Khaleda Zia: জলপাইগুড়িতে এই বাড়িতেই জন্ম খালেদা জিয়ার! কেন চলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে?
Khaleda Zia Bengal Connection: খালেদার আদি বাড়ির এক অংশে এখন থাকেন চক্রবর্তী ও গোপ পরিবার। সবটা মিলিয়েই ছিল খালেদাদের বাড়ি। বর্তমানে খালেদা জিয়াদের জলপাইগুড়ির বাগান বাড়ির একটা অংশ কিনে নিয়ে বাড়ি বানিয়েছে গোপ পরিবার। ওই পরিবারের দুই সদস্য ঝর্না গোপ এবং নীলকন্ঠ গোপও এখন খালেদা জিয়ার স্মৃতিচারণা করছেন।

জলপাইগুড়ি: উত্থান-পতন, টানাপোড়েন, বিতর্ক সবকিছুই পাক খেয়ে তাঁকে ঘিরে। দু’দফায় হয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনিই ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। সে দেশে ভোটের মাত্র কয়েক দিন আগে চলে গেলেন খালেদা জিয়া। প্রিয়জনরা ডাকতেন পুতুল বলে। জানেন এই পুতুলের জন্মের সঙ্গে রয়েছে এপার বাংলার যোগ। জলপাইগুড়িতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন খালেদা জিয়া। জলপাইগুড়ি পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের নয়াবস্তি পাড়ায় থাকা শতাব্দী প্রাচীন ফ্রেন্ডস ব্যাপটিস্ট চার্চের ঠিক পাশের গলিতে ছিল তাঁদের বাগান বাড়ি। নয়াবস্তি পাড়ায় কেটেছিল খালেদার শৈশবের বেশ কয়েকটা বছর।
শহরের প্রবীণ ব্যাক্তি ও ইতিহাসবিদের থেকে পাওয়া তথ্য় বলছে, ছোটবেলায় জলপাইগুড়িতেই স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা। জলপাইগুড়ির সাহিত্যিক ও লেখক প্রয়াত কামাখ্যা চক্রবর্তীর বিখ্যাত বই ‘সেকালের জলপাইগুড়ি শহর এবং সামাজিক জীবনের কিছু কথা’ থেকে উঠে আসা তথ্য বলছে দেশভাগের পর খালেদার পরিবার এখানের মুখার্জি পরিবারের সঙ্গে সম্পত্তি বিনিময় করে ওপারে চলে যায়। খালেদার মৃত্যুতে এখন শোকের ছায়া জলপাইগুড়ির নয়াবস্তিতেও।
খালেদার আদি বাড়ির এক অংশে এখন থাকেন চক্রবর্তী ও গোপ পরিবার। সবটা মিলিয়েই ছিল খালেদাদের বাড়ি। বর্তমানে খালেদা জিয়াদের জলপাইগুড়ির বাগান বাড়ির একটা অংশ কিনে নিয়ে বাড়ি বানিয়েছে গোপ পরিবার। ওই পরিবারের দুই সদস্য ঝর্না গোপ এবং নীলকন্ঠ গোপও এখন খালেদা জিয়ার স্মৃতিচারণা করছেন। দু’জনেই গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ঠিক উল্টোদিকে বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক ভোলা মণ্ডলের। DSA সচিব ভোলা মন্ডলের দাবি, তাঁর মায়ের কোলে-পিঠে বড় হয়েছেন খালেদা। অত্যন্ত সুন্দরী ছিলেন তিনি। গত বছর পর্যন্ত খালেদার আত্মীয়রা এসে এই ভিটে দেখে গিয়েছেন।
ইতিহাসবিদ ডক্টর আনন্দ গোপাল ঘোষ বলছেন, খালেদার বাবা ইসকিন্দার মিঁঞা চায়ের ব্যবসার সূত্রে নোয়াখালি থেকে জলপাইগুড়ি আসেন। ১৯৫০ সালের পর খালেদার পরিবার জলপাইগুড়ি ছেড়ে চলে যায়। অন্যদিকে বিখ্যাত ফুটবলার ফজলার রহমানের ছেলে পুটু রহমান বলছেন, তাঁর বাবার সঙ্গেও খালেদার পরিবারের খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। খালেদার বাবা চাকরি সূত্রে জলপাইগুড়ি এসেছিলেন। পরে চাকরি ছেড়ে চায়ের ব্যবসায় যুক্ত হন। খালেদা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে তিনি ওপার বাংলাতেও গিয়েছিলেন।
