Rajpur Sonarpur Municipality Elections 2022: টিকিট পাননি, দল থেকে নির্দল হিসাবে লড়ার সিদ্ধান্ত! ফের রাজপুর-সোনারপুরে অসন্তোষের আঁচ

Muncipality Elections 2022: টিকিট না পেয়ে দলত্যাগ করলেন রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি উত্তম দাস।

Rajpur Sonarpur Municipality Elections 2022: টিকিট পাননি, দল থেকে নির্দল হিসাবে লড়ার সিদ্ধান্ত! ফের রাজপুর-সোনারপুরে অসন্তোষের আঁচ
বিক্ষুব্ধ নেতা উত্তম দাস (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 07, 2022 | 9:54 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  ফের রাজপুর সোনারপুর পুরসভায় অসন্তোষের আঁচ। টিকিট না পেয়ে দলত্যাগ করলেন রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি উত্তম দাস। শুধু দলত্যাগই নয়, এই ওয়ার্ডেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর নাম সভাপতি হিসেবে তাঁকে অন্ধকারে রেখেই প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থী রাজীব পুরোহিত এই ওয়ার্ডের বিগত ৫ বছর ধরে কাউন্সিলর ছিলেন। ওয়ার্ডের কোনও উন্নয়ন তিনি করেননি। উত্তম দাস বলেন, “আমাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল। আমি দাঁড়াইনি। আমার যাঁরা সহকর্মী, তাঁরা বলেছেন, তুমি কোনও দল করতে যাবে না, নির্দল হিসাবে দাঁড়াও। মানুষ যে রায় দেবে, সেটা মেনে নেবে। তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।”

উত্তম দাসের আরও অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যিনি বিজেপিও করেছেন,  তাঁকেই প্রার্থী করেছে দল। তাঁর কথায়, “আমাকে প্রার্থী করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেখলাম যাঁকে প্রার্থী করা হল, তিনি সিপিএমের প্রাক্তন পৌরপিতা। একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপির রামমিছিলেও হেঁটেছেন ওঁ। করোনা, অতিমারি পরিস্থিতিতে তাঁকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। আমফান, ইয়াসের সময়েও পাওয়া যায়নি। এলাকার মানুষই বলছে, দল টিকিট দেয়নি, তাই নির্দল হিসাবে দাঁড়াও। তাই আমার এই সিদ্ধান্ত।”

অভিমানে দলের কর্মীদের নিয়েই রবিবার দল ছাড়লেন তিনি। বিষয়টিকে গুরুত্বই দিতে রাজি নন এই ওয়ার্ডের বামপ্রার্থী। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, এই ওয়ার্ড বামদের ছিল, বামেদেরই থাকবে। অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী রাজীব পুরোহিত বলেন, “সভাপতি নিজেই দলবিরোধী কাজ করছেন। সাধারণ তৃণমূল কর্মীরা তাঁর সঙ্গে আছেন।” এই ওয়ার্ডে তাঁর জয় নিয়ে তিনি নিশ্চিত।

রাজীব বলেন, “দেখুন দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা মাথা পেতে মেনে নিতে হবে। দলই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমাকে প্রার্থী করার। আর সভাপতি হিসাবে তো তাঁরই প্রথম দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া উচিত। প্রার্থী নিয়ে অনেক জায়গাতেই অসন্তোষ হচ্ছে। অনেকেই করছেন। কিন্তু দলের উর্ধ্বে তো কারোর ব্যক্তিগত মত কার্যকরী হতে পারে না। শুনেছি ওঁ একটা মিছিল করেছেন। নির্দল হিসাবে দাঁড়াচ্ছেন।”

রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর কার্তিক বিশ্বাসও টিকিট না পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নির্দল হিসাবে লড়ছেন তিনিও। তাঁর পরিবর্তে টিকিট দেওয়া হয়েছে মোফাজাল হোসেন ওরফে ভুলুকে। দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর কার্তিক বিশ্বাসকে টিকিট না দেওয়ায় শনিবার বিকেলে সোনারপুর কামাল গাজি রাস্তার মিশন পল্লি মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁর অনুগামীরা।

নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়েছেন কার্তিক। তাঁর কথায়, “নির্দল হিসাবে লড়ব। আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত, আমি জিতব। আমার বাড়িতে লোকজন আসছি। ১৯৯৪ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের সঙ্গী। আমি সমস্ত খারাপ পরিস্থিতিতে থেকেছে। মুকুল রায় এখানে দাঁড়িয়ে বলে গিয়েছিলেন, দেখো তোমাদের পিছনে টাকা ঢালা যাবে না। সংগঠনক একার হাতে সাজাবে। তাই করে এসেছি এতদিন। আমি অপমানিত হয়েছি। এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখুক, আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করে।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা