কলকাতা: কলকাতা পুরনির্বাচন যদি অবাধ, সুষ্ঠু হয় তা হলে তৃণমূলের একজন কাউন্সিলরও জিতবেন না। বৃহস্পতিবার দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ভোট প্রচারে বেরিয়ে এমনই দাবি করলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূলের প্রত্যেক কাউন্সিলর অসাধু। রাতারাতি কোটি টাকা মালিক হয়ে গিয়েছে।’
এদিন শীলপাড়ায় কলকাতা পুরসভার ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর শিকদারের সমর্থনে প্রচারে নামেন শুভেন্দু অধিকারী। জেমস লং সরণিতে একটি পথসভাও করেন তিনি। তার আগে প্রার্থীকে নিয়ে গাড়িতে চেপে এলাকা ঘোরেন।
পথসভার শেষে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সামনে পুরসভা ভোটে যদি মানুষ ভোট দিতে পারে তাহলে তৃণমূলের একজন কাউন্সিলরও জিতবেন না। তৃণমূলের প্রত্যেকটি কাউন্সিলর অসাধু। প্রত্যেকে কোটি কোটি টাকার মালিক। ২০১১ সালের আগে এরা গরিব ছিল। এখন পুকুর বুজিয়ে, কাটমানি তুলে কোটিপতি হয়ে গিয়েছে।”
এদিনও শুভেন্দু তৃণমূলকে ‘তোলামূল’ বলে কটাক্ষ করেন। একই সঙ্গে বলেন, বৃষ্টি হলে এইসব ওয়ার্ডগুলি জলে ভাসতে থাকে। মানুষ পানীয় জলটুকু পান না। এর জবাব এবার মানুষ ভোটের বাক্সেই দেবেন বলে আশাবাদী শুভেন্দু। শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দেন, যদি কোনওভাবে ভোটে বাধা দেওয়া হয় তা হলে বিজেপির প্রত্যেক নেতা-কর্মী রাস্তাঘাট স্তব্ধ করে দেবে।
সিঙ্গুরের সভাতে দাঁড়িয়েও শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “এর আগে ভোটে গণতন্ত্রকে আঘাত করেছে ওরা। বিজেপি প্রার্থীর মাথায় আঘাত করেছে, কারও এজেন্টকে বের করে দিয়েছে। এবার রাস্তায় বোমা ফাটিয়ে হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের নিচে তালাচাবি লাগিয়ে দিয়ে যদি ভোট লুঠ করা হয় তা হলে গোটা রাজ্যে রাস্তার উপরে বসে পড়তে হবে। রাস্তার পাশে আর না। অচল করতে হবে এই রাজ্যকে। রাজ্যকে স্তব্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইতে ছাড়া যাবে না।”
একই সুর শোনা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কন্ঠেও। সুকান্ত বলেন, “এখন কলকাতা পুরনিগমে মারামারি করে ভোট লুঠ করতে চায়। সমস্ত বিধায়করা লোক জড়ো করে রাস্তায় বসে থাকবেন ১৯ তারিখ। আমাদের একটা কর্মীর গায়ে যদি হাত পড়ে কোনও এজেন্টের গায়ে যদি হাত পড়ে শুভেন্দুদা থেকে শুরু করে প্রত্যেক বিধায়ক, প্রত্যেক জেলা সভাপতি রাস্তায় বেরিয়ে সেদিন পশ্চিমবঙ্গকে অচল করে দেবে। পশ্চিমবঙ্গকে স্তব্ধ করে দেবে।”
যদিও বৃহস্পতিবার বেহালার নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কলকাতা পুরসভায় যা কাজ হয়েছে, তা গোটা দেশে হয়নি। তাই বাংলার কারও সার্টিফিকেটের কোনও দরকার নেই। এ দিন মমতা জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে যাবে জলের লাইন। এ কথার রেশ ধরেই তৃণমূল সুপ্রিমো দাবি করেন, জলের উপর কর বসানোর জন্য চাপ দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু, তাতে রাজি হননি তিনি। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, জলকর নেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri Bear Panic: সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো ভালুক-আতঙ্ক ছড়ানো! থানায় অভিযোগ দায়ের বনদফতরের
আরও পড়ুন: Calcutta Medical College: ইস্তফা দিলেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, নতুন দায়িত্বে সাগর দত্তের প্রিন্সিপাল