নয়া দিল্লি: সদ্য কেটে গিয়েছে দুর্গা পুজো, এবার সামনেই দীপাবলি ও ভাইফোঁটা। উৎসবের মরশুম মানেই উপহারেরও মরশুম। দীপাবলি বা দিওয়ালিতে আগে অবাঙালিরাই এই উপহারের রীতি থাকলেও, বর্তমানে বাঙালিরাও দীপাবলিতে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গেলে খালি হাতে যান না, সঙ্গে কিছু না কিছু নিয়েই যান। স্বল্প অঙ্কের কোনও উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও কর না লাগলেও, দামি উপহার দিলে তা করের আওতায় চলে আসেন।
দীপাবলি বা দিওয়ালির উপহার স্থাবর, অস্থাবর- দুই-ই হতে পারে। কেউ নগদ টাকা দেন, কেউ আবার দামি দামি উপহার, যেমন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, এমনকি টিভি, গাড়ির মতো উপহারও দেন। যদি কোনও উপহারের দাম ৫০ হাজার টাকার নীচে হয়, তবে তা করের অধীনে আসে না। কিন্তু উপহারের দাম যদি ৫০ হাজারের উপরে হয়, তবে তা করের অধীনে আসে। এছাড়া যদি স্বামী বা স্ত্রী, ভাই, বোন বা অভিভাবক উপহার দেন, তবে তা করের অধীনে আসে না।
যেকোনও উপহারই যদি আপনি বংশপরম্পরায় পান বা কোনও আত্মীয়ের কাছ থেকে পান, বিয়েতে বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে উপহার পান, তবে তা করের অধীনে আসবে না। অস্থাবর সম্পত্তি যেহেতু ট্রাস্টের অধীনে আসে, তবে তাও করমুক্ত হয়। বেশ কয়েক বছর আগেই উপহারের উপর থেকে করের নিয়ম প্রত্য়াহার করে নেওয়া হয়েছে। তবে উপহারের দাম যদি ৫০ হাজারের উপরে হয়, তবে সেক্ষেত্রে তা করের অধীনে চলে আসে। কিন্তু এক্ষেত্রেও নিয়মে ছাড় রয়েছে, যদি বিয়েবাড়িতে স্বামী-স্ত্রী কোনও দামি উপহার পান, তবে তাদের কোনও কর দিতে হয় না। তা সে আত্মীয়রাই দিক বা কোনও বন্ধু-বান্ধব।