লখনউ: নির্বাচনের মুখেই বড়সড় ভাঙন ধরেছে বিজেপি(BJP)তে। একের পর এক মন্ত্রী-বিধায়করা দল ছাড়ছেন। এবার বিজেপির জোটসঙ্গী আপনা দলের বিধায়ক চৌধুরী অমর সিং(Choudhury Amar singh)-ও দল ছাড়লেন। এই নিয়ে তিনদিনে ১১ জন বিধায়ক যোগী সরকারের কাছে ইস্তফা জমা দিলেন। এদিকে, একের পর এক বিজেপি নেতা ইস্তফা দেওয়ায় লড়াই শুরুর আগেই সুবিধা পাচ্ছে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টি(Samajwadi Party)।
বিজেপি জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসা ও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার কথা ঘোষণার পরই সংবাদসংস্থা এএনআই-কে চৌধুরী অমর সিং বলেন, “এই সরকার মিথ্যাবাদী। এখানে কোনও উন্নয়ন হয়নি। আমি আজ অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করেছি। আমি ওনার দলেই যোগ দেব। কিছুদিন পর আরও লোকজন যোগ দেবে।” রাজ্য সরকারকে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন উত্তর প্রদেশ সহ ৫ রাজ্যে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে। এরপর মঙ্গলবার থেকেই যোগীরাজ্যে শুরু হয় ইস্তফার পালা। শ্রমমন্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্য্যের হাত ধরে সূচনা হয় তাঁর। বিজেপি ছাড়ার ঘোষণা করে তিনি জানান, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিতে যোগদান করবেন।গতকালই দল থেকে ইস্তফা দেন আয়ুশমন্ত্রী ধর্মসিং সাইনি ও দারা সিং চৌহান। এছাড়া বিজেপি বিধায়ক অবতার সিং ভাদানাও বিজেপি ছেড়ে রাষ্ট্রীয় লোক দলে যোগদান করার কথা জানান। স্বামী প্রসাদ মৌর্য্যকে সমর্থন দেখিয়ে আরও তিন বিধায়কও দল ছেড়েছেন, তারাও সমাজবাদী পার্টিতেই যোগদান করতে পারেন। বিনয় শাক্য, মুকেশ ভর্মা ও বালা অবস্তিও বিজেপি ছেড়েছেন। আজ সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিতে পারেন একাধিক বিধায়ক।
নির্বাচনের মুখেই যে তিন মন্ত্রী বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, সকলেই জনজাতি/উপজাতি সম্প্রদায়ের। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সরকার তাদের উপেক্ষা করে আসছে। গতকালই ধর্মসিং সাইনি বলেন, “আমি দেড় বছর আগেই ঠিক করে নিয়েছিলাম যে ইস্তফা দেব। যখন ১৪০ জন বিধায়ক সরকারের বিরুদ্ধেই ধর্ণা দিয়েছিল খারাপ ব্যবহারের জন্য, সেই সময়ই স্থির করেছিলাম। কিন্তু তখন তাদের কণ্ঠকে অবদমিত করে দেওয়া হয়। তখনই সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে এর জবাব দেওয়া হবেই। আমরা কেবল সঠিক সময়ের অপেক্ষা করছিলাম। সেই কারণেই প্রতিদিন একজন করে মন্ত্রী ইস্তফা দিচ্ছেন। ২০ তারিখ অবধি এটাই চলবে।”
স্বামী প্রসাদ মৌর্য্য, যিনি সদ্য অখিলেশ যাদবের হাত ধরে সমাজবাদী পার্টিতে নাম লিখিয়েছেন, তিনিও দাবি করেছেন যে তিনি যে দলেই যান, সেই দল নির্বাচনে জয়ী হয়। তিনি প্রথমে মায়াবতীর দলে ছিলেন, পরে বিজেপিতে, তাই দুটি দলই বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। এবার সমাজবাদী পার্টিও সেই ধারা বজায় রাখবে।