নয়া দিল্লি: গত ১০ বছরে দ্রুত এগিয়ে চলেছে ভারতের অর্থনীতি। বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। আরও দুই ধাপ এগিয়ে যাওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি), TV9 নেটওয়ার্কের গ্লোবাল সামিট ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’র মঞ্চে, কীভাবে ভারতের এই বদল ঘটছে, সেই বিষয়ে আলোচনা করলেন মারুতি সুজুকি সংস্থার চেয়ারম্যান আরসি ভার্গব। এই সময়, কীভাবে মারুতি সুজুকি দেশের এক নম্বর অটো কোম্পানি হয়ে উঠল, তাও জানান তিনি। ভার্গব বলেন, যে কোনও সংস্থার সাফল্যের পিছনে মূল অবদান থাকে, সংস্থার কর্মীদের। মারুতিও কর্মীদের জন্যই এক নম্বর হয়ে উঠেছে। সংস্থায় কর্মীদের কাজ করার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়।
সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশ
আরসি ভার্গব বলেছেন, “বরাবরই ভারতের উন্নতির বিশাল সম্ভাবনা ছিল। এই সম্ভাবনার মূলে রয়েছে ভারতীয় জনগণের গুণমান। গোটা বিশ্বের মধ্যে ভারতীয়দের গড় বুদ্ধিমত্তাই সবথেকে বেশি। ভারতীয়রা কঠোর পরিশ্রম করতে পারে, তাদের সহনশীলতা বেশি। সেই সঙ্গে ভারতে উর্বর জমি এবং জলবায়ুর কারণে বছরে তিনবার শস্য হয়। তাই ভারতের বৃদ্ধির জায়গা সবসময়ই ছিল। আগে এটা বাকি বিশ্বের চোখে পড়েনি। কিন্তু, গত কয়েক বছরে বিশ্ব ব্যবস্থায় অনেক বদল এসেছে। ফলে, ভারতীয়রাও তাদের সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশ ঘটানোর দিকে এগিয়ে চলেছে।”
সেরা সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের
তিনি আরও বলেছেন, “গোটা বিশ্বের মধ্যে, ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দিক থেকে সবার আগে রয়েছে ভারত। আর কোনও দেশের এত সম্ভাবনা আমি দেখছি না। অধিকাংশ পশ্চিমী দেশই একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভবিষ্যতে তাদের উন্নতি নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। তারা আরও এগোবে না, পিছোবে, সেই বিষয়ে সংশয় রয়েছে। এই সকল দেশের নাগরিকরা, উন্নতির থেকে এখন বেশি করে ঝুঁকছে বিলাসবহুল জীবনযাপনের দিকে। তারা চায় কোনও কাজ না করেই ভাল জিনিস পেতে।কিন্তু, ভারতের মানুষ এখন শুধু নিজেদের ভবিষ্যৎ উন্নতির কথাই ভাবছে না, তাদের পরিবার, পরবর্তী প্রজন্মের উন্নতির কথাও ভাবছে। আমার মতে, এটা আর কোনও দেশে নেই।”
১৯৮১ সালে মারুতি সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন আরসি ভার্গব। তার আগে, তিনি একজন আইএএস অফিসার হিসাবে কাজ করেছিলেন। জ্বালানি মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব, ভারত সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ে যুগ্ম সচিবের মতো পদে ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে তাঁকে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার, পদ্মভূষণ ভূষিত করা হয়। মারুতিতে তিনি যোগ দিয়েছিলেন বিপণন বিভাগের ডিরেক্টর হিসেবে। তারপর থেকে তিনি সংস্থার বিভিন্ন পদে ছিলেন। ২০০৭ সাল থেকে তিনি সংস্থার চেয়ারম্যান পদে আছেন। বর্তমানে মারুতির মার্কেট ক্যাপ ৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।