আসানসোল: ভোট যত এগিয়ে আসছে, চড়ছে উত্তেজনার পারদ। শনিবার সিপিএম প্রার্থীর পোস্টার ছেঁড়া ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল রানিগঞ্জে। গরাই রোডে বাম প্রার্থীর দেওয়াল লিখনে বিকৃতি নিয়েও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
ঠিক কী ঘটেছে?
আসানসোল পুরনিগমের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের রানিগঞ্জ সিয়ারশোল এলাকায় সিপিএম প্রার্থীর পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আঙুল উঠেছে তৃণমূলের দিকে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে সিয়ারশোল এলাকার বেশ কয়েকটি দেওয়ালে সিপিএম প্রার্থী সঞ্জয় প্রামাণিকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ওই সিপিএম প্রার্থীর অভিযোগ, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড শান্তির পরিবেশ রয়েছে। এলাকায় কখনও রাজনৈতিক উত্তেজনার ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু এখন অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। যদিও এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
একইভাবে আবার আসানসোল পুরনিগমের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের চেলিডাঙা সংলগ্ন গরাই রোডে সিপিএইএম প্রার্থীর দেওয়াল লিখনে বিকৃতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেখানকার সিপিএম প্রার্থী প্রকাশ দাসের নাম সাদা চুনকাম করে অর্ধেক মুছে ফেলার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন সিপিএম নেতারা।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা অভিজিৎ ঘটক। তিনি বলেন, “এর সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নন। হতে পারে সিপিএমের অন্তর্কলহের কারনেই এই ঘটনা ঘটেছে। কিংবা হতে পারে বাংলা থেকে মুছে যাওয়া দলটি নিজেদের প্রচারে আনতে এইসব নিজেরাই করছে”।
এদিকে এদিনই ভোটের আগে কম্বল দান করে বিতর্কের মুখে তৃণমূল প্রার্থী অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। অভিযোগ, ভোটারদের মন পেতে তিনি শনিবার দুঃস্থদের কম্বল দান করেন। দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর এই কাজ ইচ্ছাকৃত ভাবে করেছেন বলে দাবি বিজেপির। যদিও এসব গায়েই মাখছেন না ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী। তিনি দাবি করেন, একটি ক্লাব এই কম্বল দানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। তিনি সেখানে শুধু আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন।