শিলিগুড়ি: চার পুর নিগমের নির্বাচনের আর বেশি বাকি নেই। কলকাতার মতো ছবি দেখা গেল উত্তরবঙ্গেও। টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়েই লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা-নেত্রী। কারা সেই পথে ঘাসফুলের পথে কাঁটা হতে পারে, এবার তারই রিপোর্ট দিলেন তৃণমূল দার্জিলিং জেলার সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ।
একাধিক ওয়ার্ডে টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে পড়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতা-নেত্রী। ঘাসফুল শিবির মনে করছে, স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। বিস্তর কাঠখড় পুড়িয়ে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিদায়ী কাউন্সিলর নিখিল সাহানীকে বৃহস্পতিবার মনোনয়ন তুলিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে দল। তবুও আরও চার নির্দল রয়ে গেলেন। তাঁদের দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ জানিয়ে সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে রিপোর্ট দিয়েছেন সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ।
দলীয় সূত্রে খবর, ১ নম্বর ওয়ার্ডে মাসুম কাপুর, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিকাশ সরকার, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে রিনা দাস ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল মল্লিকা দেবনাথের বিরুদ্ধে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি একাধিক ওয়ার্ডে ওয়ার্ড তৃণমূলের যে নেতারা নির্দল প্রার্থীর এজেন্ট হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee: ‘ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুর খবরটাই বড় হল?’ মমতা বললেন, ‘এগোলেও দোষ! পিছলেও দোষ’
পাপিয়া ঘোষ জানান, ‘এ দিন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পার হলো। যাঁরা দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিজেদের প্রার্থীপদ তুলে নিলেন তাঁদের ধন্যবাদ। যাঁরা দলের শৃঙ্খলা না মেনে রয়ে গেলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে। আমরা বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাচ্ছি। মনে রাখবেন দিদির ছবি থাকলে সবাই হিরো। সেই ছবি সরলে সবাই জিরো।’
এ দিকে, আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকা সত্ত্বেও প্রশাসক বোর্ডে থাকা তৃণমূল নেতারা পুরসভায় যাচ্ছেন, কাজকর্ম করছেন, ব্যবহার করছেন পুরসভার গাড়ি। তা নিয়েই বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
বছর দুয়েক আগে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তারপর থেকেই চলছে প্রশাসক বোর্ড। আগামী ২২ জানুয়ারি নির্বাচনের পর নতুন বোর্ড গঠিত হবে। এখানে যাঁরা নির্বাচিত প্রশাসক বোর্ড, তাঁদের মধ্যে থেকে গৌতম দেব, প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রঞ্জন সরকার, তাঁরা এবার প্রার্থীও হয়েছেন। ইতিমধ্যেই বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছেন তাঁরা। কিন্তু জটিলতা অন্য জায়গায়। দেখা যাচ্ছে, আরও কয়েকজন সদস্য রয়েছেন, যাঁরা স্থানীয় তৃণমূল নেতা কিন্তু প্রশাসক বোর্ডের সদস্য, তাঁরা পৌরসভায় যাচ্ছেন, কাজকর্মও করছেন।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁদের দাবি, এই মুহূর্তে চেয়ারম্যান ও অনান্য কয়েকজন প্রার্থী হলেও তাঁরা প্রার্থী হননি। তাঁরা তাই এখনও বোর্ডেই রয়েছেন। তাঁরা দিব্যি পুরসভায় যাচ্ছেন! পুরসভার গাড়ি ব্যবহার করছেন।
আরও পড়ুন : Covid Rules: বিক্রেতা পিছু একজন করে ক্রেতা! নয়া নিয়ম জারি হচ্ছে কলকাতার বাজারে