Mamata Banerjee on BSF: ‘বিএসএফ নিজের কাজ করুক, আইনশৃঙ্খলা পুলিশের বিষয়’, ফের বিএসএফ নিয়ে সরব মমতা! পাল্টা চিঠি ধনখড়ের

Governor Jagdeep Dhankhar: রাজ্যপাল চিঠিতে লেখেন, মুখ্যমন্ত্রী বিএসএফ নিয়ে যা বলছেন তাতে উদ্বিগ্ন তিনি।

Mamata Banerjee on BSF: 'বিএসএফ নিজের কাজ করুক, আইনশৃঙ্খলা পুলিশের বিষয়', ফের বিএসএফ নিয়ে সরব মমতা! পাল্টা চিঠি ধনখড়ের
বিএফএফের এক্তিয়ার ইস্যুতে সামনে আসছে রাজ্য ও রাজপাল সংঘাত। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2021 | 5:44 PM

কলকাতা: কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ফের বিএসএফ নিয়ে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, বিএসএফ তাদের কাজ করবে। পুলিশকে পুলিশের কাজ করতে হবে। কোনও ভাবেই সাধারণ মানুষের উপর কোনও অত্যাচার তিনি সহ্য করবেন না। এদিকে এই বিএসএফ ইস্যুতেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিনই সেই চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। সেখানে রাজ্যপালের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী বিএসএফ নিয়ে যা বলছেন তাতে উদ্বিগ্ন তিনি।

বৃহস্পতিবার নদিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেন, “আইসিদের বলব একটু বেশি করে ঘোরাঘুরি বাড়ান। নাকাচেকিং বাড়ান। আপনাদের বাংলাদেশ বর্ডার রয়েছে। করিমপুর থেকে শুরু করে। আপনাদের সেদিকে নজর রাখতে হবে। বিএসএফ যাতে এলাকায় গিয়ে কোনও রকম আপনার অনুমতি ছাড়া কোনও কিছুতে জড়িয়ে পড়তে না পারে সেটাও দেখতে হবে। বিএসএফ বিএসএফের কাজ করবে। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। আইনশৃঙ্খলা পুলিশের বিষয়। মানুষের উপর কোনও অত্যাচার হোক এটা আমি কখনওই সহ্য করব না।”

গত ৭ ডিসেম্বর উত্তর দিনাজপুরের কর্ণজোড়ায় প্রশাসনিক বৈঠক ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিএসএফের এক্তিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। সেখানেও বিএসএফ যাতে স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কোনও কাজ করে সেটা বিডিয়ো ও আইসিকে দেখতে হবে।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সেই মন্তব্যকে উদ্ধৃত করেই লেখেন, ‘বিএসএফ নিয়ে মমতার বক্তব্যে উদ্বিগ্ন। পুলিশ-বিএসএফের মধ্যে সংঘাত কাম্য নয়। দুই বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার মানসিকতা থাকা প্রয়োজন।’ চিঠিতে লেখা হয়েছে, বিএসএফের এক্তিয়া আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত নয়, তা বাড়িয়ে কেন্দ্র ৫০ কিলোমিটার করেছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী যা বলছে, তাতে সংঘাতের আবহ তৈরি হয় বলেও উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল।

কী বলছে কেন্দ্র আন্তর্জাতিক সীমান্তে অপরাধ ঠেকানোই লক্ষ্য। মাদক, অস্ত্র, চোরাচালন, গরুপাচার, জালনোটের কারবার ঠেকানো দরকার। সমস্ত রাজ্যে বিএসএফের এক্তিয়ার সমান রাখা দরকার।

কী বলছে সুপ্রিম কোর্ট নভেম্বর ১৯৯৭ সালে নাগা পিপলস মুভমেন্ট অব হিউম্যান রাইটস বনাম ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট রায় দেয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন কখনওই রাজ্যের অধিকার খর্ব করে করা যাবে না। রাজ্যের সহযোগিতা চাইতে হবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে।

কী বলছে রাজ্য বাংলা ও পঞ্জাবের দাবি, রাজ্যকে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই দুই রাজ্যের আশঙ্কা বিএসএফকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের নেতাদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হতে পারে।

আরও পড়ুন: Coal Scam Case: কয়লাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়! গ্রেফতার বিনয় মিশ্রের ভাই