ঝাঁসি: বছরর ঘুরলেই বহুল চর্চিত উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। কথিত আছে দেশের সর্ববৃহৎ রাজ্যে যারা ভাল ফল করে তারাই দিল্লি লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে যায়। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এই নির্বাচন বিজেপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধারে ভারে বিজেপি কিছুটা এগিয়ে থাকলেও জমি ছাড়তে নারাজ উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। শুক্রবার রাজ্যের শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন অখিলেশ। তাঁর দাবি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের জনতা ‘মিথ্যা প্রতিশ্রুতির’ বিজেপি সরকারকে প্রত্যাখ্যান করবে। তিনি বলেন, “বুন্দেলখণ্ডের সব দরজা এবার বিজেপির জন্য বন্ধ। মানুষ আর বিজেপির মিথ্যা প্রতিশ্রুতিকে বিশ্বাস করেনা। জনগণই নিশ্চিত করবে বিজেপি যেন আর ক্ষমতায় না আসে। বিধানসভা নির্বাচনে মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব ও কৃষকদের আয় হ্রাসই প্রধান ইস্যু।”
এদিনে ঝাঁসিতে অখিলেশ অভিযোগ করেন খুনের রাজনীতিতেই বিশ্বাসী বিজেপি। নৃশংসতা ও অত্যাচারে তারা ব্রিটিশ শাসনকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন। লখিমপুরর খেরি হিংসার প্রসঙ্গ টেনে অখিলেশ বলেন, “সরকারি নীতির বিরোধিতা করা জন্য গাড়ির চাকার নিচে পিষে কৃষকদের মেরে ফেলা হল। এই নৃশংস ঘটনা নিয়ে কোনও উপযুক্ত পদক্ষেপও হলনা। ‘খুন করে রাজত্ব কর’ এই নীতিতেই বিশ্বাসী বিজেপি।” মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও নিশানা করেন অখিলেশ, তিনি বলেন, “ভুয়ো এনকাউন্টার করে মানুষ মেরে ফেলা হয়েছে। একাধিক নোটিশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। যে মুখ্যমন্ত্রী সরকারে আসার পর নিজের নামে থাকা মামলা প্রত্যাহার করেন, তাঁর থেকে এর বেশি আর কী আশা করা যেতে পারে।”
এদিন কংগ্রেসকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। “এই নির্বাচনে কংগ্রেস কোনও প্রতিযোগিতাতেই নেই। শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের জন্য তাঁরা এখানে রয়েছেন। নির্বাচনের কংগ্রেসের আসন সংখ্যা শূন্য হওয়ার সম্ভবনা খুবই প্রবল।” তিনি আরও বলেন, “এটা উত্তর প্রদেশের সাধারণ মানুষের নির্বাচন যারা বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। তাই বিকল্প হিসেবে মানুষের সামনে শুধু সমাজবাদী পার্টিই রয়েছে। কংগ্রসকে স্পষ্ট করে বলতে আদৌ তারা বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় কিনা। যাবতীয় নীতি ও প্রকল্প দেখে আমাদের মনে হয়েছে, বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।”
উল্লেখ্য, আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে, উত্তর প্রদেশে বিজেপির সঙ্গে মূল লড়াই অখিলেশের সমাজবাদী পার্টির। তাই বারবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহৃ, রাজ্যে গিয়ে অখিলেশকেই নিশানা করছেন। আগের সমাজবাদী সরকারকে কটাক্ষ করার কোনও সুযোগ ছাড়ছেন না প্রধানমন্ত্রী। পরিবার তন্ত্র নিয়েও নাম না করে অখিলেশকে কটাক্ষ করছেন মোদী সহ বিজেপি নেতারা। ছোট দল গুলিকে সঙ্গে নিয়ে অখিলেশ বিজেপিকে আদৌ ধাক্কা দিতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন Akhilesh on congress: বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস শূন্য হয়ে যাবে, দাবি অখিলেশের