কলকাতা: রাত পোহালেই কলকাতা পুরভোট (Kolkata Municipality Election 2021)। তার আগে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করল বামেরা। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রবীন দেবরা অভিযোগ করলেন পুরভোটের দায়িত্বে থাকছেন ‘ভুয়ো অফিসাররা’। এমনকী অন্যান্য অফিসারকে তাদের হয়ে কা জ করার জন্য চাপ দিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল (TMC) বলেও দাবি সিপিএমের (CPIM)।
এদিন সিপিএম নেতা রবীন দেব সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন, “শান্তিপূর্ণ ভোট এই কমিশনের অধীনে সম্ভব নয়।” তাঁর মন্তব্য, “পাটুলি ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের এক পুলিশ অফিসার শাসক দলের হয়ে কাজ করছেন। ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে এমন সন্ত্রাস হচ্ছে যে বিরোধীদের কেউ এজেন্ট হিসাবে বসতেই রাজি হচ্ছে না। আবার
১০৩ নম্বর, ১০৬ নম্বর এবং ১১১ নম্বর ওয়ার্ডে-ও ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি”।
তিনি যোগ করেন, “হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া থেকে আসছে মহিলা সহ অনেকে। আসছেন বহিরাগতরা”। ২৮ নম্বরে সিটিজেন্স ফোরামের নাম করে বহিরাগতদের জমা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রবীন দেবের।
সিপিএম নেতার কথায়, “তাঁদের দিয়ে ভোট করানো হচ্ছে কি না, আমরা নজর রাখছি। বিরোধীদের অধিকার কাড়তে এখন নিজের দলের কর্মীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে”। আবার প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোনের পাশে দাঁড়িয়ে রবীন দেব অভিযোগ করেন, ওঁনাকেও হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁর সংযুক্তি, “পুলিশ কর্মীদের সঠিক ভাবে কাজ করতে দেওয়া হলে অনেক ভাল করতে পারবে”। তিনি যোগ করেন, “তৃণমূলের হয়ে কাজ না করলেই রাজ্যের পুলিশ অফিসাররাই যথেষ্ট হবে। তবে কোনও কোনও জায়গা তল্পিবাহক অফিসার আছেন, তা কমিশন জানে”।
এখানেই শেষ নয়, সিপিএমের অভিযোগ, ভোটকর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে শাসক দলের হয়ে কাজ করতে। তিনি জানান, ভোটের দিন রিপোর্ট নিয়ে ঘণ্টায় ঘণ্টায় আলোচনা করে তাঁরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। তা পরিস্থিতি উপর নির্ভর করবে।
এদিকে এদিন মা ক্যান্টিন নিয়ে আবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যা নিয়ে সিপিএমের প্রতিক্রিয়া, “রাজ্যপালের যা অধিকার আছে, তা পালন করুন। তিনি সাংবিধানিক ব্যবস্থা নিন। তাঁর ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। টুইট করা তো রাজ্যপালের কাজ নয়। এটা মিডিয়া তরজা করার বিষয় নয়”। রবীন দেব যোগ করেন, “মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিন। বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করুন। ধর্মকে রাজনীতির সঙ্গে মেশানো ঠিক নয়। মানুষের কাছে অনেক সমস্যা আছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হোক”।