পশ্চিম মেদিনীপুর: চন্দ্রকোনা পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। অভিযুক্ত এক পুলিশ আধিকারিক। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন নির্দল প্রার্থী। ১৯৯০ সাল থেকে ভোটে লড়ছেন শেখ ওসমান গনি। নির্দল হিসেবে ৩ বার জিতেছেন বলেও দাবি তাঁর। ২০১৮ সালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন। এই বছর ফের নির্দল হয়ে ভোটে লড়ছেন ওসমান। চন্দ্রকোনা পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তাঁকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ হুমকি দিচ্ছে বলে দাবি তাঁর। যদিও পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঘাটালের এসডিপিও অগ্নিশ্বর চৌধুরী। পুলিশ এই ধরনের কোনও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় বলে দাবি তাঁর।
নির্দল প্রার্থী ওসমানের কথায়, ” আমাকে থানায় ডাকা হয়। মুড়ি খেতে খেতে পুলিশ কর্তা বলেন, ‘আমাদের উপর অনেক চাপ রয়েছে। ওপর থেকে বড়বাবু চাপ দিচ্ছেন। আপনি নমিনেশন তুলে নিন। যদি না নমিনেশন তুলে নেন, তাহলে আপনার সব ছেলেদের মিথ্যা কেস দিয়ে জেলে ঢোকাব। আপনি তারপর যা ইচ্ছে করবেন। ইলেকশন হলে আপনাকে দেখে নেব’। আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। নির্দল প্রার্থী হিসেবে আমি জিতেছি। তাই আমার নির্বাচনের কাজ চলছে, চলবে।”
ওসমানের আরও অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের ভুলের জন্যই তিনি দলের টিকিট পাননি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকী, তিনি সমস্ত তথ্য-নথি জমা দিলেও কাজ হয়নি। উল্টে, জানানো হয়, তিনি টিকিট পাচ্ছেন না। এরপরেই নির্দল হয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে গত ১৯৯৫ সালে, ২০০৫ সালেও কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। দুইবারই নির্দল হিসেবেই জয়লাভ করেছিলেন। এ বারে দল টিকিট না দেওয়ায় তিনি সরে আসেন।
দলীয় প্রার্থীর জয়ে এই নির্দল প্রার্থীরাই প্রধান কাঁটা হয়ে উঠতে পারে এই আশঙ্কায় গতকালই তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব হুঁশিয়ারি দেয়। এখানেই শেষ নয় সঙ্গে জেলার নেতাদের হুঁশিয়ারিও রয়েছে। কিন্তু তারপরও বদলায়নি ছবিটা। দলীয় হুঁশিয়ারিকে থোড়াই কেয়ার করে নির্দলেরা নির্বাচনে নামছেন। এমনকী, প্রচারও চালাচ্ছেন। যদিও, সদ্য়ই যে চার পুরনিগমের ফল ঘোষিত হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে নির্দল ‘ফান্ডা’ বিশেষ কাজে আসেনি। উল্টে ঘর ভরেছে তৃণমূলের।
বস্তুত, পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই যেভাবে একের পর এক রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের ছবি সামনে আসে তাতে শাসকশিবিরের অন্দরের মুষলপর্বই প্রকাশ্যে চলে আসে বলে মনে করেছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। ফের নির্দল প্রার্থীর এভাবে বিরোধ সামনে আসায় দলের অন্দরের কোন্দল থামেনি বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: Uber Drive: এক ক্লিকেই হাজির উবের! আজ তা হবে না, অফিসে বেরলে হাতে সময় রাখুন