নয়া দিল্লি : ফেব্রুয়ারিতেই উত্তর প্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (5 State Assembly Elections)। শনিবার নির্বাচন কমিশন সেই নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিয়েছে। ভোটের প্রস্তুতি অবশ্য আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছিল প্রতিটি শিবির, এবার তাতে আরও শান দিতে শুরু করে দিয়েছে পদ্ম শিবির। এবারের পাঁচ রাজ্যের ভোটে বিজেপি (BJP) ডিজিটাল যুদ্ধের রণকৌশলও তৈরি করে ফেলেছে। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (BJP IT Cell Chief Amit Malviya) বলেছেন, যে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং এটি আমাদের জন্য কোনও নতুন পরীক্ষা নয়। অতীতে বহু নির্বাচনে ডিজিটাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে বিজেপি জিতে এসেছে। বিজেপি ইতিমধ্যে জাতীয় স্তর থেকে রাজ্য স্তর এবং নেতৃত্ব থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত, সব দিক থেকে ডিজিটাল লড়াইযের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই সব ডিজিটাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার জন্য ইতিমধ্যেই সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
শুধু উত্তর প্রদেশই বিজেপির আইটি সেলের সঙ্গে যুক্ত ১৫ হাজারেরও বেশি আইটি সেলের কর্মী রয়েছে। একটি গোটা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বললেও ভুল বলা হয় না। আর এই আইটি সেলের প্রত্যেক কর্মীকে অনেক আগে থেকেই ডিজিটাল মাধ্যমে নির্বাচনী লড়াইয়ের জন্য প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই উত্তর প্রদেশ সহ সমস্ত ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে আইটি সেলের তিন স্তরে বৈঠক করেছিল বিজেপি। রাজ্য, জেলা ও অঞ্চল স্তর পর্যন্ত পৃথক পৃথক এই বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকগুলি থেকেই তৈরি হয়েছে দলের ডিজিটাল রণকৌশল। আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের মতে, ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে সাড়ে ছয় লাখেরও বেশি দলীয় কর্মী ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারে সিদ্ধহস্ত। এই সব কর্মীরা গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রচারের কাজে যুক্ত রয়েছেন।
ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে দিল্লি এবং লখনউতে ভার্চুয়াল নির্বাচনী প্রচারের জায়গাগুলি তৈরি রাখার কাজ শুরু করে দিয়েছে। সেখান থেকে দলের বর্ষীয়ান নেতারা বক্তৃতা দেবেন এবং ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে তা সরাসরি পৌঁছে যাবে আমজনতার কাছে। এক হাইটেক কর্মযজ্ঞ, যা সরাসরি স্যাটেলাইটের সঙ্গে যুক্ত থাকবে এবং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এর সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। উদাহরণস্বরূপ, প্রধানমন্ত্রী এক জায়গা থেকে বক্তৃতা দেবেন এবং তা এলইডি স্ক্রিন এবং ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে উত্তর প্রদেশ জুড়ে একই সময়ে সবাই দেখতে পারবেন।
উত্তর প্রদেশে বিজেপি ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়েছে যে দলের সমস্ত কর্মসূচি অর্থাৎ নির্বাচনী সভা, দলের বিধায়ক, সাংসদ এবং দলের অন্যান্য নেতাদের ফেসবুক এবং টুইটার পেজের মাধ্যমে লাইভ শেয়ার করা হবে। শুধু তাই নয়, দলের ১৫ হাজারের বেশি আইটি সেলের কর্মীও এটিকে লাইভ করবেন। সূত্রের খবর, বিজেপি এক লাখেরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে আম জনতার আরও কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি।
অমিত মালব্য অবশ্য বেশ আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেছেন, “এটি আমাদের জন্য নতুন বিষয় নয়। এর আগেও আমরা বিহার, বাংলার মতো রাজ্যে পরীক্ষা করেছি। আমাদের কাছে একেবারে নিচুতলার মানুষের কাছে পৌঁছানোর সমস্ত উপায় রয়েছে। ব্লক ও বুথ স্তর পর্যন্ত আমাদের কর্মীরা এই কাজে পারদর্শী।”
আরও পড়ুন: Amit Shah: ‘সেই দলকেই সরকারে আনুন, যে…’, কী বার্তা দিলেন অমিত শাহ ?