দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ গ্রামে বসবাস করেন। এবং গ্রামে বসবাসকারী মহিলাদের জন্য উপার্জেনের মাধ্যম খুঁজে বের করা এবং স্বনির্ভর হওয়া যথেষ্ট চ্য়ালেঞ্জিং একটি কাজ। অন্ততপক্ষে শহরে বসবাসকারী মহিলাদের তুলনায় বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের। অনেক সময় খুব অল্প বয়সেই পড়াশোনা বন্ধ করে তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। ফলে তারা নিজেদের কেরিয়ার গড় তোলার জন্য উপযুক্ত করে তোলে না। অবশ্যই এর ব্যতিক্রমও রয়েছে। এছাড়াও কিছু রক্ষণশীল পুরনো মানসিকতার কারণে অনেক সময় গ্রামের মেয়েদের বাড়ির বাইরে পা রাখতে দেওয়া হয় না। তবে গ্রামের মহিলারা এই সব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বেশ কিছু দিক দিয়ে নিজেদের সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। কোন কোন উপায়ে কেরিয়ার গড়তে পারেন তাঁরা?
বিউটি পার্লার:
একটি ছোটোখাটো বিউটি পার্লার খুলতে বিপুল টাকার প্রয়োজন হয় না। এবং খুব বড় কিছু ট্রেনিংয়েরও দরকার পড়ে না। ফলে গ্রামাঞ্চলের মেয়েরা এই কেরিয়ার অপশনের কথা ভেবে দেখতেই পারেন। তবে শুধু একটা বিউটিশিয়ান কোর্স করে নিতে হবে তাঁদের। তবে এতে অন্যান্য প্রফেশনাল কোর্সের থেকে খরচটা অনেকটাই কম।
বুটিক:
অনেক মেয়ে ও মহিলারা রয়েছেন যাঁরা হাতের কাজে পটু। তাঁরা বাড়ির মধ্যেই ছোট্ট জায়গা করে বুটিক খুলে ফেলতে পারেন। এতে আপনার পকেটে টাকাও আসবে, পাশাপাশি হাতের কাজের মাধ্যমে আপনি নিজের প্রতিভা তুলে ধরতে পারবেন।
স্কুল শিক্ষিকা:
স্কুল শিক্ষিকা হওয়াও একটা ভাল অপশন। গ্রামের স্কুলে শিক্ষিকার জন্য আবেদন করতে পারেন যেকোনও শিক্ষিতা মহিলা। বি.এড করে এই লাইনে অনায়াসেই কেরিয়ার গড়ে তোলা যায়।
অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কার:
যেসব মহিলারা দশম শ্রেণি পাস করেছেন তাঁরা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসেবে কাজ করতে পারেন। সরকারি এই স্কিমের আওতায় গ্রামের শিশু ও মহিলাদের উন্নতি ও বিকাশে সহায়তা করা হয়। গ্রামের মহিলারা এই লাইনে কেরিয়া গড়ে তুলতে পারেন। এর মাধ্যমে উপার্জনের পাশাপাশি সমাজে তাঁদের অবদানও থাকে। পাশাপাশি তাঁরা চারপাশের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে পারেন।
অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজ়ার:
অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজার হওয়ার জন্য মহিলাদের কলা বিভাগে ৬০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাস করতে হবে। কারণ এটি একটি সরকারি চাকরি। ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মহিলারা এই পদের জন্য আবেদন করতে পারেন। এর জন্য পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ দিতে হয়।