রাঁচী: রাত পোহালেই ভোটের ফল। অগ্নিপরীক্ষার মুখে ঝাড়খণ্ড। কে সরকার গড়বে, তা জানা যাবে শনিবার, ২৩ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর। বুথ ফেরত সমীক্ষা ইঙ্গিত দিচ্ছে এবার ঝাড়খণ্ডে পালাবদলের। ক্ষমতায় আসতে পারে বিজেপি শাসিত এনডিএ সরকার। তবে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে কিন্তু বুথফেরত সমীক্ষার সঙ্গে আকাশ-পাতাল ফারাক ছিল। তাই স্ট্রং রুম থেকে রেজাল্ট বেরনো পর্যন্তই অপেক্ষা করছেন ঝাড়খণ্ডের শাসক-বিরোধী নেতারা।
ঝাড়খণ্ডে মোট ৮১টি বিধানসভা আসন রয়েছে, সরকার গঠন করতে প্রয়োজন ৪২টি আসনে জয়। ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেসের জোট জয়ী হয়েছিল। তবে এবার নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে দুর্নীতি ইস্যু ও হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারি।
চলতি বছরের গোড়াতেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। গ্রেফতারির আগে তিনি চম্পাই সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসিয়ে গিয়েছিলেন। জামিন পেতেই নিজের পদ ফিরিয়ে নেন হেমন্ত। আর অপমানে জেএমএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন চম্পাই সোরেন। এবারের নির্বাচনে মুখোমুখি লড়াই তাঁদের।
অন্যদিকে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশও বড় ইস্যু ঝাড়খণ্ডের ভোটে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির শীর্ষ নেতারা বারেবারে এই ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছেন এবং আক্রমণ করেছেন।
এবার ঝাড়খণ্ডে ভোটের হার বেড়েছে। প্রায় ৪ শতাংশ ভোট বেড়েছে । সাধারণত, ভোটের শতাংশ বাড়লে তা সরকারের বিরুদ্ধে রায় বলেই বিবেচনা করা হয়, তবে এবার ঝাড়খণ্ডে ৬৮টি আসনে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি ভোট দিয়েছেন। তারা নতুন ভোট ব্যাঙ্কে পরিণত হয়েছেন। এই ভোট কাদের দিকে যায়, তাই দেখার।