চণ্ডীগঢ়: আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, মণিপুরের পাশাপাশি পঞ্জাবের সাধারণ জনগণও ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ইতিমধ্যে পঞ্জাবের ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে নাটকীয় ইস্তফা ও কংগ্রেস ত্যাগের পর থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে কংগ্রেসের অন্তঃকলহ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় শতাব্দী প্রাচীন এই দল। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে না। কংগ্রেস সূত্রে খবর, ভোট বৈতরণী পার হতে যৌথ নেতৃত্বেই ভরসা রাখতে চান সনিয়া-রাহুলরা।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, খুব দ্রুতই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস হাই কমান্ড। যদিও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া কংগ্রেসের জন্য সহজ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ সেপ্টেম্বর মাসে ক্যাপ্টেন অমরিন্দরের ইস্তফার পর প্রথম দলিত মুখ হিসেবে চরণজিৎ সিং চন্নিকে দায়িত্ব দিয়েছিল কংগ্রেস। এই অল্প সময়ের ব্যবধানে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা কংগ্রেসকে সমস্যায় ফেলতে পারে, কারণ এর ফলে ভোটারদের কাছে ভুল বার্তাও যেতে পারে বলে মনে করছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। যদিও পঞ্জাব কংগ্রেসের বেশিরভাগ নেতাই মনে করেন, জাতিবাদ সমীকরণে ভারসাম্য রাখার জন্য যৌথ নেতৃত্বের পথে হাঁটা উচিৎ।
নির্বাচনের আগে পঞ্জাব কংগ্রেসের স্ক্রিনিং কমিটি একাধিক বার রাজ্য কংগ্রেসের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক পঞ্জাব কংগ্রেসের এক নেতা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে, বৈঠকে তাঁরা শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন যে নির্বাচনে যৌথ নেতৃত্বের ওপর ভরসা করেই এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। এর ফলে ভোটে মেরুকরণের সম্ভবনাও কমবে বলেই মনে করছেন সিংহভাগ কংগ্রেস নেতা। কারণ মুখ্যমন্ত্রী চন্নি দলিত সম্প্রদায় থেকে হওয়া কারণে সেই অংশের সমর্থন পাওয়া গেলেও পঞ্জাবে বেশিরভাগ ভোটারই শিখ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের।
উল্লেখযোগ্যভাবে, পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে একজন জাট শিখ নভজ্যোত সিং সিধু, এবং একজন জাট নেতা সুনীল জাখরকে , নির্বাচনী প্রচার কমিটির প্রধান হিসাবে নিযুক্ত করে জাতপাতের সমীকরণে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস। একইরকমভাবে সরকারেও জাত সমীকরণে ভারসাম্য বজায় রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী চন্নি দলিত সম্প্রদায়ের হলেও, উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুখজিন্দর সিং রনধাওয়া একজন জাট শিখ, অন্য উপ-মুখ্যমন্ত্রী ওপি সোন হিন্দু সম্প্রদায় থেকে এসেছেন।