Work-Life Balance: শিফ্টের সময় থেকে এক মিনিটও বেশি কাজ করা যাবে না, বন্ধ হয়ে যাবে কম্পিউটার! চাকরি করবেন এই সংস্থায়?
Madhya Pradesh: এক কর্মী নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করে তাঁর সংস্থার এই নিয়মের কথা জানিয়েছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, ওই কর্মী তাঁর ডেস্কে বসে রয়েছেন, তাঁর সামনে রাখা কম্পিউটারের স্ক্রিনে 'ওয়ার্নিং' মেসেজ দেখা যাচ্ছে।
ভোপাল: বর্তমানের ব্যস্ত জীবনে অন্যতম চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে কর্ম ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য। অধিকাংশ কর্মীদেরই অফিসে কাজের চাপ এতটাই বেশি যে তাদের ব্যক্তিগত জীবন বলে আর কিছু থাকছে না। করোনাকালে গৃহবন্দি থেকে সাধারণ মানুষ ব্যক্তিগত সময়ের প্রয়োজন কতটা, সেই বিষয়টি আরও বেশি করে অনুভব করেছেন। তবে শুধু কর্মচারীরাই নয়, একাধিক সংস্থাও কর্ম-ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্যকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। এমনই একটি সংস্থা হল সফ্টগ্রিড কম্পিউটার। এই তথ্য প্রযুক্তির সংস্থা তৈরি করেছে নতুন একটি নিয়ম। কর্মীদের নির্ধারিত সময়ের পরই আপনা-আপনি কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাবে, এমনটাই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর্মীরা যাতে অতিরিক্ত সময় অফিসে ব্যয় না করেন, তার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই সংস্থার নিয়ম।
মধ্য প্রদেশের ইন্দোরের সফ্টগ্রিড সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের এক কর্মী নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করে তাঁর সংস্থার এই নিয়মের কথা জানিয়েছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, ওই কর্মী তাঁর ডেস্কে বসে রয়েছেন, তাঁর সামনে রাখা কম্পিউটারের স্ক্রিনে ‘ওয়ার্নিং’ মেসেজ দেখা যাচ্ছে। ওই ওয়ার্নিং মেসেজে লেখা, “আপনার শিফটের সময় শেষ। অফিসের সিস্টেম আগামী ১০ মিনিটের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। প্লিজ বাড়ি যান।”
তানভি খান্ডেনওয়াল নামক ওই কর্মী জানান, সংস্থায় কাজের সময়ে সুবিধা মতো ঠিক করা এবং হাসি-খুশি একটি কর্ম পরিবেশ তৈরির জন্যই এই নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “যদি আপনারা এই ধরনের সংস্কৃতিতে কাজ করেন, তবে আপনাদের মনডে মোটিভেশন বা ফান ফ্রাইডের প্রয়োজন পড়বে না নিজের মন ভাল করতে এবং কাজে মন বসাতে।”
লিঙ্কডইনের এই পোস্ট প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষেরও বেশি লাইক পেলেও সংস্থার এই নিয়ম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে। বেশ কয়েকজন যেমন সংস্থার এই নিয়মকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, তেমনই অনেকে আবার সমালোচনা করে বলেছেন, এই নিয়মে পরোক্ষভাবে কর্মীদের উপর চাপই সৃষ্টি করা হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার।