Tesla New Smart Phone: চার্জ-টাচ কিছু লাগবে না, আপনার মাথাই চালাবে টেসলার ফোন? দাম মাত্র ২৫ হাজার
Tesla New Smart Phone: নেই সিম, নেই চার্জ দেওয়ার ঝামেলা, বাজারে আসতে চলেছে নতুন ২৫ হাজারি স্মার্ট ফোন। তাও আবার খোদ টেসলার স্মার্ট ফোন। স্মার্ট ফোন দিয়েই ভবিষ্যতে সংযোগ স্থাপন করা যাবে পৃথিবী-চাঁদ-মঙ্গলের মধ্যেও।
নেই সিম, নেই চার্জ দেওয়ার ঝামেলা, বাজারে আসতে চলেছে নতুন ২৫ হাজারি স্মার্ট ফোন। তাও আবার খোদ টেসলার স্মার্ট ফোন। স্মার্ট ফোন দিয়েই ভবিষ্যতে সংযোগ স্থাপন করা যাবে পৃথিবী-চাঁদ-মঙ্গলের মধ্যেও। কিন্তু সত্যি কি তাই?
কয়েকদিন ধরেই সমাজমাধ্যমে ঘুরে বেড়েচ্ছে একটি ভিডিয়োর নানা টুকরো টুকরো অংশ। স্বয়ংক্রিয় গাড়ির বাজারের সঙ্গে সঙ্গে এবার নাকি মোবাইল ফোনের বাজারেও পা রাখতে চলেছেন ইলন মাস্ক? আইফোন নয় এবার ফোনের মার্কেটে নতুন সেনশেসন হতে পারে ‘পাইফোন’?
কী এই পাইফোন?
পাইফোনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল চার্জিং। আইফোন হোক বা স্মার্ট ফোন, চার্জ দিতে হলে বিদ্যুৎ লাগবেই। তবে নতুন এই স্মার্ট ফোনে আর তার প্রয়োজন নেই। স্বয়ংক্রিয় ভাবেই চার্জ হবে ফোন। কেবল আলো পেলেই হবে। ভাইরাল সেই পোস্টে দাবি সৌর শক্তি থেকে বিদ্যুৎ তৈরির প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে চার্জিং ফেসিলিটি থাকলেও, এই ফোন নাকি সূর্যের আলো ছাড়াও, সাধারণ আলোতে রাখলেও চার্জ হবে।
প্রয়োজন হবে না কোনও ইন্টারনেটেরও। দাবি পাইফোন সরাসরি ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্কের সাথে যুক্ত থাকবে। স্টারলিঙ্কের নিজস্ব একটি বিশ্বব্যাপী কভারেজ নেটওয়ার্ক রয়েছে। আসলে স্টারলিঙ্ক হল স্যাটেলাইট বেস কানেকশন সিস্টেম।
শোনা যাচ্ছে, এই ফোনের মধ্যে থাকবে ব্রেন কানেকটিভিটি চিপ। যার ফলে আপনি যা ভাববেন, আপনার ফোন তা বুঝে সেই অনুযায়ী কাজ করবে। এই ফোন দিয়ে চালানো যাবে টেসলার গাড়িও।
এমনকি এই ফোন দিয়েই নাকি ভবিষ্যতে সংযোগ করা যাবে পৃথিবী-চাঁদ-মঙ্গলের সঙ্গেও। ভাইরাল সেই পোস্টেই দাবি এই ফোনের দাম বেশি নয়, মাত্র ২৫০-৩০০ ডলার। যার দাম ভারতীয় মুদ্রায় হবে প্রায় ২৫,০০০ টাকা মতো। ২০২৫ সালের মধ্যেই নাকি ভারতীয় বাজারে উপলব্ধ হবে সেই ফোন।
কিন্তু প্রশ্ন হল সত্যিই কি এমন এমন ফোন আসতে চলেছে বাজারে?
এই সমন্ধে এখন কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। টেসপা মডেল পাইফোন নিয়ে এখনই নিশ্চিত ভাবে কিছ বলা সম্ভব নয়।
তবে সম্প্রতি টেসলার সিইও ইলন মাস্ক টেসলা মডেল পাইফোনের বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এই বছরের জুন মাসে দুটি আলাদা আলাদা জায়গায় এই ঘটনাকে অস্বীকার করেছেন ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, “আমরা টেসলা ফোন আনছি না।”
আসলে ২০২১ সালে প্রথম একটি ভিডিয়োয় নানা গ্রাফিক্যাল প্রেজেনটেশনের মাধ্যমে এই ফোনটির ধারণা প্রকাশ্যে আসে। মনে করা হচ্ছে, সেই ভিডিয়ো থেকেই পরবর্তীকালে সমাজমাধ্যমে জন্ম নেয় নানা জল্পনা কল্পনার।
২০২৩ সালেও টেসলার ফোন নিয়ে কথা বলেন ইলন মাস্ক। টেসলা ‘টুইটার'(বর্তমানে ‘এক্স’) অধিগ্রহণের পরে প্ল্যাটফর্মটি অ্যাপ স্টোর সংক্রান্ত নানা বিধিনিষেধের সম্মুখীন হয়। তখনই একটি ‘বিকল্প ফোন’-এর কথা শোনা গিয়েছিল টেসলার সিইওর মুখে। যদিও পরে নিজেই সেই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেন।
ইলন মাস্ক টেসলা ফোনের কথা অস্বীকার করলেও, প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের কিন্তু মত ভবিষ্যতে টেসলা সংস্থার স্মার্টফোন আসাটা অস্বাভাবিক কিছুই নয়। মর্গ্যান স্ট্যানলির বিশ্লেষকদের মতে এখন স্মার্ট ফোন দিয়ে গাড়ি আনলক করা, এমনকি চালানো পর্যন্ত যায়। ভবিষ্যতে তাই সেই ফিচার আনতে গেলে টেসলাকেও ফোন তৈরি করতে হতে পারে।
সম্প্রতি, ইলন মাস্ক ওপেনএআই-এর চ্যাট জিপিটি-এর কারণে, এক্স নিরাপত্তা বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এমনকি সেই সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য টেসলা ফোনের লঞ্চ সম্পর্কে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে বর্তমানে এই বিষয়টিকে গুজব বলাই শ্রেয়।