নয়া দিল্লি: বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছে গিয়েছে, এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনা আরও তীব্র হল একটি টুইটে। টুইটটি যিনি করেছেন তিনি পিলভিটের বিজেপি সাংসদ বরণ গান্ধী (Varun Gandhi)। শুক্রবার একটি টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, বেকারত্ব দেশের সবথেকে বড় সমস্যা হিসেবে উঠে এসেছে এবং এই সমস্যাকে এড়িয়ে যাওয়া আগুনকে তুলো চাপা দেওয়ার সমান। টুইটে তিনি বিবিসির একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। ভিডিয়োতে যে চাকরিপ্রার্থী চাকরি ও নিয়োগের দাবিতে সরব হচ্ছেন, তিনি নিজের মন্তব্যে বারবার বিজেপি সরকারকেই কটাক্ষ করছেন। বরুণ গান্ধী টুইটার থেকে সেই ভিডিয়ো শেয়ার করায় জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই বরুণরে বিজেপির মতানৈক্য নিয়ে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। শেষবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দিল্লি গিয়েছিলেন, তখন শোনা গিয়েছিল মমতার হাত থেকেই তৃণমূলের পতাকা তুলে নিতেন পারেন এই বিজেপি সাংসদ। কিন্তু সেই জল্পনা সত্যি হয়নি।
বেশ কিছুদনি ধরেই বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারে বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে ইন্দিরা গান্ধীর পৌত্রকে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারে অর্থনীতি ও কৃষি নীতিনিয়ে বারবারই প্রকাশ্যেই সরব হয়েছে বিজেপি সাংসদ। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কে অবনতির কারণে সম্প্রতি উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের তারক প্রচারকের তালিকা থেকে বরুণ ও তাঁর মা অপর সাংসদ মানেকা গান্ধীর নাম বাদ দিয়ে দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। গতকাল বরুণের শেয়ার করা এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসাপ পর তার দলত্যাগের সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অনেকের মতে এখনই দলত্যাগের মতো সাহসী সিদ্ধান্তের পথে নাও হাঁটতে পারেন বরুণ। সামনেই উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন, নির্বাচনের ফল দেখার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারেন গান্ধী পরিবারের এই সদস্য।
বেশ কিছুদিন ধরেই রেলে নিয়োগকে কেন্দ্র করে ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল বিহার। বিহারের গয়া সহ বিভিন্ন রেল স্টেশনেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। এমনকি অনেক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় ছাত্রদের। বরুণের শেয়ার করা এই ভিডিয়োতে নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারের প্রতি ছাত্রদের ক্ষোভই ব্যক্ত হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন এই ভিডিয়ো শেয়ার করার মাধ্যমে নিয়োগ নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনকেই পরোক্ষে সমর্থন করলেন বরুণ গান্ধী। আগামী দিনে বিজেপির সঙ্গ বরুণ ও মানেকা গান্ধীর সম্পর্ক কোন দিকে যায়, তাঁরা বিজেপি ত্যাগ করে অন্য কোনও দলে যোগদান করেন কিনা সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন : Dilip Ghosh: ‘দিলীপ ঘোষকে দেখলে লোক এমনিই ভিড় করে, আমি পিছানোর মানুষ নই’, পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা