Mamata Banerjee: ‘একদিনে বাদ দেব’, হঠাৎ কেন নেতাদের কড়া বার্তা মমতার?
Mamata Banerjee in Bankura: এসআইআর প্রক্রিয়ায় মানুষকে সাহায্য় করার বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, "মানুষ যখন বিপদে পড়ে, তখন মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হয়। এটা মানুষের জন্য যুদ্ধ। গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ। গোলাগুলির যুদ্ধ নয়। ভোটাধিকারের জন্য লড়াই। এই লড়াইয়ে পাশে থাকতে হবে।"

বাঁকুড়া: আর মাস চারেক পরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর এখন চলছে এসআইআর প্রক্রিয়া। এই আবহে ২ দিন আগেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেতাদের আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। বসে থাকা চলবে না জানিয়ে দিয়েছিলেন। আর ২ দিন পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেতাদের কড়া বার্তা দিয়ে জানিয়ে দিলেন, তিনি ঔদ্ধত্য সহ্য করবেন না। একদিনে বাদ দিয়ে দেবেন।
মঙ্গলবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় তৃণমূল সুপ্রিমো জনসভা করেন। সেখানে মঞ্চের নেতাদের দিকে তাকিয়ে মমতা বলেন, “আমি পরিষ্কার করে এখানকার সভাপতি, চেয়ারম্যান-সহ সকলকে বলছি, কেউ যদি কোনও ইগো করেন, আমি একদিনে বাদ দেব। সে যেই হোক। আমি কোনওরকম অহঙ্কার সহ্য করব না। কোনও ঔদ্ধত্য সহ্য করব না।”
এসআইআর প্রক্রিয়ায় মানুষকে সাহায্য় করার বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, “মানুষ যখন বিপদে পড়ে, তখন মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হয়। এটা মানুষের জন্য যুদ্ধ। গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ। গোলাগুলির যুদ্ধ নয়। ভোটাধিকারের জন্য লড়াই। এই লড়াইয়ে পাশে থাকতে হবে। এবং সবার নাম তুলতে হবে। এবং যে না তুলবেন, দয়া করে আগামিদিন তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস করতে হবে না। যান গিয়ে অন্য দল করুন। তৃণমূল কংগ্রেস করতে হবে না। তৃণমূল কংগ্রেস করার প্রয়োজন নেই।”
২ দিন আগে বিএলএ-দের সঙ্গে বৈঠকে অভিষেকও দলের নেতাদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “যে পৌরসভার চেয়ারম্যান মানুষের পাশে থাকবেন না, তাঁর পদে থাকার অধিকার নেই। যে পঞ্চায়েত প্রধান মানুষের পাশে দাঁড়াবেন না, তাঁর পদে থাকার অধিকার নেই।” দলের নেতাদের সতর্কবার্তা দিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, “সবার উপর দলের নজর রয়েছে। আপনি ভাল কাজ করলে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে চিহ্নিত করে মাথার উপর বসানো হবে।” কাউন্সিলরদের উদ্দেশে অভিষেক বার্তা দিয়েছিলেন, “যদি মনে করেন আমার ভোট নয়। ফলে উদ্যোগ নেব না। এটা হবে না।” একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, ভোট পর্যন্ত কোনও পিকনিক নয়। এদিন মমতাও জানিয়ে দেন, ভোট পর্যন্ত কোনও পিকনিক নয়।
