Omicron Variant: ওমিক্রনই শেষ নয়, তবে সম্ভবত করোনার শেষ ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’

Spread of COVID 19 Omicron Variant: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রনই হয়ত শেষ নয়, এর পরেও করোনার আরও অন্যান্য় ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে। কিন্তু আশার বাণী, সেগুলি আর উদ্বেগের হবে না। সম্ভবত ওমিক্রনই করোনার শেষ 'ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন'।

Omicron Variant: ওমিক্রনই শেষ নয়, তবে সম্ভবত করোনার শেষ 'ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন'
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 24, 2021 | 5:43 PM

নয়া দিল্লি : দাঁত নখ বের করছে ওমিক্রন। দেশে সংক্রমণ দুশোর গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। বলা হচ্ছে, ডেল্টার থেকেও বেশি দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে ওমিক্রন। করোনার কাঁটায় বিদ্ধ গোটা বিশ্ব। প্রায় দুই বছর করোনার সঙ্গ যুঝতে হচ্ছে। কিন্তু আর কতদিন? কবে রেহাই মিলবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রনই হয়ত শেষ নয়, এর পরেও করোনার আরও অন্যান্য় ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে। কিন্তু আশার বাণী, সেগুলি আর উদ্বেগের হবে না। সম্ভবত ওমিক্রনই করোনার শেষ ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’।

ভাইরাসগুলি জীবিত কি না তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ থাকতেই পারে। তবে এটা প্রমাণিত যে, তারা বিবর্তিত হয়। অতিমারি পরিস্থিতিতে এই সত্যিটা আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। করোনার একটি ভ্যারিয়েন্টের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার এক নতুন ভ্যারিয়েন্টের আবির্ভাব হচ্ছে কয়েক মাসের মধ্যেই।

করোনার বিবর্তন

এর মধ্যে কিছু ভ্যারিয়েন্ট আবার একজনের দেহ থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী হয়েছে। শেষ পর্যন্ত যে ভ্যারিয়েন্টগুলি তুলনামূলক শ্লথ, সেগুলিকে ছাপিয়ে করোনার মূল ভ্যারিয়েন্ট হয়ে উঠেছে এগুলিই। এই দ্রুত সংক্রমণের ক্ষমতা স্পাইক প্রোটিনের মিউটেশনের জন্য হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই স্পাইক প্রোটিনগুলি হল ভাইরাসের পৃষ্ঠদেশে মাশরুম-আকৃতির গঠনগুলি যা এস-২ রিসেপ্টরগুলির সঙ্গে আরও দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ। এস-২ হল ভাইরাস সেলের পৃষ্ঠদেশের রিসেপ্টর।

এই মিউটেশনগুলির কারণেই আলফা ভ্যারিয়েন্ট এবং পরবর্তী সময়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ ছড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও একই জিনিস ঘটবে। অতীতে যেভাবে আলফা বা ডেল্টা করোনার প্রধান ভ্যারিয়েন্ট ছিল, ঠিক সেই ভাবেই ওমিক্রনও করোনার প্রধান ভ্যারিয়েন্ট হয়ে উঠবে।

কোনও ভাইরাসই অবশ্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বিবর্তিত হতে পারে না। এদিকে এরই মধ্যে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওমিক্রন কি সংক্রমণের দিক থেকে শিখরে পৌঁছে গিয়েছে? এমনটা অনুমান করে নেওয়ার জন্য এখনই আমাদের কাছে কোনও প্রকট কারণ নেই। তবে ওমিক্রন হল এমন এক ভ্যারিয়েন্ট যা সবথেকে বেশি সংক্রমণ ঘটতে পারে। গবেষকরা অনুমান করছেন, সম্ভবত ওমিক্রনে এর থেকে আর বেশি কিছু হবে না, কারণ এটির জেনেটিক সম্ভাবনা সীমিত।

ওমিক্রনে আক্রান্তদের মৃত্যুর আশঙ্কা কম

যেকোনো ভাইরাসে সংক্রমণের পর, ইমিউন সিস্টেম অ্যান্টিবডি তৈরি করে। ভাইরাসকে নিউট্রাল করার জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি হয় এবং ঘাতক টি-সেল যা সংক্রমিত কোষগুলিকে ধ্বংস করে। তাহলে এই ভাইরাসের সবচেয়ে সম্ভাব্য ভবিষ্যত কী? যে মিউটেশনগুলি এর সংক্রমণের ক্ষমতাকে বাড়ায়, তাতে আক্রান্তদের মৃত্যুর আশঙ্কা খুব বেশি বাড়ায় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যথেষ্ট পরিবর্তিত হয়ে ইমিউন সিস্টেমকে ফাঁকি দিয়ে আবারও সংক্রমণ ঘটতে পারে, ফলে পুনরায় সংক্রমণের ঢেউ দেখা দিতে পারে।

আমাদের এখন যেমন মরশুম বদলের সময় ফ্লু বা জ্বর হয়, তেমনই হতে পারে কোভিডের সংক্রমণ। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসেরও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একই ধরনের মিউটেশন হতে দেখা গিয়েছে, যা “অ্যান্টিজেনিক ড্রিফ্ট” নামে পরিচিত। এতে পুনরায় সংক্রমণের সম্ভবনা তৈরি হয়। প্রতি বছরের নতুন ফ্লু ভাইরাসগুলি গত বছরের তুলনায় বিবর্তিত হয়। করোনার ক্ষেত্রে এই সম্ভবত সেরা উদাহরণ হয় ২২৯ই, যা সাধারণ সর্দি-কাশি হয়।

তাই ওমিক্রনই করোনার শেষ ভ্যারিয়েন্ট নয়, কিন্তু এটি করোনার শেষ ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন, সম্ভবত এটি পরবর্তী সময়ে একটি সাধারণ ভাইরাসে পরিণত হবে যা সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হবে। রোগটির ভয়াবহতাও খুব সম্ভবত অনেকটা হালকা হতে পারে, যা হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন : Mukul Roy: কোনওদিন তৃণমূলে যোগই দেননি! মুকুল রায়ের দলত্যাগ অভিযোগের শুনানিতে সওয়াল আইনজীবীর