কলকাতা : কোন ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে, গ্রুপ ডি মামলায় এবার সেই তালিকা চাইল হাই কোর্ট। আদালতে মঙ্গলবারের শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে সেই তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বন্ধ খামে সেই নথি জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর যে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল, তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত-র ডিভিশন বেঞ্চে চলছে শুনানি। কার সুপারিশে এই নিয়োগ হল, তা নিয়ে এ দিন কার্যত বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। অনুসন্ধান কমিটির কাছে নথি চাওয়া হয়েছে এ দিন।
আদালতে ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ভুয়ো নিয়োগের সুপারিশপত্র। তার সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চের তৈরি করে দেওয়া বাগ কমিটির কাছে থাকা নথি মিলিয়ে দেখতে চায় ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী বৃহস্পতিবার কমিটির কোনও প্রতিনিধি তাঁদের কাছে জমা পড়া নিয়োগ সুপারিশপত্রের কিছু নমুনা মুখবন্ধ খামে জমা দেবেন আদালতে। এ দিন নিয়োগ সুপারিশপত্র দেখে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন বলেন, ‘এতদিন এই মামলায় আমি এই নথিই দেখতে চাইছিলাম।’
গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ৫৭৩ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিল। পরে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ হয়ে যায়। দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে কমিটিকে আরও চার মাস সময় দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।
এ ছাড়া, গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি অনুসন্ধানের জন্য় বিচারপতি রঞ্জনকুমার বাগের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান কমিটি তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। তাদের ওপরই দায়িত্ব পড়েছিল এসএসসি-র গ্রুপ ডি নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করার। কিন্তু কোনও রিপোর্ট না পাওয়ায় সেই কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১৬ সালে রাজ্যে গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। তার ভিত্তিতে ১৩ হাজার নিয়োগও হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে সেই গ্রুপ ডি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু তারপরও একাধিক নিয়োগ হয় বলে অভিযোগ ওঠে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও কেন নিয়োগ হল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ৫৭৩ জনের উপরে ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ ওঠে। বিচারপতি অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওই ৫৭৩ জনের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেয়।পাশাপাশি এতদিন যে বেতন তাঁরা পেয়েছেন, তা ফেরানোর কথাও বলা হয়।
আরও পড়ুন : Madhyamik and HS Exam: সময় মতোই মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক! স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রে লাগাতে হবে সিসিটিভি