UP Assembly Election 2022: প্রার্থী পছন্দ না হলেই ‘নোটা’! অতীতের নির্বাচনে এমন ইতিহাস রয়েছে যোগীরাজ্যে

NOTA in Uttar Pradesh: নোটায় ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে তালিকায় শীর্ষ রয়েছে সোনভদ্র। সেখানে ২১ হাজার ১১৮ টি ভোট পড়েছিল নোটায়।

UP Assembly Election 2022: প্রার্থী পছন্দ না হলেই 'নোটা'! অতীতের নির্বাচনে এমন ইতিহাস রয়েছে যোগীরাজ্যে
আগামীকাল ভোট গণনা (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 29, 2022 | 5:53 PM

লখনউ: উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন (Uttar Pradesh Assembly Election 2022) যত এগিয়ে আসছে, মানুষের মধ্যে উৎসাহও তত বাড়ছে। রাজ্যের ৪০৩টি বিধানসভার মানুষ নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন। উত্তর প্রদেশের ভোটারদের মধ্যে অতীতের নির্বাচন বার বার দেখা গিয়েছে নোটা বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে এসেছে। উদাহরণ হিসেবে ২০১৭ সালে বাহরাইচ জেলার মাতেরা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সপার ইয়াসার শাহ বিজেপির অরুণবীর সিংকে পরাজিত করেছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে ১ হাজার ৫৯৫ টি ভোটে জিতেছিলেন সপা প্রার্থী। তবে, নোটায় ভোট পড়েছিল ২ হাজার ৭১৭ টি। এমন উদাহরণ আরও রয়েছে। গতবারের ভোটে মৌ জেলার মহম্মদবাদ গোহনা বিধানসভা কেন্দ্রে, বিজেপির শ্রীরাম সোনকর মাত্র ৫৩৮ ভোটে বিএসপি-র রাজেন্দ্রকে পরাজিত করেছিলেন। তবে এখানেও নোটায় ভোট পড়েছিল ১ হাজার ৯৪৫ টি। একইরকমভাবে, শ্রাবস্তি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির রাম ফেরান সপা প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন। মাত্র ৪৪৫ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। সেক্ষেত্রেও নোটায় ভোট পড়েছিল ৪ হাজার ২৮৯ টি ভোট পড়েছিল। এসব ভোট প্রার্থীদের মধ্যে ভাগভাগি হলে ফলাফল অন্যরকমও হতে পারত। শুধু বিধানসভা নির্বাচনই নয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও একই ছবি দেখা গিয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের সময়, সোনভদ্র এবং বুন্দেলখণ্ডে সর্বাধিক সংখ্যক লোক নোটা বোতাম টিপেছিলেন। সেখানে ২৮ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নোটা ব্যবহার করেছেন।

গত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনেও নোটায় ভোট পড়েছিল অনেক

নোটায় ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে তালিকায় শীর্ষ রয়েছে সোনভদ্র। সেখানে ২১ হাজার ১১৮ টি ভোট পড়েছিল নোটায়। এরপরেই ছিল বুন্দেলখণ্ডের একাধিক এলাকা – বান্দা জেলায় ১৯ হাজার ২৫০ টি ভোট, ঝাঁসিতে ১৮ হাজার ২৩৯ টি ভোট, মির্জাপুরে ১৫ হাজার ৩৫৩ টি ভোট এবং হামিরপুরে ১৫ হাজার ১৫৫ টি ভোট নোটায় পড়েছিল। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা, সোনভদ্রে নোটা বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ ছিল – কানহার খাল প্রকল্পের জন্য ১১টি গ্রাম ডুবে যাবে। এবার বর্তমান পরিস্থিতিতে যোগীর শাসনকালে সোনভদ্রের মানুষের মনের ক্ষোভ প্রশমিত হয়েছে কিনা সেই দিকেই নজর থাকছে সকলের।

নোটার উপর জনগণের আস্থা অনেকটা কমেছে

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে দেশে প্রথমবার ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং দিল্লির নির্বাচনে নোটা ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রথম দিকে সেই সময় আমজনতা মনে করেছিলেন, এটা একটা লম্বা রেসের ঘোড়া হতে চলেছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল, নোটা ভোট গণনা করা হবে। তবে এই ভোট বাতিল ভোটের ক্যাটাগরিতে গণ্য হবে। এরপর থেকেই নোটার ব্যবহার অনেকটা কমে গিয়েছে। বর্তমানে, নোটার জোর এতটাই কমে গিয়েছে যে ২০১৪ সালে ১.০৮ শতাংশ ভোট নোটায় পড়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশে ভোটারদের মধ্যে মাত্র ১.০৪ শতাংশ ভোটার নোটা বোতামে চাপ দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন : UP Assembly election: অখিলেশ যাদব ‘নির্লজ্জ’, কেন এমন বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ?