নয়া দিল্লি : শনিবার পাঁচ রাজ্য়ের বিধানসভা ভোটের (Assembly Election 2022) নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে। করোনা মুক্ত নির্বাচন করার জন্য কমিশনের তরফে চ্যালেঞ্জ নেওয়া হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলছেন, ভোট এবং ভোটারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই কমিশনের লক্ষ্য। আর এরই মধ্যে ভোটমুখী দুই রাজ্যের ছোটদের টিকাকরণ প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পরিসংখ্যান মোটেও খুব একটা স্বস্তির নয়। জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন (National Commission for Protection of Child Rights) শনিবার নাগাল্যান্ড, পঞ্জাব, মণিপুর এবং মেঘালয়ের রাজ্য সরকারগুলিকে নোটিস পাঠিয়েছে। নোটিসের বিষয়বস্তু, কিশোর – কিশোরীদের টিকাকরণে প্রাথমিক পারফরম্যান্স খুব একটা ভাল নয়। কমিশন এই রাজ্যগুলিকে অবিলম্বে ছোটদের টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও বাড়ানোর জন্য এবং দ্রুত এই সংক্রান্ত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নাগাল্যান্ড এখনও পর্যন্ত যতজন কিশোর কিশোরী টিকা পাওয়ার যোগ্য, তাদের মধ্যে কেবল ০.৮ শতাংশই করোনা টিকা পেয়েছে। ভোটমুখী পঞ্জাবের পরিস্থিতিও মোটও খুব একটা স্বস্তি দেবে না চরণজিৎ সিং চন্নির সরকারকে। সেখানে ১৫ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সি কিশোর – কিশোরীদের মধ্যে মাত্র ১.৮ শতাংশই করোনার টিকা পেয়েছে।
এদিকে ছোটদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে আজকের গড় প্রায় ২৭ শতাংশ। রাজ্যগুলির মধ্যে সবথেকে ভাল জায়গায় রয়েছে অন্ধ্র প্রদেশ। সেখানে কিশোর কিশোরীদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে প্রায় ৭৪ শতাংশই নিজেদের প্রথম ডোজ় পেয়ে গিয়েছে।
মণিপুরের ৬০ টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট হবে দুই দফায় – ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ৩ মার্চ। অন্যদিকে ১১৭ টি বিধানসভা কেন্দ্রের পঞ্জাবে একটি দফাতেই ভোটগ্রহণ হবে – ১৪ ফেব্রুয়ারি। উল্লেখ্য, ৩ জানুয়ারি থেকে দেশের ১৫ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সি কিশোর, কিশোরীদের জন্য টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিশুদের অধিকার রক্ষা কমিশন উল্লেখিত রাজ্যগুলির হতাশাজনক পরিসংখ্যান দেখে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সংশ্লিষ্ট সরকারগুলিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছোটদের টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় গতি বাড়াতে বলেছে।
রাজ্যগুলিকে পাঠানো শিশুদের অধিকার রক্ষা কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, “কমিশন লক্ষ্য করেছে, অন্যান্য রাজ্যে কিশোর-কিশোরীদের টিকাকরণ এবং জাতীয় পর্যায়ের তথ্যের তুলনায়, আপনার রাজ্য দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বয়স-গোষ্ঠীকে টিকা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেনি। এই ঘটনা তাদের জীবনকে একটি বিশাল ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। এই বিষয়ে, কমিশন আপনাদের দ্রুত কিশোর, কিশোরীদের জন্য টিকার সংখ্যা বাড়ানোর দিকে অবিলম্বে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছে।”