চন্দননগর: কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ষীয়ান নেতা। এখন দলে গুরুত্ব পাচ্ছেন না। তৃণমূলের অন্তর্দন্দ্ব প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। শুক্রবার চন্দননগর পুরনিগমের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শিপ্রা ঘোষের সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন বারাকপুরের সাংসদ। আর সেখানে গিয়েই তৃণমূলের অন্দরের সাম্প্রতিক বিতর্ক প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি।
এ দিন অর্জুন সিং বলেন, ‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা সিনিয়র লিডার।’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘এখন যাঁরা তরুণ তুর্কি হয়েছেন, কয়লা -গরু পাচার, এ সব নিয়ে থাকেন, তাই এই নেতাদের কেউ গুরুত্ব দেন না। উনি হতাশায় রয়েছেন। খুব শীঘ্রই হয়ত তাঁকে বের করে দেবে।’ নিজে একসময় তৃণমূল করেছেন। সেই অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে অর্জুন সিং জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ব্যক্তিগত সমস্যা রয়েছে।
এ দিকে, পুর নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া যায় কি না, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সে ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা করার কথা বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে আদালত। সেই প্রসঙ্গে অর্জুন সিং বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সেই ক্ষমতা আছে। তবে নবান্ন থেকে নির্দেশ এলে তবেই তো করবে। কমিশন তো পুতুল। লোককে হাঁটতে দেবে না, প্রচার করতে দেবে না, মাইক বাজাতে দেবে না, আর বলছে ভোট কর। এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আমি দেখিনি। আগামী দিনেও দেখব কি না জানি না।’
শুক্রবার চন্দননগরে তৃণমূল নির্বাচনি ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। সেখানে প্রত্যেক বাড়িতে জল-বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সে প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১২ সালে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন নাইনটি পারসেন্ট কাজ করে দিয়েছি। এই নাইনটি পারসেন্ট আর কতদিন চলবে।’
বিজেপি সাংসদ মনে করিয়ে দেন, গত পুর বোর্ড পাঁচ বছর চালাতে পারেনি তৃণমূল। দু বছর পরই ভেঙে গিয়েছিল। এবারও তাই হবে।
আরও পড়ুন : Mukul Roy: দল বদলাননি মুকুল, একই যুক্তিতে অনঢ় আইনজীবীরা; বুধে পরবর্তী শুনানি
উল্লেখ্য, বছর তিনেক বছর আগে চন্দননগরে পুরবোর্ড ভেঙে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তার পরে নির্বাচিত বোর্ড ছাড়াই পুরসভা চলছিল। ২০১৮ সালের অগস্টে পুরবোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য সরকার পুর-কমিশনার স্বপন কুণ্ডুকে পুরসভা পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিল। পরে, ভেঙে দেওয়া সেই পুর বোর্ডের মেয়র রাম চক্রবর্তী এবং একাধিক মেয়র-পারিষদকে নিয়ে পুরসভা পরিচালনার কমিটি গঠন করা হয়। রাম চক্রবর্তীই হন পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন : Covid Bulletin: উত্তর ২৪ পরগনায় বাড়ছে সংক্রমণ! একদিনের মৃত্যুতে কলকাতাকে টেক্কা!