সংস্থার বিনিয়োগ রয়েছে, ইতিমধ্যেই তাদের মার্কেট ভ্যালুয়েশন ১৬ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। একইভাবে, টাটা সন্স ভবিষ্যতের কথা ভেবে সেমিকন্ডাক্টর, স্ক্র্যাপ এবং ইভি ব্যাটারি শিল্পে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে এর আইপিও লঞ্চ হলে, শেয়ারবাজারে টাকার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, সংস্থাটি বাজারে যদি তার মাত্র ৫ শতাংশ শেয়ারও তালিকাভুক্ত করে, তাহলেও এলআইসি-র ২১,০০০ কোটি টাকার আইপিও-র থেকে বড় হবে টাটা সন্সের আইপিও। ২০২২-এ এলআইসি আইপিও লঞ্চ করেছে। এখনও পর্যন্ত এটিই ভারতের সবথেকে বড় আইপিও।