নয়া দিল্লি: দেশের রাজনীতি এখন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, লোকসভা নির্বাচনের ২ বছর বাকি থাকলেও এই নির্বাচনই আসলে লোকসভার সেমি ফাইনাল। কারণ এই নির্বাচনে উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাবের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলিতে নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে শেষ মুহূর্তে প্রচার তুঙ্গে নিয়ে যেতে ব্যস্ত সব রাজনৈতিক দলগুলিই। এবার পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের (Punjab Assembly Election) দিকে অনেকের বাড়তি নজর রয়েছে। শেষ কবে সীমান্তবর্তী রাজ্য পঞ্জাব নির্বাচন নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে এত জলঘোলা হয়েছে, সেই কথা মনে করতে পারছেন না অনেকে। তার অন্যতম বড় কারণ হল পঞ্জাবের শাসক কংগ্রেসের দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব। বেশ কদিন ধরে কংগ্রেস হাইকমান্ডের মাথা ব্যথার অন্যতম বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নেতাদের কোন্দল। কোন্দল সামাল দিতে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করা না হলেও পরে মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঘোষণার ইঙ্গিত দেন স্বয়ং রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। আবার শোনা গিয়েছিল পঞ্জাবে কোন্দল সামাল দিতে ১৯৯৬ সালের উত্তর প্রদেশ মডেল অনুসরণ করতে পারে কংগ্রেস। সেই সময় উত্তর প্রদেশে বিজেপি সবথেকে বেশি আসন পেলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার মায়াবতীকে মুখ্যমন্ত্রী করতে বাধ্য হয় দল। শর্ত ছিল পাঁচ বছরের শাসনকালে ৬ মাস মায়াবতী ও ৬ মাস বিজেপির কল্যাণ সিং মুখ্যমন্ত্রী থাকবে। স্বাভাবিক ভাবেই সেই মডেল কাজ করেনি। পঞ্জাবের ক্ষেত্রেও কংগ্রেস সেই ‘ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী’ মডেল বেছে নিতে পারে বলেও শোনা গিয়েছিল।
শনিবার শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ‘ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী’ নিয়ে পঞ্জাবের রাজনীতিতে যে জল্পনা চলছে কংগ্রেস সূত্রে সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এনডিটিভিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, আগামীকাল সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঘোষণা করতে পারেন রাহুল গান্ধী এবং জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে একজনের নামই ঘোষণা করা হবে। অনেকেই মনে করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিধুর নাম ঘোষণা করা হতে পারে। বেআইনি বালি খাদান মামলাই ইডির হাতে চন্নির ভাইপোর গ্রেফতারির পর এই সম্ভাবনা অনেকটাই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছিল বলেই মনে করেছিলেন অনেকে। কিন্তু কংগ্রেস সূত্রে সেই জল্পনাতেও জল ঢেলে দেওয়া হল।
কোনও রাখঢাক না করেই চন্নিকে আক্রমণে নেমেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সিধু। গতকালই তিনি বলেছিলেন, দলের এমন একজনকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করা উচিৎ যাঁর ‘সৎ ও স্বচ্ছ’ ভাবমূর্তি রয়েছে। চন্নির ভাইপো ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর সিধু ‘সুযোগের সদব্যবহার’ করেছেন বলেই মনে করছিলেন অনেকে কারণ কংগ্রেস সূত্রে চন্নিকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে তুলে ধরার সম্ভাবনাই প্রবল ছিল। এমনিক ফোন কলের মাধ্যমে দলের তরফে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মুখ নিয়ে যে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে, তাতেও চন্নি সিধুর থেকে এগিয়ে বলেই জানা গিয়েছে। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাহুল গান্ধী কার নাম ঘোষণা করেন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
নয়া দিল্লি: দেশের রাজনীতি এখন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, লোকসভা নির্বাচনের ২ বছর বাকি থাকলেও এই নির্বাচনই আসলে লোকসভার সেমি ফাইনাল। কারণ এই নির্বাচনে উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাবের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলিতে নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে শেষ মুহূর্তে প্রচার তুঙ্গে নিয়ে যেতে ব্যস্ত সব রাজনৈতিক দলগুলিই। এবার পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের (Punjab Assembly Election) দিকে অনেকের বাড়তি নজর রয়েছে। শেষ কবে সীমান্তবর্তী রাজ্য পঞ্জাব নির্বাচন নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে এত জলঘোলা হয়েছে, সেই কথা মনে করতে পারছেন না অনেকে। তার অন্যতম বড় কারণ হল পঞ্জাবের শাসক কংগ্রেসের দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব। বেশ কদিন ধরে কংগ্রেস হাইকমান্ডের মাথা ব্যথার অন্যতম বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নেতাদের কোন্দল। কোন্দল সামাল দিতে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করা না হলেও পরে মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঘোষণার ইঙ্গিত দেন স্বয়ং রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। আবার শোনা গিয়েছিল পঞ্জাবে কোন্দল সামাল দিতে ১৯৯৬ সালের উত্তর প্রদেশ মডেল অনুসরণ করতে পারে কংগ্রেস। সেই সময় উত্তর প্রদেশে বিজেপি সবথেকে বেশি আসন পেলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার মায়াবতীকে মুখ্যমন্ত্রী করতে বাধ্য হয় দল। শর্ত ছিল পাঁচ বছরের শাসনকালে ৬ মাস মায়াবতী ও ৬ মাস বিজেপির কল্যাণ সিং মুখ্যমন্ত্রী থাকবে। স্বাভাবিক ভাবেই সেই মডেল কাজ করেনি। পঞ্জাবের ক্ষেত্রেও কংগ্রেস সেই ‘ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী’ মডেল বেছে নিতে পারে বলেও শোনা গিয়েছিল।
শনিবার শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ‘ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী’ নিয়ে পঞ্জাবের রাজনীতিতে যে জল্পনা চলছে কংগ্রেস সূত্রে সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এনডিটিভিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, আগামীকাল সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঘোষণা করতে পারেন রাহুল গান্ধী এবং জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে একজনের নামই ঘোষণা করা হবে। অনেকেই মনে করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিধুর নাম ঘোষণা করা হতে পারে। বেআইনি বালি খাদান মামলাই ইডির হাতে চন্নির ভাইপোর গ্রেফতারির পর এই সম্ভাবনা অনেকটাই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছিল বলেই মনে করেছিলেন অনেকে। কিন্তু কংগ্রেস সূত্রে সেই জল্পনাতেও জল ঢেলে দেওয়া হল।
কোনও রাখঢাক না করেই চন্নিকে আক্রমণে নেমেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সিধু। গতকালই তিনি বলেছিলেন, দলের এমন একজনকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করা উচিৎ যাঁর ‘সৎ ও স্বচ্ছ’ ভাবমূর্তি রয়েছে। চন্নির ভাইপো ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর সিধু ‘সুযোগের সদব্যবহার’ করেছেন বলেই মনে করছিলেন অনেকে কারণ কংগ্রেস সূত্রে চন্নিকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে তুলে ধরার সম্ভাবনাই প্রবল ছিল। এমনিক ফোন কলের মাধ্যমে দলের তরফে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মুখ নিয়ে যে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে, তাতেও চন্নি সিধুর থেকে এগিয়ে বলেই জানা গিয়েছে। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাহুল গান্ধী কার নাম ঘোষণা করেন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।