কলকাতা: তাঁর জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল ‘Scam 1992’ এর মতো সাড়া ফেলে দেওয়া ওয়েব সিরিজ। যাঁরা চিনতেন না, যাঁরা নাম জানতেন না, তাঁরাও জেনে গিয়েছেন দেশের ‘বিখ্যাত’ বলা ভাল ‘কুখ্যাত’ স্টক ব্রোকার হর্ষদ মেহতার নাম। সেই হর্ষদ মেহতাই এক সময় টাকার শেয়ার নিয়ে করেছিলেন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। বলেছিলেন, টাটার যে কোনও শেয়ার কিনে নিন। আজ নয় কাল বড় রিটার্ন দেবে। এখন টাটার একাধিক সংস্থার শেয়ারের দুই দশকের শ্রীবৃদ্ধির দিকে নজর দিলে দেখা যাবে হু হু করে বেড়েছে দাম। তালিকায় যেমন রয়েছে টাটা স্টিল, তেমনই রয়েছে টাটা মোটরস, টাইটান, টিসিএসের মতো সংস্থা।
২০০৬ সালে টাটা স্টিলের একটি শেয়ারের দাম ছিল ৩০ টাকা। বর্তমানে তাই ঘোরাফেরা করছে ১১৭ টাকার আশেপাশে। অর্থাৎ দাম বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। অন্যদিকে একই সময়ে টাটা মোটরসের দাম বেড়েছে প্রায় ৫ গুণ। ২০০৬ সালে যে শেয়ারের দাম ছিল ১২৩ টাকার আশেপাশে। তাই এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪৬ টাকা। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে একটানা বুল রান দেখা গিয়েছে টাইটানের শেয়ারে। প্রায় ৯১ গুণ বেড়েছে টাইটানের শেয়ার। ৩২ টাকা থেকে দাম বেড়ে হয়েছে ৩২৭৭ টাকা। ২০০৬ সালে কেউ যদি টাইটানের শেয়ারে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতেন তাহলে তাহলে তার হাতে থাকত ৩১২৫টি শেয়ার। বর্তমানে যার মোচ বাজারমূল্য ১ কোটি ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার কিছু বেশি।
অন্যদিকে টিসিএসের এক একটি শেয়ারের গাম আবার বেড়েছে ১৬ গুণেরও বেশি। ২০৬ টাকা থেকে দাম বেড়ে হয়েছে ৩৩৫১ টাকা। উর্ধগতি দেখা গিয়েছে টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস, ভোলটাসের শেয়ারেও। দুই দশকেরও কম সময়ে টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টসের শেয়ারের দাম ৯৩ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯১৩ টাকা। অন্যদিকে ভোলটাসের শেয়ারের দাম ১৩ গুণ বেড়ে ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৩৪ টাকা।
বিঃ দ্রঃ – এটি একটি শেয়ার বাজার এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ।