নয়া দিল্লি: অনলাইন পেমেন্টের প্রবণতা যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে জালিয়াতিও। আর এই জালিয়াতি রোধ করতে, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে একটি ন্যূনতম সময়ের ব্যবধান আরোপ করার পরিকল্পনা করেছে। এই পরিকল্পনায় অনুযায়ী, প্রথমবার লেনদেনের ক্ষেত্রে যদি কেউ ২,০০০ টাকার বেশি লেনদেন করেন, সেই ক্ষেত্রে তার জন্য অন্তত চার ঘণ্টা সময় লাগবে। এর ফলে, ডিজিটাল পেমেন্ট প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও সময় সাপেক্ষ হবে। কিন্তু, সরকারি কর্তাদের মতে, সাইবার নিরাপত্তা উদ্বেগের মোকাবিলা করাটা আশু প্রয়োজন।
এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হলে এটি, তাৎক্ষণিক অর্থপ্রদান পরিষেবা বা আইএমপিএস (IMPS), রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট বা আরটিজিএস (RTGS), এমনকি ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস বা ইউপিআই (UPI)-এর মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হতে পারে। অ্যাকাউন্ট তৈরির পর প্রথম লেনদেনের ক্ষেত্রে তো এই সময় লাগবেই। এছাড়া, দুই ব্যবহারকারীর মধ্যে প্রথম লেনদেনের ক্ষেত্রেও এই সময় লাগবে।
একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। বর্তমানে, কোনও ব্যবহারকারী নতুন ইউপিআই অ্যাকাউন্ট তৈরির প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সর্বাধিক ৫,০০০ টাকা পাঠাতে পারেন। একইভাবে, ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা এনইএফটি-র (NEFT) ক্ষেত্রে, প্রথম 24 ঘণ্টায় ৫০,০০০ টাকা স্থানান্তর করা যায়। কিন্তু, নয়া পরিকল্পনা অনুসারে, যখন কোনও ব্যবহারকারী প্রথমবার লেনদেন করবেন এবং তা যদি ২,০০০ টাকার উপরে হয়, সেই ক্ষেত্রে চার ঘণ্টা সময় লাগবে সেই অর্থ স্থানান্তর হতে।
একজন পদস্থ সরকারি কর্তা জানিয়েছেন, প্রথমবার কাউকে পেমেন্ট করার পর, সেই পেমেন্টটি রিভার্স অর্থাৎ ফিরিয়ে নেওয়া বা পরিবর্তন করার জন্য গ্রাহকদের চার ঘণ্টা সময় দিতে চাইছে সরকার। প্রাথমিকভাবে, অর্থের পরিমাণ বেঁধে দিতে চায়নি সরকার। কিন্তু, এই বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার মাধ্যমে, সরকার বুঝতে পেরেছে যে, মুদি দোকানের মতো ছোট আকারের লেনদেনের ক্ষেত্রে এই পরিকল্পনা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই, ২,০০০ টাকার নীচে লেনদেনের ক্ষেত্রে এই ৪ ঘণ্টার বিলম্ব আরোপ করা হবে না।