কেজরী কাণ্ডে উঠল তাপস রায়ের নামও, ‘INDIA’ জোটের সঙ্গে কমিশনে তৃণমূলও
INDIA bloc Election Commission: বিরোধী দলের কোন নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি কবে কোথায় পদক্ষেপ করছে, একেবারে পরিসংখ্যান ধরে ধরে তা কমিশনকে জানিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। এই বিষয়ে কমিশনে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে স্মারকলিপিতে রয়েছে সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তাপস রায়ের নামও।
নয়া দিল্লি: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল ইন্ডিয়া জোট। এদিন কমিশনে যান ইন্ডিয়া জোটের এক প্রতিনিধি দল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধি দলে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরাও। বিরোধী দলের কোন নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি কবে কোথায় পদক্ষেপ করছে, একেবারে পরিসংখ্যান ধরে ধরে তা কমিশনকে জানিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। এই বিষয়ে কমিশনে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে স্মারকলিপিতে রয়েছে সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তাপস রায়ের নামও। এছাড়া, তৃণমূল কংগ্রেসের সুজিত বসু, মহুয়া মৈত্র এবং শংকর আঢ্যর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিন ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধি দলে ছিলেন কংগ্রেসের কেসি বেনুগোপাল, ডা. অভিষেক মনু সিংভি, তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়ান, মহম্মদ নাদিমুল হক, সিপিআই এম-এর সীতারাম ইয়েচুরি, আপের সন্দীপ পাঠক, পঙ্কজ গুপ্ত, এনসিপি (শরদ পওয়ার) দলের জিতেন্দ্র অওহাদ, ডিএমকের পি উইলসন এবং সমাজবাদী পার্টির জাভেদ আলি। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক গোড়ায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবালকে গ্রেফতার করা নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি পাশে দাঁড়িয়েছে কেজরীবালের। কেজরীবালের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
ইন্ডিয়া জোটের শুরু থেকেই এই জোটের অংশ ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, নির্বচনের আসন ভাগাভাগি নিয়ে মতানৈক্যের জেরে, ইদানিং ইন্ডিয়া জোটের থেকে অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার ৪২টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ঘাসফুল শিবির জানিয়েছিল, ভোটের পর বিজেপিকে আটকাতে তারা বিজেপি বিরোধী জোটেই থাকবে। কিন্তু, কেজরীবালের গ্রেফতারি অনেক অঙ্কই বদলে দিয়েছে। ইন্ডিয়া জোটের নেতারা যে নির্বাচন কমিশনে যাবেন, তা প্রথম জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী নেতাদের যেভাবে নিশানা করছে কেন্দ্রীয় সরকার, সেই সংক্রান্ত উদ্বেগগুলির সমাধানে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করবে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। বিশেষ করে আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ার পরও যেভাবে বিরোধী নেতাদের নিশানা করা হচ্ছে এবং গ্রেফতার করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে আপত্তি জানাবেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। প্রসঙ্গত, ১৬ মার্চ নির্বাচনের সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সেই দিন থেকেই আদর্শ আচরণবিধিও চালু হয়েছে।