Congress Letter to Preneet Kaur: অমরিন্দরের পাশে কেন? ক্যাপ্টেন-পত্নীর দলবিরোধী আচরণের ব্যাখ্যা চাইল কংগ্রেস

Anti-Party Activity of Preneet Kaur: কংগ্রেস সাংসদ হয়েও বিরোধী দলের সূচনায় উপস্থিতি ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। এবার কী তবে অমরিন্দরের হাত ধরেই কংগ্রেস ছাড়তে চলেছেন তাঁর স্ত্রীও?

Congress Letter to Preneet Kaur: অমরিন্দরের পাশে কেন? ক্যাপ্টেন-পত্নীর দলবিরোধী আচরণের ব্যাখ্যা চাইল কংগ্রেস
অমরিন্দর সিংয়ের স্ত্রী তথা কংগ্রেস সাংসদ প্রীণীত কৌর।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 25, 2021 | 7:35 AM

চণ্ডীগঢ়: ক্যাপ্টেন দল ছাড়লেও এখনও কংগ্রেস(Congress)-এই রয়েছেন তাঁর স্ত্রী তথা সাংসদ প্রীণীত কৌর(Prennet Kaur)। এ বার তাঁর বিরুদ্ধেই দলবিরোধী কার্যকলাপের (Anti-Party Activity) অভিযোগ আনল কংগ্রেস। একইসঙ্গে তাঁর কাছে এই ধরনের আচরণের ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে। পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন (Punjab Assembly Election 2022) যতই এগিয়ে আসছে, ততই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংকে নিয়ে চাপ বাড়ছে কংগ্রেসের অন্দরে।

বুধবার পঞ্জাবে কংগ্রেসের ইন চার্জ হরিশ চৌধুরি (Harish Choudhury) দলের সদস্য তথা সাংসদ প্রীণীত কৌরকে চিঠি দিয়ে জানান যে, তিনি ক্রমাগত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্প্রচারিত খবর ও প্রতিবেদন এবং পাটিয়ালার বিভিন্ন নেতাদের কাছ থেকে দলবিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কে খবর মিলছে। তাঁর এই আচরণের পিছনে ব্যাখ্যা কী, তা জানাতে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। প্রণীত কৌরের জবাবের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে এক প্রকার বাধ্য হয়ে ইস্তফা দেওয়ার পরই কংগ্রেস ছেড়েছিলেন অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh)। ঘোষণা করেছিলেন নিজের নতুন দলের। সেই প্রতিশ্রুতি মতোই চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি নিজের দল “পঞ্জাব লোক কংগ্রেস”-র ঘোষণা করেন। কংগ্রেসকে টক্কর দিতে ১১৭ টি আসনেই লড়বেন তিনি, এ কথাও জানান। সেই সময় তাঁর পাশে ছিলেন স্ত্রী প্রীণীত কৌর। কংগ্রেস সাংসদ হয়েও বিরোধী দলের সূচনায় উপস্থিতি ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। এবার কী তবে অমরিন্দরের হাত ধরেই কংগ্রেস ছাড়তে চলেছেন তাঁর স্ত্রীও?

সম্প্রতিই একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রীণীত কৌর বলেছিলেন, “ক্যাপ্টেন অমরিন্দর বরাবরই নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। আমি আমার পরিবারের সঙ্গেই রয়েছি।”

এদিকে, কংগ্রেসের ভিতরে গুঞ্জন, অমরিন্দর-সিধুর বিরোধিতা যে এতটা চরমে পৌঁছবে, তা কল্পনাই করতে পারেনি শীর্ষ নেতৃত্ব। সিধুকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বানানোর জন্য অমরিন্দর সিংয়ের উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করেছিল শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপর নভেজ্যোত সিং সিধু দায়িত্ব পেতেই, তাঁর ঘনিষ্ঠরা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অমরিন্দর সিংয়ের ইস্তফার দাবি করেন। ক্ষোভে, অপমানেই কংগ্রেসের সঙ্গে ৪০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করেন অমরিন্দর সিং।

মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়ার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘিরে তৈরি হয়েছিল নতুন জল্পনা। কিন্তু অমরিন্দর সিং নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন না। পরে বিজেপির তরফে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হলে তিনিও জানান, কৃষি আইন ও কৃষক আন্দোলনের সমাধান হলে বিজেপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করতে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। আপাতত সেই পথেই এগোচ্ছে অমরিন্দর-বিজেপি জোট।

অন্যদিকে, পঞ্জাবে কংগ্রেসের এই অন্তর্দ্বন্দ্ব জনসমর্থনেও প্রভাব ফেলেছে বলে দাবি একাংশের। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার ছিল কৃষি আইন। গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর সেই সুযোগও হারিয়েছে কংগ্রেস। দলের বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। সবমিলিয়ে ল্যাজেগোবরে অবস্থা কংগ্রেসের।