বেঙ্গালুরু: আগামী মাসেই বিধানসভা নির্বাচন কর্নাটকে (Karnataka Assembly Election)। এখন থেকেই রাজনৈতিক ময়দানে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। আর নির্বাচনী প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে চলছে রাজনৈতিক আক্রমণও। এই নির্বাচনে নিজেদের জায়গা টিকিয়ে রাখতে মরিয়া বিজেপি। অন্যদিকে সরকারে ফিরতে একচুল প্রচেষ্টাও ছাড়ছে না কংগ্রেস। জোরকদমে চলছে তাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি। এই আবহে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন জনতা দলের নেতা এইচডি কুমারস্বামী। তিনি বলেন, আগামী দিনে প্রায় ১৫ জন নেতা কংগ্রেস ছেড়ে জেডিএস এ যোগ দিতে পারেন।
কুমারস্বামী বলেন, “চিত্রদুর্গ থেকে বিধান পরিষদের প্রাক্তন সদস্য রঘু আচার ইতিমধ্যেই বলেছেন তিনি জেডিএস এ যোগ দেবেন।” তারপরই তিনি বলেন, “আগামী দিনে কংগ্রেসের আরও ১৫ নেতা জেডিএস এ যোগ দেবেন।” তিনি বলেন, আগে জেডিএস থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়েছিল কংগ্রেস। এখন তাঁরাই জেডিএসে ফিরে আসছেন। এদিকে নির্বাচনের ময়দান বেশ জমে উঠেছে। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই দুই দফায় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। বিজেপির তরফে এখনও কোনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। আর সোমবার জেডিএস-র তরফে দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন কুমারস্বামী।
প্রসঙ্গত, যে সময় কুমারস্বামী কংগ্রেস নেতাদের নিজের দলে যোগদানের কথা বলছেন সেই একই সময়ে নিজের ঘরও ভেঙেছে। বুধবার প্রাক্তন সাংসদ তথা জনতা দলের (সেকুলার) বহিষ্কৃত এলআর শিবারামে বিজেপিতে যোগ দেন। যেখানে কুমারস্বামী কংগ্রেস নেতাদের ভবিষ্যদ্বাণী করছেন সেখানে বিজেপিতে যোগ দিয়ে শিবারামে জেডিএস নেতাদের ভবিষ্যদ্বাণী করেন। তিনি বলেন, “আগামী ১০ দিনে আরও অনেক নেতা বিজেপিতে যোগ দেবেন। কর্নাটকের জনগণ ডবল ইঞ্জিন সরকার চায়। আর বিজেপি এখানে সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়বে।” প্রসঙ্গত, আগামী ১০ মে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ফলাফল ঘোষণা হবে ১৩ মে।