লখনউ: যোগী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ভীম সেনার হাত ধরতে চাইছিলেন সমাজবাদী পার্টি(Samajwadi Party)-র নেতা অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে আজ, শনিবারই চন্দ্র শেখর আজাদের নেতৃত্ব গঠিত আজাদ সমাজ পার্টি (Azad Samaj Party)-র সঙ্গে জোট ঘোষণা করতে পারে সমাজবাদী পার্টি, এমনটাই জানা গিয়েছিল। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ যৌথ সাংবাদিক বৈঠক হওয়ার কথাও ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জোট থেকে সরে দাঁড়ালেন ভীম সেনার প্রধান চন্দ্র শেখর আজাদ ওরফে রাবণ। এদিন সকালেই তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে কোনও জোট বাঁধছেন না তিনি।
শনিবার সকালেই ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্র শেখর আজাদ জানান,সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধছে না তাঁর দল আজাদ সমাজ পার্টি। তিনি বলেন, “বহুজন সমাজকে আমি একজোট করে রেখেছিলাম এবং বিগত ৬ মাস ধরে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করছিলাম। আমি ওনার (অখিলেশ) উপরই জোটের দায়িত্ব ছেড়েছিলাম কিন্তু আমায় ফোন না করে উনি অপমান করেছেন।”
নিজের দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, “আমার সমর্থকরা ভয় পেয়েছিলেন যে তাদের নেতা হয়তো সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেবেন। অখিলেশজীর দলিতদের কোনও প্রয়োজন নেই।” চন্দ্রশেখর আজাদ দাবি করেন, সামাজিক ন্যায়বিচার সম্পর্কে বোঝেন না অখিলেশ যাদব, দলিত সম্পর্কিত বিষয়েও তিনি চুপ থেকেছেন।
চন্দ্রশেখর আজাদ জানান, বিজেপিকে থামাতেই তিনি বহুজন সমাজ পার্টি ও সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে হাত মেলানোর চেষ্টা করেছিলেন। অখিলেশ যাদবকে তিনি বড় দাদা বলে গণ্য করেছিলেন। জোট তৈরি হওয়ার আগেই তা ভেঙে যাওয়ায়, কিছুটা দুঃখ থাকলেও লড়াই জারি থাকবে বলেই জানান আজাদ। তিনি বলেন, “সমাজিক ন্যায় বিচারের জন্য আমার লড়াই জারি থাকবে। হয় আমি বিরোধীদের একজোট করব, নাহলে একাই লড়ব।”
যদিও সকাল অবধি এই জোট নিয়ে আত্মবিশ্বাসীই ছিলেন চন্দ্রশেখর। তিনি শনিবার সকালেও ইন্ডিয়া টুডে সংবাদমাধ্য়মকে জানিয়েছিলেন যে জোট নিশ্চিত। সকাল ১০টায় সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জোটের সমস্ত শর্ত সম্পর্কে জানাবেন।
চন্দ্রশেখর আজাদের সঙ্গে যদি সমাজবাদী পার্টি জোট বাঁধত, তবে আখেরে বেশি লাভ অখিলেশ যাদবেরই হত, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। কারণ, উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল দলিত ভোট। এতদিন মূলত মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টিই দলিত ভোটের একটা বড় অংশ পেত। কিন্তু এবারের নির্বাচনে, এখনও অবধি পর্দার আড়ালেই রয়েছেন মায়াবতী। তার দল বহুজন সমাজ পার্টিও খুব একটা সক্রিয় নয় নির্বাচনী প্রচারে। অন্যদিকে, দলিত নেতা হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন চন্দ্রশেখর। তাঁর দলের সঙ্গে জোট বাঁধলে দলিত ভোটগুলি সপার ঝুলিতেই আসত।