2000 Rs Notes: কেন বাজারে আনা হয়েছিল ২০০০ টাকার নোট, ৭ বছর পূর্ণের আগেই কেন প্রত্যাহার?

2000 Rs Notes: নোটবন্দির পর ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসেই বাজারে আনা হয় ২০০০ টাকার নোট। ৭ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই বাজার থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে এই নোট।

2000 Rs Notes: কেন বাজারে আনা হয়েছিল ২০০০ টাকার নোট, ৭ বছর পূর্ণের আগেই কেন প্রত্যাহার?
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 22, 2023 | 6:45 PM

২০১৬ সালেই বাজারে এসেছিল ২০০০ টাকার নোট। সাত বছরের জন্মদিন পালনের আগে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে এই অঙ্কের নোট। গত শুক্রবার ভারতীয় রিজার্ভ ব্য়াঙ্ক ঘোষণা করে, বাজার থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট। আগামিকাল থেকেই শুরু হবে ব্যাঙ্কে এই নোট এক্সচেঞ্জ প্রক্রিয়া। আর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাঙ্কে এই নোট বদল করা যাবে। তবে আরবিআই-র তরফে জানানো হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের পরও এই নোট বৈধ থাকবে। ২০১৬ সালেই এই নোটের যাত্রা শুরু হওয়ার পর ৭ পূর্ণ করার আগেই বাজারে মর্যাদা হারাল এই নোট। কিন্তু নোটবন্দির পর এই নোট কেন আনা হল বাজারে? আচমকা তুলেই বা নেওয়া হল কেন?

বাজারে ২০০০ টাকার নোট আনার কারণ:

৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটবন্দির পর ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে বাজারে নিয়ে আসা হয় ২০০০ টাকার নোট। সেই বছর নভেম্বরে নোট বাতিলের ঘোষণার পর দেশীয় অর্থনীতিতে টাকার প্রয়োজন পড়ে। আর সেই চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য ২০০০ টাকার নোট বাজারে নিয়ে আসা হয়। RBI আইন অনুযায়ীত, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত যে কোনও মূল্যের নোট বাজারে আনতে পারে। সেই আইনের ২৪(১) ধারা অনুযায়ী বাজারে এই ২০০০ টাকার নোট নিয়ে আসে আরবিআই।

২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার কারণ:

২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার কারণ কিছুটা এর আবির্ভাবের কারণের মধ্যেই সুপ্ত রয়েছে। নোটবন্দির সময় দেশীয় অর্থনীতিতে টাকার চাহিদা মেটানোর জন্যই আরবিআই এই নোট ইস্যু করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে টাকার প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়েছে। অন্যান্য মূল্যমানের নোট বহুল সংখ্য়ায় বাজারে এসেছে। ২০০০ টাকা বাজারে আনার উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ হয়েছে বলেই মনে করছে আরবিআই। তাই ২০০০ টাকার নোট ২০১৮-১৯ সাল থেকেই ২০০০ টাকার নোটের ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস আজ জানিয়েছেন, এটা ‘কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের’ অন্তর্গত।

সংখ্যায় কত ২০০০ টাকার নোট?

২০১৭ সালের মার্চ মাসের আগেই বাজারে আসে ২০০০ টাকার নোট। বাজারে আসার ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক জানায়, লেনদেনের ক্ষেত্রে ২০০০ টাকার নোট বহুলভাবে ব্যবহৃত নয়। আরবিআই জানিয়েছে, “এই নোটগুলির মোট মূল্য ২০১৮ সালের ৩১ শে মার্চে ছিল ৬.৭৩ লক্ষ কোটি টাকা। সেখানে থেকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ তা কমে গিয়ে ৩.৬২ লক্ষ কোটিতে নেমে এসেছে।” আর এই নোটের ব্যবহার কমে যাওয়ার কারণে আরবিআই বাজার থেকে এই নোট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।

আরবিআই-র ক্লিন নোট পলিসি:

‘ক্লিন নোট পলিসি’ অনুযায়ী আরবিআই বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ২০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষেই। ২০০০ টাকার নোটগুলির আনুমানিক আয়ু ৪ থেকে ৫ বছর। অর্থাৎ, সেই সময়ে ছাপা নোটগুলি তাদের সম্ভাব্য আয়ুর শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ‘ক্লিন নোট পলিসি’ অনুযায়ী, সেগুলি আর ব্যবহারের উপযুক্ত নয়। এই কারণেও প্রত্যাহার করা হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট।