কলকাতা: একটা স্টক বা একটা শেয়ারের দাম (Share Market Investment) কী হবে সেটা নির্ভর করে চাহিদা ও জোগানের উপর। প্রায়শই দেখা যায় বাজারে কিছু কিছু সবজির দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। চড়চড় করে বাড়ছে দাম। এর পিছনেও কিন্তু থাকে একই গল্প। চাহিদা অনেক বেশি থাকলেও সেই তুলনায় জোগান না থাকাতেই বেড়ে যায় সবজির দাম। একই অঙ্কে শেয়ারের দাম ওঠানামা করে স্টক মার্কেটেও। যখন একটা সংস্থা তাদের শেয়ার একটা নির্দিষ্ট দামে কোট করে তখন তা যদি বিনিয়োগকারীদের পছন্দ হয় তখন তাঁরা তা বেশি বেশি করে কিনতে থাকেন। বেড়ে যায় স্টকটির ডিমান্ড। সম্প্রতি এই ছবি দেখা গিয়েছিল সেনকো গোল্ডের শেয়ারের ক্ষেত্রে। আইপিও বাজারে আসার পর থেকেই সেনকো নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল। লিস্টিংয়ের দিনই বিনিয়োগকারীরা পেয়ে গিয়েছিলেন বড় লাভ।
তবে অনেক সময় আবার এটাও দেখা যায় কোনও সংস্থা তাদের এক একটি শেয়ারের জন্য নির্দিষ্ট দাম ঠিক করলেও বিনিয়োগকারীরা অনেক সময়েই সেই টাকায় শেযার কিনতে রাজি থাকেন না। আবার দাম বেশি না হলে স্টকে থাকা শেয়ার বিক্রি করেন না অনেকে। অপেক্ষা করেন দাম বাড়ার। ধরা যাক, কোনও নির্দিষ্ট সংস্থার শেয়ারের দাম একদিনে ১০টা বেড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, এই স্টকটি যত সংখ্যায় বিক্রি করা হয়েছে তার থেকে বেশি কেনা হয়েছে। যার ফলে স্টকের দাম ১০ টাকা বেড়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে ধরা যাক একটি শেয়ারের দাম আগের দিনের থেকে ৪৯ টাকা কমে গিয়েছে। অর্থাৎ, এই স্টকটি আগের থেকে বেশি বিক্রি হয়েছে। তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যক বিনিয়োগকারী এই স্টকটি কিনেছেন। নিফটি ও সেনসেক্সে একই নিয়ম প্রযোজ্য। নিফটিতে যে কটি সংস্থার লিস্টিং রয়েছে সেগুলির দামের গড় ওঠানামার উপর নিফটির ওঠানামা নির্ভর করে। ধরা যাক, তালিকায় থাকা ৫০ সংস্থার মধ্যে ৪০টি সংস্থার শেয়ার ভ্যালু বেড়েছে, ১০টির কমেছে। তাহলে, মোটের উপর নিফটি বাড়ছে।
বিঃ দ্রঃ – এটি একটি শেয়ার বাজার এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ।