নয়া দিল্লি: মাস ঘুরলেই উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। দেশের সর্ববৃহৎ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের দিকে নজর রয়েছে সকলের। এবারের উত্তর প্রদেশ নির্বাচন বিজেপির কাছে ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই। নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ যোগী রাজ্যে প্রথম দফার ভোট। ভোটের কথা মাথায় রেখেই বুধবার ৩০ জন তারকা প্রচারকের নামের তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। তালিকায় থাকা বিজেপি নেতৃত্বই মানুষের কাছে বিজেপিকে ভোট জেতানোর আবেদন করবেন। জানা গিয়েছে, বিজেপির প্রকাশিত তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গড়করি, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিজেপির তারকা সাংসদ হেমা মালিনীর নাম রয়েছে।
লখিমপুর খেরি কাণ্ডে ছেলের নাম জড়ানোয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র তেনির নাম প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অক্টোবরের ৩ তারিখে লখিমপুরে গাড়ি চাপা দিয়ে ৮ জনকে হত্যা করার ঘটনায় মন্ত্রী পুত্র অজয় মিশ্রের নাম জড়ায়। সেই ঘটনায় জেল হেফাজতে রয়েছে মন্ত্রী পুত্র। বিতর্কের কারণে তাঁকে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজই বিজেপিতে যোগ দিলেন যাদব পরিবারের ছোট বৌমা অপর্ণা যাদব। বিধানসভা নির্বাচনের আগে খোদ যাদব পরিবারে ভাঙন ধরিয়েছে বিজেপি। যদিও অপর্ণা যাদব দল বদল করতে পারেন বলে অনেক দিন ধরেই জল্পনা ছিল। তবে, ভোটের আগে এই দলবদল নির্বাচনে প্রভাব ফেলার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। রাজনীতিতে অপর্ণার অভিজ্ঞতা খুব বেশি না হলেও, একাধিক ক্ষেত্রে তিনি পারদর্শী। সমাজসেবার সঙ্গেও যুক্ত যাদব পরিবারের পুত্রবধূ।
এবারের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। জাতীয় রাজনীতিতে কথিত আছে ‘দিল্লির রাস্তা উত্তর প্রদেশ হয়ে যায়’। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে এবারের নির্বাচন বিজেপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে বিজেপি জিতলে ২০২৪ সালের লোকসভার লড়াইয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে যাবে বিজেপি। অন্য দিকে নির্বাচনে পরাজিত হলে বিরোধীরা বিজেপিকে হারাতে নতুন অস্ত্র হাতে পাবে। আরও একটি বিষয় গুরুত্তপূর্ণ। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর প্রদেশের বারানসি থেকে নির্বাচিত সাংসদ। তাই রাজ্যের ভোটে প্রধানমন্ত্রীর বাড়তি দায়িত্ব থেকেই যায়। নির্বাচনের বিজেপি পরাজিত হলে , লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিতে ধাক্কা লাগবে, যা বিজেপির জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। এবারের নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের মানুষ কোন দিকে রায় দেয় তার উত্তর মিলবে আগামী ১০ মার্চ।
আরও পড়ুন : Aparna Yadav joins BJP: যাদব পরিবারে বড় ধাক্কা! বিজেপিতে যোগ দিলেন মুলায়মের পুত্রবধূ