নয়া দিল্লি: উৎসবের মরশুমের আগেই সুখবর দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিশ্রুতি মতোই ১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে সূচনা হয়েছে ৫জি পরিষেবার। বর্তমানে দিল্লি, বারাণসী, নাগপুর, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, মুম্বই, চেন্নাই এবং শিলিগুড়ি মিলিয়ে ৬টি শহরে এয়ারটেল ৫জি পরিষেবা চালু করেছে। জিয়ো, ভোডাফোন-আইডিয়া সহ অন্যান্য় ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীরাও আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ৫জি পরিষেবা চালু করবে বলে জানিয়েছে। তবে গোটা দেশে কবে থেকে ৫জি পরিষেবা চালু হবে, তা নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণব। তিনি জানালেন, ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ওড়িশার কমপক্ষে ৪টি শহরে পুরোদমে ৫জি পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। আগামী বছরের শেষভাগের মধ্যেই গোটা দেশেই ৫জি পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।
ওড়িশায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণব। সেখানেই রাজ্যে কবে ৫জি পরিষেবা চালু হবে, এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “প্রথম দফায় আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ওড়িশায় ৫জি পরিষেবা চালু হবে। ওড়িশার ৪-৫টি শহরে প্রথমে পরিষেবা চালু হবে। পরে ২০২৩ সালের শেষভাগের মধ্য়ে রাজ্যের ৮০ শতাংশ এলাকাতেই ৫জি পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, সরকারের লক্ষ্য আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই দেশের ২০০টি শহরে ৫জি পরিষেবা চালু করা। এরপরে গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতেও ধীরে ধীরে ৫জি পরিষেবা চালু করা হবে। যদিও এই ২০০টি শহরের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে দেশের ১৩টি শহরে ৫জি পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা ছিল কেন্দ্রের, কিন্তু সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। রিলায়েন্স জিয়োর তরফে দেশের ৪টি শহরে- দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা ও বারাণসীতে ৫জি পরিষেবা চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। চলতি বছরের শেষভাগের মধ্যেই এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। অন্যদিকে, এয়ারটেল সংস্থা ইতিমধ্যেই মুম্বই, বেঙ্গালুরু, গুরুগ্রাম, শিলিগুড়ি, হায়দরাবাদ, দিল্লি, বারাণসী ও চেন্নাইতে ৫জি পরিষেবা চালু করে দিয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি শহরে ৫জি পরিষেবা চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।