WIPO report 2023: ৩২ শতাংশ বাড়ল ভারতের পেটেন্ট আবেদন, উচ্ছ্বসিত প্রশংসা প্রধানমন্ত্রী মোদীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Nov 08, 2023 | 4:49 PM

WIPO report 2023: এদিন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে 'ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ইন্ডিকেটরে'র ২০২৩ সালের রিপোর্টটি ভাগ করে নিয়ে, প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, "ভারতে পেটেন্টের আবেদনের বৃদ্ধি আমাদের তরুণদের ক্রমবর্ধমান উদ্ভাবনী উদ্দীপনাকে তুলে ধরেছে। ভবিষ্যতের জন্য এটি খুব ইতিবাচক লক্ষণ।"

WIPO report 2023: ৩২ শতাংশ বাড়ল ভারতের পেটেন্ট আবেদন, উচ্ছ্বসিত প্রশংসা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ইন্ডিকেটরে'র ২০২৩ সালের রিপোর্টে ভারতের সাফল্য দেখে ঊচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী মোদী

Follow Us

নয়া দিল্লি: ভারতীয় নাগরিকদের পক্ষ থেকে পেটেন্টের জন্য আবেদনের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ল। পেটেন্টের আবেদনের এই সংখ্যা বৃদ্ধি, ভারতীয় যুবদের ক্রমবর্ধমান উদ্ভাবনী উদ্যোগের পরিচয় এবং দেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক লক্ষণ বলে প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে ‘ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ইন্ডিকেটরে’র ২০২৩ সালের রিপোর্টটি ভাগ করে নিয়ে, প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “ভারতে পেটেন্টের আবেদনের বৃদ্ধি আমাদের তরুণদের ক্রমবর্ধমান উদ্ভাবনী উদ্দীপনাকে তুলে ধরেছে। ভবিষ্যতের জন্য এটি খুব ইতিবাচক লক্ষণ।”

ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ইন্ডিকেটরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে ভারতীয় নাগরিকদের পেটেন্ট আবেদনের সংখ্যা ৩১.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের যে ১০টি দেশ থেকে সবথেকে বেশি পেটেন্টের আবেদন জমা পড়েছে, তার মধ্যে গত ১১ ভারতের পেটেন্টের সংখ্যাই সবথেকে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রেডমার্ক এবং ডিজাইনের জন্য বিশ্বজুড়েই পেটেন্ট জমার সংখ্যা কমেছে। তবে তারপরও, ২০২২ সালে মোট ৩৪ কোটি ৬০ লক্ষ পেটেন্টের আবেদন জমা পড়েছে।

এর মধ্যে সবথেকে বেশি পেটেন্ট জমা পড়েছে চিন থেকে। মোট আবেদনের প্রায় অর্ধেকই চিনা উদ্ভাবকদের। তবে, পেটেন্টের আবেদনের সংখ্যা বৃদ্ধির বার টানা দ্বিতীয় বছরের জন্য কমেছে। ২০২১-এ চিনের পেটেন্ট আবেদনের সংখ্যা বেড়েছিল, আগের বছরের তুলনায় ৬.৮ শতাংশ। ২০২২-এ এই সংখ্যা ৩.১ শতাংশে নেমে এসেছে। চিনের পর যে দেশগুলি সবথেকে বেশি পেটেন্টের আবেদন করেছে, তারা হল – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জার্মানি।


এই রিপোর্ট প্রকাশের সময়, ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ইন্ডিকেটরের ডিরেক্ট, ড্যারেন ট্যাং জানিয়েছেন, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, আন্তর্জাতিক ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। তিনি বলেন, “মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে আইপি ফাইলিংয়ের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের সমস্ত অংশে যেভাবে উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা, উদ্যোগ এবং ডিজিটালাইজেশনের মাত্রা বাড়ছে, তার ফলেই এই বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ক্রমে বৃদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ইঞ্জিনে পরিণত হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলি। উদ্ভাবন এবং সৃজনশীল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে তারা আর্থিক বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে। তবে, বিশ্বের অনেক অংশে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডিং কমে যাওয়ায়, আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন বাস্তুতন্ত্রে উপর তার প্রভাব পড়েছে। আমরা বিনিয়োগকারীদের বলছি, গুণগত মান অনুসরণ করুন। তবে, গোটা বিশ্বের কল্যাণের জন্য যে সমস্ত ভাল ধারণা আসবে, সেগুলি অবহেলা করবেন না।”

Next Article