Priyanka Gandhi: কংগ্রেসিদের প্রতীক্ষার অবসান, ভোট রাজনীতিতে প্রিয়ঙ্কার অভিষেক! আমেঠিতে রাহুল বনাম স্মৃতি

Mar 06, 2024 | 4:37 PM

Priyanka Gandhi poll debut: দীর্ঘদিন ধরে এই মুহূর্তের প্রতীক্ষায় ছিলেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। অবশেষে ভোট রাজনীতিতে পা রাখতে চলেছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। সূত্র মতে, মায়ের ছেড়ে যাওয়া রায়বরেলি আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। অন্যদিকে, আমেঠিতে আরও একবার দেখা যাবে রাহুল গান্ধী বনাম স্মৃতি ইরানির লড়াই।

Priyanka Gandhi: কংগ্রেসিদের প্রতীক্ষার অবসান, ভোট রাজনীতিতে প্রিয়ঙ্কার অভিষেক! আমেঠিতে রাহুল বনাম স্মৃতি
ভারত জোড়ো ন্যা যাত্রায় একসঙ্গে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা
Image Credit source: Twitter

Follow Us

নয়া দিল্লি: কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে, নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চলেছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে, উত্তর প্রদেশে দলের শক্ত ঘাঁটি রায়বরেলি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রিয়ঙ্কা। অন্যদিকে, তাঁর দাদা, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সম্ভবত আরও একবার ভাগ্য পরীক্ষা করবেন উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত আরেক কেন্দ্র, আমেঠি থেকে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তিনি বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। তাই, আমেঠিকে আর কংগ্রেসের গড় বলা যায় কিনা, তা নিয়ে তর্ক করা য়েতে পারে। ইতিমধ্যে, এই কেন্দ্র থেকে স্মৃতি ইরানিকে ফের টিকিট দিয়েছে বিজেপি। কাজেই, আরও একবার আমেঠিতে স্মৃতি বনাম রাহুল লড়াই দেখা যেতে পারে।

আমেঠিতে জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত নন রাহুলও। শোনা যাচ্ছে, আমেঠির পাশপাশি, কেরলের ওয়ানাড় আসন থেকেও লড়বেন রাহুল গান্ধী। গত বছর, আমেঠিতে হারলেও, ওয়ানাড়ই রাহুল গান্ধীকে লোকসভায় পাঠিয়েছিল। তাঁর মান রক্ষা করেছিল। তবে, ওয়ানাড়েও এবার তাঁর জন্য কঠিন লড়াই অপেক্ষা করে আছে। এই কেন্দ্রে ইন্ডিয়া জোটের শরিক সিপিআই প্রার্থী দিতে চলেছে। শোনা যাচ্ছে এই কেন্দ্রে সিপিআই প্রার্থী করতে পারে অ্যানি রাজাকে। তিনি সিপিআই-এর মহিলা সংগঠন, ভারতীয় মহিলা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তথা সিপিআই দলের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী।

তবে রাহুল নয়, রাজনৈতিক মহলের চর্চায় এখন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। এতদিন, রায়বরেলি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতেন, তাঁর মা তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। কিন্তু, স্বাস্থ্যের কারণে লোকসভা নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সনিয়া। জানিয়েছেন, রায়বরেলিকে উপযুক্ত সময় দিতে পারছেন না। তিনি লোকসভা থেকে রাজ্যসভায় সরে গিয়েছেন। রাজস্তান থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন সনিয়া। গত পাঁচবার তিনি রায়বরেলি কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। এমনকি, ২০১৯ সালে উত্তর প্রদেশ থেকে লোকসভায় কংগ্রেস আর কোনও আসনে না জিতলেও, নিজের কেন্দ্রটি ধরে রেখেছিলেন সনিয়া।

অন্যদিকে, নির্বাচনী রাজনীতিতে এখনও পা না রাখলেও, ২০২২ সালের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে কংগ্রেস দলের অন্দরে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। বিধানসভা নির্বাচনে, কংগ্রেসকে একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর, ‘লড়কি হুঁ লড় সকতি হুঁ’ কর্মসূচি দারুণ সাড়া পেলেছিল। তবে, ইভিএম-এ তার কোনও ছাপ পড়েনি। আমেঠি, রায়বরেলিতেও হতাশাজনক ফল হয়েছিল। এই দুই এলাকা মিলিয়ে মোট দশটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। ২০২২-এর নির্বাচনে একটি জায়গাতেও কার্যত দাঁত ফোটাতে পারেনি কংগ্রেস। এবার কী হবে?

Next Article