কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ রবিবার। ২১ ডিসেম্বর ভোটের গণনা। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। ২০২০ সালের মে মাসে কলকাতা পুরসভার নির্বাচিত পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। এরপর প্রায় দেড় বছর পার করে ভোট হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণেই পিছিয়ে যায় ভোটপ্রক্রিয়া। অবশেষে তা রবিবার হচ্ছে।
১৪৪টি ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি কলকাতা পুর এলাকায় এ বার মোট ভোটার ৪০,৪৮,৩৫২ জন। সবচেয়ে বেশি ভোটার ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে। ৯৫,০৩৮ জন। সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছেন ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এখানে ভোটার সংখ্যা ১০,০৩৩। কলকাতায় ওয়ার্ড পিছু গড় ভোটার ২৮,১১৪ জন। ভোট গ্রহণের জন্য মোট ৪৯৫৯ টি বুথের ব্যবস্থা হয়েছে। এর মধ্যে ১১৩৯টি বুথকে ‘স্পর্শকাতর’ বলে চিহ্নিত করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সল্টলেকের বাসভবন পুলিশ ঘিরে রাখার ঘটনারও সমালোচনা করল রাজ্য বিজেপি। রাজ্য বিজেপির মুখ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্য, “বিধাননগরে বিরোধী দলনেতার বাড়ি পুলিশে ঘিরে ফেলেছিল। যেন কোনও সন্ত্রাসবাদীকে আটকাতে গিয়েছে। কেন? নজিরবিহীনভাবে এমএলএ হোস্টেলের গেটে প্রশাসন তালা লাগিয়ে দিল। কেন? আইনসভার নির্বাচিত সদস্যদের এটুকু দায়িত্বজ্ঞান আছে যে তাঁরা কলকাতার ভোটার নন। তারা বেরিয়ে কাউকে প্রভাবিত করতেন না বা করেননি।”
উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতার পুরভোটের দিন সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে শহর জুড়ে। কোথাও সিসিটিভিতে সেলোটেপ লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, আবার কোথাও পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগও উঠেছে। তবে সে সব অভিযোগে আমল দিতে রাজি নয় শাসক দল। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, কলকাতায় উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে। যে ভাবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে, তাতে পুলিশের ভূমিকা ‘অভূতপূর্ব’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন পার্থ।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, বাংলাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার যে জয়যাত্রা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছেন, আজকের এই নির্বাচন সেই যাত্রা আরও সুদৃঢ় করবে। রাজ্য পুলিশ কার্যত বিরোধীদের সব পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে
কলকাতা পুর নির্বাচনে (Kolkata Municipality Election 2021) ভোট হয়নি। অবাধ ভোট লুঠ হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে এমনই অভিযোগ করলেন বাম নেতৃত্ব। রবীন দেবদের অভিযোগ, এই ভোট থেকে নজর ঘোরাতে নন ইস্যুকে ইস্যু করে তৃণমূলকে (TMC) সাহায্য করেছে বিজেপি (BJP)। রবীন দেবের কথায়,”ত্রিপুরার ভোটে তৃণমূলকে সাহায্য করেছে বিজেপি, আর এখানে তাদের সাহায্য করেছে তৃণমূল। বিজেপি ভোটের আগে শুধু মামলা আর মামলা করেছে”।
রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে রবীন দেব অভিযোগ করেন, একদিকে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডা ও পুলিশের বাধাকে উপেক্ষা করে ‘বীরের মতো’ লড়াই করেছেন বাম কর্মীরা। এই সব উপেক্ষা করে ভোট হয়েছে। যদিও ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর সংযুক্তি, “ভোটলুঠের কায়দা বদল হয়েছে। এখন আর সরাসরি ভোট লুঠ নয়, ২০১৫ সালের মতো নয় এবার পরিবর্তিত কায়দায় ভোট দখল হয়েছে”।
পুরভোটকে (Kolkata Municipal Corporation Election 2021) কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বোমা ফেটেছে। রক্ত ঝরেছে। কিন্তু তারপরেও পুলিশ প্রশাসনকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। রবিবার দুপুরে ভোট দিতে এসে বললেন, “শান্তিপূর্ণ ভোট চলছে। মানুষ শান্তিতে ভোট দিয়েছে। উৎসবের মেজাজে মানুষ ভোট দিচ্ছেন।” বিরোধীদের তরফে, বিশেষ করে বিজেপির থেকে সকাল থেকে যে অভিযোগগুলি করা হচ্ছে, সেই প্রসঙ্গে মমতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ভোটে লড়তে পারছে না। তাই এখন নাটক করছে। ও সব ইগনোর করুন।”
বিধায়কদের আবাসন বা এমএলএ হস্টেলের গেট বাইরে থেকে তালা দেওয়া হয়েছে, আর ভিতরে আটকে রয়েছে অন্তত ১২ জন বিজেপি বিধায়ক। তাঁদের বেরতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনই অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি এও জানান, কলকাতা আসার পথে আটকানো হয়েছে বিজেপি বিধায়কদের।
বিস্তারিত পড়ুন: এমএলএ হস্টেলে তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছে বিধায়কদের, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির
আজ দুপুরে কলকাতা পৌরনিগমের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে (Kolkata Municipal Corporation, Ward No 22) ফের আক্রান্ত বিজেপির পোলিং এজেন্ট (BJP Polling Agent)। সিআইটি পার্ক পোলিং স্টেশনের বিজেপি প্রার্থীর এজেন্টকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিরোধী এজেন্টকে অন্যত্র তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সিআইটি পার্ক পোলিং স্টেশনে বহিরাগত কিছু দুষ্কৃতী এসে তাণ্ডব চালিয়েছে। পুলিশের সামনেই বিরোধী এজেন্টকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির। যে ভিডিয়োটি প্রকাশ্য়ে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে রক্তাক্ত মেঝে। মেঝেতে একাধিক জায়গায় রক্তের ছিটে। গোটা বুথে যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, তা ভিডিয়ো দেখেই স্পষ্ট। দেখা যাচ্ছে, বুথের ভিতরে মেঝেতে লুটোচ্ছে ইভিএম মেশিন।
কলকাতা পুরভোটে স্থানে স্থানে অশান্তি, ভোটে কারচুপির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শাসক শিবির, ভোটে অশান্তি করছে, এই অভিযোগ তুলে ময়দানে নেমেছে বাম, কংগ্রেস, বিজেপি। জেলায় জেলায় পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। বিজেপি রাজ্য সভাপতির কথায়, “অভিষেকবাবুকে বলি, চারদিকে এত অশান্তি হচ্ছে আপনি কিছুই দেখতে পারছেন না। আপনি বরং দক্ষিণ ভারতে গিয়ে চোখের চিকিৎসা করান। আপনার কাছে ভাল চিকিৎসকের যদি সন্ধান না থাকে, তবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা ঠিকানা দিয়ে দেব।”
নিজের ভোট নিজে দিতেই পারলেন না। উল্টে তৃণমূলের (TMC) এক বুথ এজেন্টের কথা শুনে বিস্মিত হয়ে গেলেন ভোটার! কলকাতা পুরসভার ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটল এমনই এক অবাক করা ঘটনা। শেষমেশ নিজের ভোট নিজে না দিতে পেরে ক্ষোভে বুথ থেকে বেরিয়েই গেলেন ভোটার। অবাধ বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট, কলকাতা পুরভোটে (Kolkata Municipality Election 2021) এমনই সব অভিযোগ তুলে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে। অন্যদিকে একই অভিযোগ করে পথে বামেরাও। এই প্রেক্ষিতে এক অবাক করা ঘটনা ঘটল ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ নম্বর আটে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে বটতলা এলাকায় বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস একযোগে থানা ঘেরাও করে প্রতিবাদ করছে। অবাধ বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট, কলকাতা পুরভোটে (Kolkata Municipality Election 2021) এমনই সব অভিযোগ তুলে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে। অন্যদিকে একই অভিযোগ করে পথে বামেরাও। অভিযোগ, একের পর এক বুথ দখল করা হচ্ছে। এমনকী সিপিএম প্রার্থীকেও বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাদের বিরুদ্ধে।
কলকাতা: রবিবাসরীয় সকালে কলকাতায় ছোট লালবাড়ি দখলের লড়াই। আর সেই লড়াইতেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ। ওয়ার্ডে ভোটলুঠের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার তীব্র বিরোধীতায় পথে নেমেছে বিজেপি। জায়গায় পথ অবরোধে সামিল বাম-কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) পাল্টা দাবি, বিজেপি নিরুপায় হয়ে অশান্তির অভিযোগ করছে।
বিস্তারিত পড়ুন: KMC Elections 2021: ‘বিজেপি নিরুপায় হয়ে অশান্তির অভিযোগ করছে’
গোটা শহর জুড়ে যখন জায়গায় জায়গায় ভোট লুঠের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। ঘড়ির কাঁটা যত গড়িয়েছে, তত অভিযোগের পাহাড় বড় হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের ফেসবুক পোস্ট, “মমতা পরাজিত। সংখ্যার বিচারে নয়। রাজনৈতিক নৈতিকতার ভিত্তিতে। যাঁরা ওঁর পক্ষে গলাবাজি করেন তাঁরাও কি নীতি নৈতিকতা বন্ধক রেখেছেন, না বিসর্জন দিয়েছেন – সেটা নিয়েই ৭×২৪ ঘন্টা বিতর্ক হতে পারে। বিতর্ক হতে পারে বিপ্লব দেব না মমতা কে পাবে গণতান্ত্রিক ভোট ধ্বংসের শ্রেষ্ঠ শিরোপা।”
তৃণমূল ভোটে অশান্তি করছে, এই অভিযোগ তুলে ময়দানে নেমেছে বাম, কংগ্রেস, বিজেপি। জেলায় জেলায় পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপির লোকজন। তবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এটা নিছক নাটক। মিত্র ইনস্টিটিউশন থেকে ভোট দিয়ে বেরিয়ে অভিষেক বললেন, “অজুহাত চাই তো। যখন ভোটের ফল ঘোষণার পর তৃণমূলের জয় দেখে কিছু তো একটা বলতে হবে মুখ বাঁচাতে, কিছু একটা করতে হবে। সে কারণেই এসব করে বেড়াচ্ছে। গণতন্ত্রে মানুষ ভোট দিয়েছেন। বিজেপির কাছে যদি কিছু প্রমাণ থাকে জনসমক্ষে আনুক। নাটক না করে, মানুষকে বিভ্রান্ত না করে প্রমাণ সবার সামনে আনুন। কোনও ফুটেজ থাকলে, তৃণমূলের কোনও নেতা কোনও ঘটনায় জড়িত কিংবা মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগে আটকানো হয়েছে আমি দায়িত্ব নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বলছি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেব।”
বিস্তারিত পড়ুন : Kolkata municipal corporation election 2021: প্রমাণ পেলে ‘রঙ’ না দেখেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কড়া ব্যবস্থা! নিজের অবস্থানে অনড় অভিষেক
মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সস্ত্রীক ভোট দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রবিবার প্রিন্সিপাল অ্যাকাউনটেন্ট জেনারেলের অফিসে গিয়ে ভোট দেন জগদীপ ধনখড় ও সুদেশ ধনখড়। টুইটারে নিজেই সেই ছবি শেয়ার করেছেন রাজ্যপাল।
Governor WB Shri Jagdeep Dhankhar and Smt Sudesh Dhankhar cast their vote #KMCElection today at the office of the Principal Accountant General(A&E), KOLKATA. pic.twitter.com/St5ryinlrc
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 19, 2021
কোন বরোয় কত ভোট (দুপুর ১টা পর্যন্ত)
বরো ১—মোট ৯টি ওয়ার্ড —৪০.৮৯
বরো ২—মোট ৯টি ওয়ার্ড—৩৯.৯৩
বরো ৩—মোট ৯টি ওয়ার্ড—৩৯.৮৭
বরো ৪—মোট ১০টি ওয়ার্ড—৩৪.০১
বরো ৫—মোট ১১টি ওয়ার্ড—৩১.৭৩
বরো ৬—মোট ১০টি ওয়ার্ড—৩৪.০২
বরো ৭—মোট ৯টি ওয়ার্ড—৩৯.৯৮
বরো ৮—মোট ১১টি ওয়ার্ড—৩০.১৮
বরো ৯—মোট ১০টি ওয়ার্ড—৩০.৭৮
বরো ১০—মোট ১২টি ওয়ার্ড—৩২.৪২
বরো ১১—মোট ৭টি ওয়ার্ড—৩৭.৮৭
বরো ১২—মোট ৭টি ওয়ার্ড—৪১.৯৭
বরো ১৩—মোট ৭টি ওয়ার্ড—৩৩.১৩
বরো ১৪—মোট ৭টি ওয়ার্ড—৩৩.৪৫
বরো ১৫—মোট ৯টি ওয়ার্ড—৪৬.১২
বরো ১৬—মোট ৭টি ওয়ার্ড—৩৪.৯৮
তথ্য: রাজ্য নির্বাচন কমিশন
কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ চলছে। রবিবার সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বেলা ১টা পর্যন্ত ভোটের হার ৩৮ শতাংশ।
কলকাতা: পুরনির্বাচনেও ব্যাপক অশান্তির অভিযোগ। শ্যামপুকুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটলুঠের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে, বড়তলা থানার সামনেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করল বাম (CPIM) ও কংগ্রেস। থানার সামনেই পোস্টার হাতে নিয়ে প্রতিবাদ করতে শুরু করেন খোদ ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীরা।
বিস্তারিত পড়ুন: KMC Elections 2021: অবাধে ভোটলুঠ! প্রতিবাদে বড়তলা থানার সামনে বিক্ষোভে খোদ বামপ্রার্থী
পুরভোটে অশান্তির অভিযোগে বড়তলা থানা ঘেরাও। সেই কর্মসূচিতে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে একই সারিতে বসতে দেখা গেল বিজেপিকেও। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ছবিটি দেখা গেল রবিবার।
কলকাতা পুরভোটে বিভিন্ন বুথে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানো হলেও বহু জায়গায় তা অকেজো করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদি জেলাশাসক বলছেন, প্রিসাইডিং অফিসাররা সকাল থেকেই খতিয়ে দেখেছেন ক্যামেরা। এই অভিযোগ তাই তাঁরা মানছেন না।
ভোট দিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রবিবার দুপুরে ভোট দিতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে নিরাপত্তারক্ষীদের বাইরে রেখেই ভোট দিয়েছেন তিনি।
সবিস্তারে পড়ুন: মমতা-অভিষেক ছাড়া কারও নিরাপত্তারক্ষীকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না কমিশন, দাবি রাজ্যপালের
ফের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা ছড়াল। বুথের ভিতর হাতাহাতিতে জড়ানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালেই ভুয়ো ভোটার ধরার দাবি করেন এই ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। যা নিয়ে এক প্রস্থ হয় বিজেপি ও তৃণমূলের সঙ্গে। ফের বেলা গড়াতেই তৃণমূলের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে কংগ্রেস। পরে পুলিশের বিশাল বাহিনী এসে পৌঁছয়।
ভোট লুঠের অভিযোগে রাজ্যজুড়ে অবরোধের ডাক বিজেপির। রবিবার বেলা ১টা থেকে জেলায় জেলায় এই কর্মসূচি শুরু হয়। কলকাতা পুরভোটে তৃণমূল, পুলিশ এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যৌথ প্রয়াসে গণতন্ত্রের প্রহসন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পদ্মশিবিরের।
সবিস্তারে পড়ুন: ভোট লুঠের অভিযোগ! আজ জেলায়-জেলায় পথ অবরোধ বিজেপির
ছেলেকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে হাজির রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ভোট দিলেন ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী চন্দ্রিমা-পুত্র সৌরভ বসু।
মেটিয়াবুরুজ হাইস্কুলে উত্তেজনা। ১৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছাপ্পা ভোট দেওয়ার। বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
৬৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছে। ২৫ নম্বর বুথে আদি শান্তিসংঘ ক্লাবে সিপিএম সদস্যর পরিবারের ভোট দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বুথে বুথে বাইরের লোক এনে ভোট করাচ্ছে তৃণমূল, অভিযোগ করেছেন সিপিএম প্রার্থী দীপু দাস। প্রার্থীর দাবি, একটি বুথে গিয়ে তিনি দেখেন ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা এমনভাবে লাগানো, তাতে ভোটপ্রক্রিয়ার সবটা দেখা যাচ্ছে না। সেক্টর অফিসারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
মেট্রোপলিটনের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভুয়ো ভোটারের খোঁজ মিলল। ভোট দিয়ে ওই ভোটার স্যানিটাইজারে কালি মুছে ফের ভোট দেন বলে অভিযোগ।
আধ ঘণ্টার ব্যবধানে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুই জায়গায় বোমাবাজি। রবিবার পুরভোট চলাকালীন প্রথমে বেলেঘাটা খান্না হাইস্কুলের সামনে বোমাবাজি হয়। সেখানে দু’টি বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সেখানে কেউ আহত না হলেও টাকি হাইস্কুলের সামনে বোমাবাজিতে তিনজন জখম হন বলে সূত্রের খবর। ফুলবাগান এলাকাতেও বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। বোমাবাজির রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন।
নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করলেন তৃণমূল বিধায়ক, চলচ্চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট দেন তিনি।
পুরভোটে অশান্তির অভিযোগে বড়তলা থানা ঘেরাও করল বাম এবং কংগ্রেস। ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটাররা ভোটদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, এই অভিযোগ তুলে ঘেরাও কর্মসূচি। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থীর দাবি, ভোটের প্রচার শেষ হওয়ার পরই তাঁর পোলিং এজেন্টদের হুমকি দিচ্ছে। রবিবার এজেন্টরা বুথমুখীই হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর।
ভোটে অশান্তির অভিযোগ তুলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গেল বিজেপির প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে রয়েছে অগ্নিমিত্রা পাল, শিশির বাজোরিয়া। বিজেপির দাবি, সকাল থেকেই একাধিক বুথ থেকে নানা অশান্তির অভিযোগ আসছে। কোথাও বিরোধীদের এজেন্ট বসতে দেওয়া হচ্ছে না, আবার কোথাও বোমাবাজির অভিযোগ।
ভবানীপুরের ৭০ নম্বর ওয়ার্ড। খালসা হাইস্কুলের বুথ থেকে বিজেপির এজেন্টকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ। বিজেপির এজেন্ট রঘুবীর সিংয়ের অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থী অসীম বসুর লোকজন তাঁকে বের করে দেয়। বুথের বাইরে বাইক বাহিনী নিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও তোলেন তিনি। পুলিশ নীরব দর্শক বলেও দাবি রঘুবীরের। পাল্টা অসীম বসু বলেন, “একেবারে মিথ্যা অভিযোগ। ছেলেটি গিয়ে ভিতরে ভোটারদের ভিডিয়ো করছিল। তার প্রতিবাদ করেন সাধারণ মানুষ। আমি শুনে আসি, ওকে বের করে এনে বলি মানুষকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে দিক। যদি কোনও অভিযোগ থাকে পুলিশ, কমিশনকে জানানো যেত। অন্য কারও বুথে ঢুকে ভিডিয়ো করার অধিকার নিশ্চয়ই নেই।”
শিয়ালদহে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। আহত হন একজন।
বাঘাযতীনে পথ অবরোধ সিপিএমের। ফের ভোট করাতে হবে, দাবি তাদের। এ বিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “হাস্যকর! কমিশনকে জানাক। প্রার্থীই খুঁজে পাচ্ছে না। ওদের আবার এজেন্ট। ওরা এসব পথঅবরোধের কায়দাই করে। তবে এসব টিকবে না। মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে, রাজ্যের হয়ে কাজ করতে হবে।”
সকাল ৭টা থেকে ভোট শুরু হয়েছে। সাড়ে ১১টা বাজতে না বাজতেই পুনর্নির্বাচনের দাবিতে পথ অবরোধ করল সিপিআইএম। রবিবার বাঘাযতীন মোড়ে পথ অবরোধে করে তারা। ৯৬, ১০১, ১০২, ১১০ একাধিক ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ দখলের অভিযোগ সিপিএমের। তারই প্রতিবাদে এই পথ অবরোধ। ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী ভাস্বতী গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “সকাল থেকে ভোটের নামে প্রহসন চলছে। আমাদের ২৪টা বুথের মধ্যে ৫০ শতাংশ বুথে প্রথমেই পোলিং এজেন্ট তুলে দিয়েছে। বাকিরা লড়াই করে বসলেও বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে।”
ভোটে অশান্তির অভিযোগ। নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে বিজেপির প্রতিনিধি দল। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, স্বাভাবিক ভোট প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে, মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে। সকালেই টুইটারে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। বিরোধীদের শাসানো, ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান। রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকে রাজ্য প্রশাসন, সবকিছুরই অপব্যবহার করছে তৃণমূল দাবি অমিত মালব্যর।
সবিস্তারে পড়ুন: ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল! টুইটে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ অমিত মালব্যের
BJP booth agents being threatened and terrorised by TMC goons. Kolkata Police remains a mute spectator.
Now a bomb explodes just outside Sealdah station, which is in the heart of Kolkata. Mockery of elections.
The Courts have let down the people by not ordering CAPF deployment.
— Amit Malviya (@amitmalviya) December 19, 2021
৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল। বোমা টাকি হাইস্কুলের সামনে। পর পর দু’টি বোমা মেরে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সকাল থেকেই বার বার শিরোনামে উঠে এসেছে এই ওয়ার্ড। সকালেই কংগ্রেস প্রার্থী অভিযোগ তুলেছিলেন, তাদের পোলিং এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। বেলা বাড়তেই সেই উত্তেজনা পৌঁছল বোমাবাজির পর্যায়ে। কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। ডিসিইএসডি প্রিয়ব্রত রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে। এই বোমাবাজির ঘটনায় একজন আহত হন। রক্তাক্ত হন তিনি।
সবিস্তারে পড়ুন: Kolkata municipal corporation election 2021: পুরভোটে রক্ত ঝরল শিয়ালদহে, পরপর দুটি বোমা ফেলে পালাল দুষ্কৃতীরা
৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট কেমন চলছে তা পরিদর্শনে নির্দল প্রার্থী তনিমা চট্টোপাধ্যায়। ‘কাল বোমা পড়ায় ন’জন এজেন্ট বসাতে পারিনি, কারও উপরেই আর আস্থা নেই’, অভিযোগ তনিমাদেবীর।
ভোটারদের প্রভাবিত করতে আয়ুর্বেদ কলেজের ছাদে বিরিয়ানি রান্না করার অভিযোগ উঠল ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযোগের আঙুল বিজেপির দিকে। কুণাল ঘোষের দাবি, “বিজেপি এজেন্ট পাচ্ছে না। এসব করছে। আমরা পুলিশকে অনুরোধ করেছি এগুলি কী হচ্ছে দেখুক।” যদিও এই ওয়ার্ডেই আরও একটি অভিযোগ উঠছে। এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অয়ন চক্রবর্তী লোকজন নিয়ে বুথে ঢুকছেন। অবাধ শান্তিপূর্ণ ভোটে বাধা পড়ছে বলে দাবি কংগ্রেস প্রার্থী সাইনা জাভেদ।
নির্বাচন হল একটি গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। গণতন্ত্রের উৎসব বলে ব্যাখ্যা করা হয়ে নির্বাচনকে। তাই দেশের গণতন্ত্রকে সচল রাখতে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া অত্যন্ত দরকার। কিন্তু অনেকেই গণতন্ত্রের এই উৎসবে সামিল হতে গিয়ে অনেক ঝক্কির মুখে পড়েন। তার মধ্যে অনেকেই যে সমস্যাটির মুখে পড়েন, তা হল ভোটার তালিকায় (Voter List) নিজের নাম রয়েছে কি না তা নিয়ে স্পষ্টভাবে জানেন না। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ভোটার আইডি কার্ড অবশ্যই দরকার। বুথে যাওয়ার সময় আপনার ভোটার আইডি কার্ড (Voter ID Card) সঙ্গে থাকতে হবে। অন্যথায় আপনি আপনার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না। আর তাই ভোটার তালিকায় নিজের নাম রয়েছে কি না, তা একবার যাচাই করে নিতে হবে। ভোটার তালিকায় নাম যাচাই করতে এখন আর আপনাকে কোথাও যেতে হবে না। আপনি সহজেই ঘরে বসে এটি দেখে নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন- KMC Election Voters list: আর ঝক্কি নেই, ঘরে বসে সহজেই দেখে নিন ভোটার তালিকা
রবিবার কলকাতা পৌরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation Election 2021) ১৪৪ টি আসনে নির্বাচন। করোনা পরিস্থিতির কারণে মেয়াদ শেষের পরেও প্রায় দেড় বছর থমকে ছিল পৌর ভোট। রবিবার কলকাতার ৪০ লাখ ৪৮ হাজার মানুষ নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন। আর এই ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য যেটি অবশ্যই দরকার, তা হল ভোটার আইডি কার্ড (Voter ID Card)। কিন্তু জানেন কি ভোটার আইডি কার্ড না থাকলেও কোনও ব্যক্তি বা মহিলা, নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন? তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্য বিকল্প কিছু প্রমাণপত্র হাতে রাখতে হবে। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
আরও পড়ুন- KMC Election Voter ID Card: ভোটার আইডি কার্ড না থাকলেও ভোট দিতে পারবেন আপনি, জেনে নিন কীভাবে
৮১ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস ও নির্দল প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ। ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। অভিযোগ, কংগ্রেস প্রার্থীর গায়ে হাত তোলেন নির্দল প্রার্থী। কংগ্রেস প্রার্থী তানিয়া পাল বলেন, “আমি দেখলাম একজন অসুস্থ লোককে ভিতরে নিয়ে গেল। ইভিএমের বোতাম প্রেস করাচ্ছেন। আমি প্রতিবাদ করায় এই গোলমাল।” পাল্টা নির্দল প্রার্থীর দাবি, বুথে বুথে দাঁড়িয়ে ভোট করাচ্ছেন তানিয়া পাল। ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের ঝালদার মাঠে নির্মলা এনক্লেভ। সেখানেই কুসুমকুমারী মহাবিদ্যালয়ের কাছে ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪ নম্বর বুথ। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী ঘুরছিলেন। কংগ্রেস প্রার্থী তানিয়া পালের অভিযোগ, এখানে নির্দল প্রার্থী আসলে তৃণমূলেরই ডামি প্রার্থী। কংগ্রেস প্রার্থী যেখানেই যাচ্ছেন, নির্দল প্রার্থীও সেখানেই যাচ্ছেন। পাল্টা নির্দল প্রার্থীর দাবি, তাঁদের এজেন্টকে বিরক্ত করছেন কংগ্রেস প্রার্থী।
জোড়াবাগানে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুললেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিত। তাঁর পোশাক ছিঁড়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। মাহেশ্বরী ভবনের বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে অবৈধ জমায়েত হচ্ছিল। প্রতিবাদ করায় তাঁর উপর হামলা হয়। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।
মীনাদেবী পুরোহিত বলেন, “মারামারি করেছে, ধাক্কাধাক্কি করেছে, গুন্ডা নিয়ে এসেছে। ভোটই করতে দিচ্ছে না। হেনস্থা করছে। শাড়ি খুলে দিয়েছে, ব্লাউজ ছিঁড়ে দিয়েছে। অন্যদের ধাক্কাধাক্কি করছে। সকাল থেকে বুথ জ্যাম করে দিয়েছে। ভোট করতে দিচ্ছে না।”
সবিস্তারে পড়ুন: KMC election 2021 22 Ward: মীনাদেবী পুরোহিতের পোশাক ছেড়ার অভিযোগ, রিপোর্ট তলব কমিশনের
৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল। পিএনটি মাঠ সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূলের ব্যানার, ফ্লেক্স ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থী পাপিয়া ঘোষের। এরপরই এলাকায় পুলিশি টহল শুরু হয়। পাপিয়া ঘোষের অভিযোগ, ধনদেবী খান্না রোডের পিএনটি মাঠ সংলগ্ন তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসে রাতের অন্ধকারে হামলা চালানো হয়। ফ্লেক্স, ব্যানার, পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়।
১০১ নম্বর ওয়ার্ডে কেন্দুয়া গার্লস স্কুলে বুথ দখলের অভিযোগ। পুলিশ নীরব দর্শক বলে অভিযোগ সিপিএমের। রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। শুধু একটি ওয়ার্ডই নয়, একাধিক ওয়ার্ড ঘিরে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ আসছে। প্রথমে রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে কমিশনের তরফ থেকে। যেমন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনাও কমিশনের নজরে এসেছে। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত মিউনিসিপ্যাল রিটার্নিং অফিসার বা এমআরওকে তা দ্রুত মেটানোর নির্দেশ দেয়। ভোটাররা যাতে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারেন।
৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে অশান্তির অভিযোগ। ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। এক যুবককে রাস্তায় ফেলে মারা হয় বলে অভিযোগ। ব্রাবোর্ন রোডের ঘটনা। কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক অভিযোগ তোলেন, বেশ কয়েকজন ভুয়ো ভোটার এখানে ভোট দিচ্ছে। তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতার দাবি , “সন্তোষ একেবারেই নাটক করছে। অযথা ভোটারদের বিরক্ত করছে যাতে মানুষ ভোট না দেন। ভুয়ো ভোটার কার্ড মানে কী! নিজে বানিয়ে নিয়ে এসে লোককে দেখালে কে ধরবে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এখানে পুলিশ আছে। যা বলার ওদের বলুক। ভোটারদের বিরক্ত করার মানে কী।”
সবিস্তারে পড়ুন: ভোট শুরু হতেই ভুয়ো ভোটার তরজা, হাওড়া থেকে লোক আনার অভিযোগ
উত্তর কলকাতার ৫ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের মনোহর অ্যাকাডেমি স্কুলে বিজেপি প্রার্থী শ্রীরাম যাদবের অভিযোগ, তাঁর বুথ এজেন্টকে মারধর করে তুলে দেওয়া হয়েছে। শ্রীরাম যাদব বলেন, “এইখানে গুন্ডাগিরি চলছে। কোনও বুথে এজেন্টকে বসতে দিচ্ছে না। গত দু’দিন ধরে পোলিং এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধমকাচ্ছে। শনিবার রাতে ৬০-৭০ জন তৃণমূল সমর্থক আমাদের অপু শা নামে পোলিং এজেন্টকে বলে এসেছে যেন বুথে না যায়। সকালে ও বুথে এলেও সই করার পর মারধর করে জোর করে তুলে দেওয়া হয়। ভয়ে আর আসতে চাইছে না।”
পাল্টা তৃণমূলের তরুণ সাহা বলেন, “ওই বুথে একটা সিসিটিভি আছে। তা হলে তো তাতে দেখা যাবে সবটা। দেখে নিন কী হয়েছে। কোথা থেকে সব লোকজন এনে সকাল ৮টা বাজতে না বাজতে এসব করছে। ভগবানের নাম করুক শান্তিতে থাকবে। সাধারণ মানুষ এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছে, কোথাও কোনও গল্প নেই। এই তো এত ভোটার আসছে। সিসিক্যামেরা আছে, মোবাইলের যুগ এক মুহূর্তে ছবি ওঠে। বললেই তো আর হয় না।”
১০২ নম্বর ওয়ার্ডে বামপ্রার্থী ভাস্বতী গঙ্গোপাধ্যায়কে পুলিশের সামনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। তৃণমূলনেত্রী জয়া সোমের দিকে অভিযোগের আঙুল। সিপিএমের অভিযোগ, পোলিং এজেন্ট বসতে দেওয়া হচ্ছে না, ভোট করতে দেওয়া হচ্ছে না। পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, সব অভিযোগ মিথ্যা।
রবিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথে ভোটারদের লাইন। শিরশিরে উত্তুরে হাওয়ার আমেজ গায়ে মেখে ভোটদানের অভিজ্ঞতা অতি সম্প্রতি কলকাতাবাসীর নেই। সাধারণত ভোট গরমকালেই হয়। এবার ভোট পড়েছে ডিসেম্বরে। ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডে চলছে ভোটগ্রহণ পর্ব।
Voting begins for Kolkata civic polls, visuals from ward no. 93 Govindpuri Primary School
Voting will be held in 1,776 polling stations. Counting of votes will take place on Dec 21 pic.twitter.com/pMxncj8sKs
— ANI (@ANI) December 19, 2021
৮১ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকেছে বহু বহিরাগত। সিসিটিভি চলছে না, অভিযোগ কংগ্রেস প্রার্থী অনিন্দিতা পালের।
#BREAKING | ৮১ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকেছে বহু বহিরাগত। সিসিটিভি চলছে না, অভিযোগ কংগ্রেস প্রার্থী অনিন্দিতা পালের
সব খবর: https://t.co/jStrFV256q#KMCElection2021 | #কলকাতাপুরভোট২০২১ | #KolkataMunicipalelection2021 pic.twitter.com/MD4gOGgLwu
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) December 19, 2021
২০ নম্বর ওয়ার্ডে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা কাগজ দিয়ে ঢেকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। চারটি সিসিক্যামেরা অকেজো করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরেই বিরোধী দলের তরফে বলা হচ্ছিল, বুথে বুথে হাইকোর্ট সিসিক্যামেরা বসাতে বললেও শাসকদলের লোকজন তা অকেজো করে দেওয়ার চেষ্টা করবে। রবিবার ভোটের সকালে তেমন অভিযোগই উঠে এল। যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক তথা ডিসট্রিক্ট মিউনিসিপ্যাল রিটার্নিং অফিসার এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের বুধেরহাট ফ্রি প্রাইমারি স্কুল ও অজয়নগর ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের বুথে বিরোধীদের এজেন্ট না ঢুকতে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীরামকৃষ্ণ হোমে অশান্তির অভিযোগ। নির্দল প্রার্থীর এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পুলিশ ও প্রিসাইডিং অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপি ও নির্দলের যাঁরা প্রার্থী তাঁরা সেখানে রয়েছেন। কেন এজেন্ট বসতে দেওয়া হবে না এ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি।
কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে টাকি বয়েজ স্কুল। সেখানে সিসিক্যামেরা খুলে নেওয়ার অভিযোগ ঘিরে রবিবার সকালে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। ভোটগ্রহণ পর্ব শুরুর আগেই গোলমাল বাধে সেখানে। পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস প্রার্থী নন্দন ঘোষের বচসার পরিস্থিতি তৈরি হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ মক পোলিংয়ের জন্য কংগ্রেসের এজেন্ট বুথে বসতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এমনকী বাধা উপেক্ষা করে বুথের ভিতরে গিয়ে বসতে চাইলে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এই অভিযোগকে সামনে রেখেই বুথের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কংগ্রেস প্রার্থী ও তাঁর পোলিং এজেন্টরা। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টদের ভিতরে ঢোকার ব্যবস্থা করে দেন।
ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসতে শুরু করেছে। ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের মুকুল বোস স্কুলে সিপিআইএম এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ। সিসিটিভি বন্ধ করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
ভোটের কলকাতা মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার বলয়ে। এরইমধ্যে তারাতলা থানা এলাকায় নাকা তল্লাশির সময় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ। অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। বজবজ থেকে আসার পথে তারাতলা থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই দু’জনকে।
সবিস্তারে পড়ুন: ভোটের কলকাতায় অস্ত্র-সহ গ্রেফতার দুই, উদ্ধার কার্তুজও
সাড়ে ৯০০ প্রার্থীর ভাগ্য পরীক্ষা আজ। সকাল ৭টা থেকে শুরু ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে কলকাতা পুলিশ। ২৩ হাজার ৫০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে কলকাতায়। যার মধ্যে ১৮ হাজার কলকাতা পুলিশের কর্মী। বাকি সাড়ে ৫ হাজার রাজ্য পুলিশের কর্মী। সকাল থেকে রাস্তায় পুলিশের ১৮ জন ডিসি। শহরজুড়ে ২০০ পুলিশ পিকেট। মোতায়েন করা হয়েছে ৭৮টি কুইক রেসপন্স টিম। ৩৫টি স্পর্শকাতর এলাকায় থাকছে হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড। শনিবার রাত থেকেই বহিরাগত রুখতে শুরু হয় জায়গায় জায়গায় নাকা চেকিং। পুরভোটের জন্য চালু হয়েছে কনট্রোল রুমও।
রবিবার সকাল ৬ টায় শুরু মক পোল। কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনের জন্য ৫০০ ফোর্স বাড়ানো হচ্ছে। কিছু ফোর্স পাঠানো হবে বুথে এবং কিছু ফোর্স এলাকায় এলাকায় টহল দেবে। উল্লেখ্য, কমিশন বিশেষ নজর দিয়েছে জিউইশ গার্লস স্কুলে। ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই স্কুলের একদিকে পার্ক স্ট্রিট, অন্যদিকে রয়েড স্ট্রিট।
শুক্রবারের পর শনিবারও ভোটের শহর ঘুরে দেখেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। মোট পাঁচটি জায়গায় ভোটপর্বের পুলিশি প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তিনি। ডিভিশনাল ডিসি ও থানার ওসি, ট্রাফিক গার্ডের ওসিদের সঙ্গে কথা বলেন। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন নগরপাল।