চণ্ডীগঢ়: নতুন বছরের শুরুদিকেই উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর, গোয়ার সঙ্গে পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। প্রচারে নেমে পড়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু এই আবহেই পঞ্জাবে পরপর ঘটে গিয়েছে কয়েকটি গুরুতর ঘটনা। গত সপ্তাহেই অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দির শিখদের ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিবকে অপবিত্র করার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল। এই নিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পঞ্জাবের রাজনীতি। গণপিটুনি নিয়ে উত্তাপের মাঝেই, গতকাল, ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে লুধিয়ানা আদালত। এই দুই ইস্যুকে সামনে রেখে পঞ্জাবের কংগ্রেস পরিচালিত চরণজিৎ চন্নি সরকারকে আক্রমণ করতে শুরু করেন বিরোধীরা।
আজ, কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নি জানিয়েছেন, কাপুরথালা গুরুদ্বারে, ধর্মীয় স্থান অপবিত্র করার অভিযোগে যে ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল, সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও প্রমাণ মেলেনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই গণপিটুনি মামলায় তদন্ত করছে পুলিশ। চন্নি জানিয়েছেন স্বর্ণ মন্দিরের গণপিটুনির ঘটনারও তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
কাপুরথালার নিজামপুর গ্রামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি গুরুদ্বারের উপর থেকে নিশান সাহেবকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর, সেই গুরুদ্বারে কোনও অপবিত্রতার ঘটনা ঘটনি বরং, ওই লোকটি চুরি করে পালানোর চেষ্টা করায় উন্মত্ত জনতার প্রহারে তিনি প্রাণ হারিয়েছিলেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনেও দাবি করা হয়েছে, ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন। ওই ব্যক্তির ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসক ডাঃ নরিন্দর সিং বলেন, “পোস্টমর্টেমে জানা গেছে যে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে যার ফলে একাধিক জখম হয়েছে…আমরা লাশ শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ নমুনা নিয়েছি।” ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি দেহে ৩০ টি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চিহ্ন রয়েছে।
আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২ লক্ষ টাকা অবধি কৃষকদের ঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ১০ দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন চন্নি। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার মাদক মাফিয়াদের নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে, সেই কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন Omicron Variant: ওমিক্রনই শেষ নয়, তবে সম্ভবত করোনার শেষ ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’