KMC Election: পুরভোটের প্রচারে কোনও খামতি নয় ঘাসফুল শিবিরের! উত্তর কলকাতাতেও সভা করবেন মমতা
KMC Election: বিধানসভা ভোটের পর উপ নির্বাচনেও ভালো ফল করেছে তৃণমূল। তবু পুরসভা নির্বাচনের প্রচারে কোনও ফাঁক রাখতে চায় না ঘাসফুল শিবির।
কলকাতা : বিধানসভা নির্বাচন বা উপ নির্বাচনের ফলাফল থেকেই রাজনৈতিক মহলের অনুমান পুরভোট শাসক দলের কাছে কঠিন হবে না। তবে, পুরভোটকে মোটেই হালকা মেজাজে নিচ্ছে না ঘাসফুল শিবির। জোরকদমে চলছে প্রচার। ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে দলীয় কর্মীদের বার্তাও দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রচারের ওজন বাড়াতে সভা করবেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দক্ষিণ কলকাতায় মমতার জোড়া সভার কথা আগেই জানানো হয়েছিল দলের তরফে। এবার জানা গিয়েছে, তিনি সভা করবেন উত্তর কলকাতাতেও (North Kolkata)।
পুরভোটের প্রচারের শেষ দিনে অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ কলকাতার জন্য সভা করার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে, উত্তর কলকাতা নিয়ে টানাপোড়েন ছিল। অবশেষে তা মিটল। কলকাতা পুরভোটের জন্য় আগামী ১৫ ডিসেম্বর ফুলবাগান মোড়ে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর কলকাতার দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে হবে তাঁর এই সভা।
১৬ ডিসেম্বর পরপর দুটি সভা রয়েছে তাঁর। প্রথম সভাটি করবেন বাঘাযতীন যুব সংঘের মাঠে। যাদবপুর ও বাঘাযতীন সংলগ্ন এলাকার ওয়ার্ডগুলির জন্য প্রচার করবেন তিনি। দ্বিতীয় সভাটি রয়েছে বেহালায়। বেহালা সংলগ্ন এলাকায় প্রচার করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের প্রার্থীদের বারবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা তৃণমূলের আমলে পুরসভার তত্ত্বাবধানে হওয়া উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। মমতাও সম্ভবত সেই বার্তাই দিতে পারেন সাধারণ মানুষকে।
প্রচারের ময়দানে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর প্রচারে নামবেন তিনি। তবে তিনি সভা করবেন নাকি মিছিল, তা নিয়ে এখনও দলের অন্দরে আলোচনা চলছে।
সূত্রের খবর, দলের অন্দরে মমতা বার্তা দিয়েছেন, নিজের কোমরের জোরে জিততে হবে। বাইরের কোনও লোক যেন ভোটের দিন কলকাতায় না বসে থাকে। তবে ভোটের প্রচারে কলকাতা লাগোয়া নেতারা প্রচারে আসবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রচারে বক্তৃতা দেওয়া ছাড়া ওই নেতাদের কোনও ভূমিকা যেন না থাকে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা ও অভিষেক।
এ দিকে গত সপ্তাহেই ১৪৪ টি ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠর করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের দিন যাতে কোথাও কোনও গণ্ডগোল না হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন অভিষেক। কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে যদি কোথাও ভোটদানে বাধা দেওয়া বা অন্য কোনও বিশৃঙ্খলা অভিযোগ ওঠে, সে ক্ষেত্রে দল তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেই জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূল চায়, ভোট ঘিরে দলের ভাবমূর্তিতে যেন কোনও প্রভাব না পড়ে। শুধু তাই নয়, একাধিক ওয়ার্ডে টিকিট হাতছাড়া হওয়ায় বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে প্রার্থীদের মধ্যে, অনেকেই নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করার বার্তাও দিয়েছিলেন অভিষেক। সেই মতো ইতিমধ্যে তনিমা চট্টোপাধ্যায়ও সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
পাশাপাশি প্রচারের ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন অভিষেক। যেহেতু হাতে সময় বেশি নেই, তাই দু বেলাই প্রচারের কর্মসূচি রাখার কথা বলেছেন তিনি। গত কয়েক বছরে কলকাতার উন্নতিতে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা কী কী কাজ করেছে সে গুলো তুলে ধরতে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।