মুম্বই: মহারাষ্ট্রে গেরুয়া ঝড়। সকালে বিধানসভা নির্বাচনের গণনা শুরু হতেই তড়তড়িয়ে এগিয়ে গিয়েছে মহাযুতি। সকাল ৯টার মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক পার করেছিল বিজেপি-শিবসেনা-এনসিপি জোটের। বেলা ১১টায় দুই-তৃতীয়াংশ আসনেই এগিয়ে মহাযুতি। আর জয় প্রায় নিশ্চিত হতেই, দলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে কে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে। দাবি উঠছে, একনাথ শিন্ডে নয়, মুখ্যমন্ত্রী করা হোক দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে।
২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল শিবসেনা। সরকার গড়ার দিন কয়েক পরই সেই জোট ভেঙে যায়। কংগ্রেস, এনসিপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৈরি হয় মহা বিকাশ আগাড়ি জোট। সেই জোটই সরকার চালাচ্ছিল। কিন্তু ২০২২ সালে শিবসেনায় ভাঙন ধরান একনাথ শিন্ডে। ৪০ বিধায়ককে নিয়ে অসম, গোয়া ঘুরে মহারাষ্ট্রে এসে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন। মুখ্যমন্ত্রী হন একনাথ শিন্ডে। এই নতুন জোটের নেপথ্যে থাকা কারিগর দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয়।
শিবসেনার ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই একই পরিণতি হয় এনসিপির। কাকা শরদ পওয়ারের ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে অজিত পওয়ারও একইভাবে বিজেপির সঙ্গেই হাত মেলান। তাঁকেও উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়।
একজন মুখ্যমন্ত্রী, দুইজন উপমুখ্যমন্ত্রী হলেও, ভোটের আসল কারিগর কিন্তু দেবেন্দ্র ফড়ণবীসই, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। বিজেপিও দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চায়। ভোটের আগেও এই দাবি শোনা গিয়েছিল। এবার বিধানসভা নির্বাচনের গণনা শুরু হতেই আবার ফড়ণবীসকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি উঠে আসছে।
মহাযুতিতে ভোটের হারে এগিয়ে বিজেপিই। সকাল সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত গণনা অনুযায়ী, ৭২টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। একনাথ শিন্ডের শিবসেনা ৫৩ আসনে এগিয়ে। অজিত পওয়ারের এনসিপি ১০ আসনে এগিয়ে। জোটের মধ্যে বিজেপিই এগিয়ে থাকায় দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দাবি আরও জোরাল হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী কে হন, তা জানা যাবে সরকার গঠনের পরই।