ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্টের আগে ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে সমঝোতা শুরু, ২০৩০ পর্যন্ত ব্যবসা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: Shubhendu Debnath

Jan 13, 2022 | 9:33 PM

Free Trade Agreement: কেন্দ্রীয় বাণিজ্য আর শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রী এনি-মেরি ট্রেভেলিয়নের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দুই দেশের মধ্যে ফ্রি ট্রেড চুক্তি (free trade agreement) লঞ্চ হওয়ার আগে এই দুই নেতার সাক্ষাৎ ঘটে। পীযূষ গোয়েল এই সাক্ষাতের ব্যাপারে একটি টুইট করে জানিয়েছেন।

ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্টের আগে ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে সমঝোতা শুরু, ২০৩০ পর্যন্ত ব্যবসা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য
ফাইল চিত্র

Follow Us

নয়া দিল্লি: ভারত আর ব্রিটেনের মধ্যে বৃহস্পতিবার ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (FTA) সম্পর্কিত আধিকারিক আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারতেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক আর শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল আর তাঁর ব্রিটেনের সমকক্ষ এনি-মেরি ট্রেভেলিয়নের আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা হয়েছে। ভারত-ইউকে জয়েন্ট মিডিয়া স্টেটমেন্টে বলা হয়েছে য়ে দুই দেশই ব্যবসায়িক চুক্তির মাধ্যমে ২০৩০ পর্যন্ত নিজেদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়িয়ে দ্বিগুণ করবে। এফটিএ অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে ভারত আর ব্রিটেনের মধ্যে সমঝোতা আর কথাবার্তা চলবে যার প্রথম দফা শুরু হবে আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে। এরপরের দফার আলোচনা প্রত্যেক পাঁচ সপ্তাহ পর হবে।

ভারত-ইউকে জয়েন্ট স্টেটমেন্টে বলা হয়েছে, এই ব্যবসায়িক সমঝোতা হলে ভারত থেকে ব্রিটেনে চামড়া, টেক্সটাইল, জুয়েলারি আর প্রসেসড কৃষি পণ্যের আমদানি বাড়বে। দুই দেশ যদি ব্যবসায়িক নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেয় আর বাজার পর্যন্ত মাল পৌঁছনো সহজ করে তোলে তাতে পরোক্ষ আর প্রত্যক্ষভাবে রোজগারের বেশকিছু সুযোগ বাড়বে।

পীযূষ গোয়েলের মেরি ট্রেভেলিয়নের সঙ্গে সাক্ষাৎ

এর আগে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য আর শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রী এনি-মেরি ট্রেভেলিয়নের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দুই দেশের মধ্যে ফ্রি ট্রেড চুক্তি (free trade agreement) লঞ্চ হওয়ার আগে এই দুই নেতার সাক্ষাৎ ঘটে। পীযূষ গোয়েল এই সাক্ষাতের ব্যাপারে একটি টুইট করে জানিয়েছেন। গোয়েল জানিয়েছেন, ফ্রি ট্রেড চুক্তি শুরু হওয়ায় ভারত আর ব্রিটেন দুই দেশের ব্যবসা এবং বাণিজ্যে ফায়দা হবে। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ নিজের নিজের ব্যবসায়িক আইনকে সহজ করবে আর কাস্টম ডিউটি কম করবে। দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগকে উৎসাহ দিতে আর পণ্য আর পরিষেবার ব্যবসাকে বাড়াতে এই চুক্তি সম্পন্ন হচ্ছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ব্রিটেন সরকার ভারতের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (FTA) শুরু করার কথা ঘোষণা করেছিল। ব্রিটিশ সরকার এই চুক্তিকে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সুবর্ণ সুযোগ বলে অভিহিত করেছে। এই উপলক্ষে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন ভারতের সঙ্গে এই ব্যবসায়িক সমঝোতাকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে দুই দেশের ব্যবসা এর ফলে নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। জনসন বলেছেন, ভারতের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড সমঝোতায় স্কচ, হুইস্কি, অর্থনৈতিক পরিষেবা আর রিনিউয়াল এনার্জি সম্পর্কিত টেকনোলজির ক্ষেত্রে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হবে।

ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট বা FTA হওয়ার আগে ভার আর ব্রিটেনে বিভিন্ন দফার চুক্তি হচ্ছে আর এর জন্য দুই দেশএর বাণিজ্য মন্ত্রীরা সাক্ষাৎ করছেন। প্রথম দফার সমঝোতা আগামি সপ্তাহে পূর্ণ হওয়ার আশা রয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের বক্তব্য, এই সমঝোতা হওয়ার পরা দুই দেশের মধ্যে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট লঞ্চ করার জন্য আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা শুরু হয়ে যাবেষ

কী বলেছেন বোরিস জনসন

প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন বলেছেন, ভারতের দ্রুতগতির অর্থব্যবস্থার কারণে ব্রিটেনের ব্যবসা, শ্রমিক আর গ্রাহকদের ভীষণই ফায়দা হবে। এক দিকে ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের অংশিদারী লাগাতার নতুন উচ্চতায় পৌঁছচ্ছে এবং অন্যদিকে ব্রিটেনে এক স্বাধীন ব্যবসায়িক নীতির কারণে কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। মানুষের রোজগার-মাইনে বাড়ছে আর নতুন নতুন টেকনিক জায়গা করে নিচ্ছে।

ভারত বিশ্বের তৃতীয় সবচেয়ে বড় অর্থব্যবস্থা

ব্রিটেনের বাণিজ্য মন্ত্রী মেরি ট্রেভেলিন দিল্লিতে বাণিজ্য আর শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আর দুই দেশের সম্পর্কের ব্যাপারে কথা বলেন। এই সাক্ষাতের আগে মেরি বলেন, ২০৫০ পর্যন্ত ভারত বিশ্বের তৃতীয় সবচেয়ে বড় অর্থব্যবস্থা হয়ে উঠবে যেখানে প্রায় ২৫০০ দোকানদার থাকবে। আমরা নিজেদের ব্রিটিশ উৎপাদনকারী আর নির্মাতাদের জন্য খাদ্য আর পেয় থেকে শুরু করে পরিষেবা আর অটোমোটিভ পর্যন্ত বেশকিছু শিল্পে এই বিশাল নতুন বাজারকে খুলতে চাই।

শুল্ক অপসারণের দাবি

ডিআইটির অনুমান অনুযায়ী, একক শুল্ক অপসারণের ফলে ভারতে ইউকের রফতানিতে ৬.৮ লক্ষ জিবিপি পর্যন্ত বৃদ্ধি হবে। স্কচ, হুইস্কি আর গাড়ির উপর বর্তমানে ক্রমশ ১৫০ শতাংশ আর ১২৫ শতাংশের মোটা শুল্কের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ভারতও ব্রোজিক্টের পরে ব্রিটেনের সঙ্গে নতুন ব্যবসায়িক রণনীতি তৈরি করেছে। ব্রিটেন ভারতের ২ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থব্যবস্থা আর ১.৪০ কোটি গ্রাহকের বড় বাজারের সঙ্গে বাণিজ্যিক বাধাগুলি দূর করতে চায়।

আরও পড়ুন: কোভিডের তৃতীয় ঢেউ চিন্তা বাড়ালো স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানিগুলির

Next Article