Bangladesh Attack on Minority: ‘দাদা গুলি করে দিই?’, খেলতে খেলতে হিন্দু হত্যা বাংলাদেশে
Bangladesh Update: কথা বলতে বলতেই শটগান থেকে গুলি চালানো হয়। মৃত্যু হয় যুবকের। ইতিমধ্য়েই অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, দিপু দাসের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিলেন বজেন্দ্র। তারপরই তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা: বাংলাদেশে আবারও হিন্দু হত্যা। আবারও ময়মনসিংহেই প্রাণ হারাল হিন্দু। সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ‘সুলতানা সোয়েটার্স লিমিটেড’ কারখানায় এই ঘটনা ঘটে। খেলাচ্ছলে হত্যা করা হয় বজেন্দ্র বিশ্বাসকে। কথা বলতে বলতেই শটগান থেকে গুলি চালানো হয়। মৃত্যু হয় যুবকের। ইতিমধ্য়েই অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, দিপু দাসের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিলেন বজেন্দ্র। তারপরই তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, বজেন্দ্র ও নোমান মিয়া -দুইজনেই আনসার সদস্য। সোয়েটার কারখানায় কাজ করতেন তারা। ঘটনার সময় বজেন্দ্র ও নোমান মিয়া একসঙ্গে বসেছিলেন। সময় টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মজার ছলে নোমান নিজের শটগান বের করেন এবং বজেন্দ্রকে তাঁক করে বলেন, ‘দাদা গুলি করে দিই?’। এরপরই আচমকা গুলি চলে। বজেন্দ্রর বাম উরু (থাই)-তে গুলি লাগে।
তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় সহকর্মীরা ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনা নিয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত নোমান মিয়াকে আটক করা হয়েছে এবং ঘটনায় ব্যবহৃত সরকারি আগ্নেয়াস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
তবে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি দিপু দাসকে খুন করার ঘটনায় প্রতিবাদ করেছিল বজেন্দ্র। তখন দু’জন রাতের অন্ধকারে তাঁকে হুমকি দিয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার ফলশ্রুতি হিসেবে ওই যুবককে খুন করা হল বলে দাবি পরিবারের। অন্যদিকে, স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত নোমান সম্প্রতি হিন্দুদের পুজো করতে না দেওয়ার দাবিতে যে মিছিল বেরিয়েছিল, তাতে একাধিকবার অংশ নিয়েছিল।
