কলকাতা : নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ের ফলটা যেমন আশা করেছিলেন ততটা হয়নি। কিন্তু হাল ছাড়ছেন না বঙ্গ বিজেপির নেতারা। ছোট লালবাড়ির লড়াইয়ে নতুন উদ্যমে নেমে পড়েছেন তাঁরা। আজ আসন্ন পৌরভোটের গেরুয়া শিবিরের ইস্তাহারও প্রকাশিত হয়েছে। রয়েছে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি। স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে শুরু করে স্বচ্ছতা, শিক্ষা এবং সংস্কৃতির উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে পদ্ম-ইস্তাহারে।
আজ ইস্তাহার প্রকাশের সময় শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, কলকাতাতে স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় গ্রিন সিটি,স্মার্ট সিটির রূপ দিতে চায় বঙ্গ বিজেপি। তিনি আরও জানিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বাধীন এক দল এই ঘোষণাপত্র তৈরি করেছে।
আগামী দিনে স্বচ্ছ ভারত ২.০-র আওতায় কলকাতাকে পরিচ্ছন্ন শহরের তালিকায় শীর্ষস্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীরা। ইস্তাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, শহরের প্রতিটি বাড়িতে যাতে শৌচাগার থাকে তা নিশ্চিত করা হবে এবং শহরে সর্বজনীন শৌচাগারের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে। এর পাশাপাশি কলকাতায় কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুরু করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিজেপির ইস্তাহারে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে ধাপার মাঠ পরিষ্কার করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপরেও। নাগরিকদের সর্বোত্তম স্বাস্থ্য পরিষেবার অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। শহরের দূষণ মোকাবিলায় ১০ টি স্মগ টাওয়ার বসানো এবং ভুয়ো ভ্যাকসিন চক্রের হাত থেকে নাগরিকদের বাঁচাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণের কথা বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি ডেঙ্গি ও ম্য়ালেরিয়া নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে পদ্ম-ইস্তাহারে।
আজ ইস্তাহার প্রকাশের পর শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নির্বাচন নিয়ে আমাদের বক্তব্য জানিয়েছি। দখলদারির রাজনীতি অন্যতম উদাহরন রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার। ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের মধ্যে আমরা ১৪৪ প্রার্থী দিয়েছি। কলকাতায় এই অবস্থা হলে গ্রামে কী অবস্থা বোঝাই যাচ্ছে। এর মধ্যে আমরা নির্বাচনের প্রচার চালাচ্ছি।” একইসঙ্গে ভিভিপ্যাট ও কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া অবাধ হতে পারে না বলে আজ আরও একবার সরব হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর বক্তব্য, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কাউকে যেন আটকানো না হয়। কিন্তু ভবানীপুরে দেখেছি কত মানুষ ভোট দিতে গেলেন না। কারণ তাদের কলকাতা পুলিশের কিছু অফিসার ও গুন্ডা বলে এসেছে যে আপনি না গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট দেওয়া হয়ে যাবে।”
গতকালই শুভেন্দু অধিকারী কমিশন থেকে বেরিয়ে জানিয়েছিলেন, “ভিভিপ্যাট যুক্ত ইভিএম ব্যবহার করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে এই বিষয়ে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়েও বলেছি। কমিশন রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের উপর আস্থা রাখছে। তিনি পুলিশের উপর খুশি। এই আস্থা থাকলে জাতীয় নির্বাচন কমিশন কেন বাহিনী আনবে? রাজ্যের পরিস্থিতি আলাদা, সেটা বুঝেই এখানে বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।”