লখনউ: যোগীর বুলডোজারে গুড়িয়ে গিয়েছে বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি থেকে শুরু করে কংগ্রেস, বিএসপির মতো দল। ৩৭ বছরে এই প্রথমবার উত্তর প্রদেশে পরপর দুইবার কোনও রাজনৈতিক দল রাজ্যের ক্ষমতায় এল। নির্বাচনের আগে থেকেই স্পষ্ট ছিল, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী যোগী আদিত্য়নাথই। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের তিনদিন পর আজ, রবিবার দিল্লিতে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন যোগী আদিত্যনাথ। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনা করা করেই তিনি নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের বাছাই করবেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালেই যোগী আদিত্যনাথ দিল্লিতে পৌঁছবেন। তাঁরসঙ্গে রাজ্য সভাপতি রতন দেব সিং, মন্ত্রী সুনীল বনশল ও রাধামোহন সিংও যাবেন। আজকের বৈঠকে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিএল সন্তোষও উপস্থিত থাকবেন। ওই বৈঠকেই ঠিক করা হবে দ্বিতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কবে শপথগ্রহণ করবেন যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে দলের সমস্ত শীর্ষ নেতৃত্বরাি উপস্থিত থাকবেন।
সূত্রের খবর, এবার বিজেপি মন্ত্রিসভায় বেশকিছু রদবদল আনতে চলেছে। জায়গা দেওয়া হতে পারে নতুন কয়েকটি মুখকে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেও নতুন কাউকেই বাছাই করা হতে পারে। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে উপমুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য সম্ভাব্য মন্ত্রীদের যে নাম রয়েছে, তা তাদের যোগ্যতা, জাত ও রাজ্যে কী সমীকরণ রয়েছে, তার উপর নির্ভর করেই বাছাই করা হয়েছে। আজ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সেই তালিকা জমা দেওয়া হবে। এরপরই মন্ত্রীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
শোনা যাচ্ছে, উপমুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বেশ কয়েকজনের নাম চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র দেব সিং, বেবি রানি মৌর্য্য, ব্রীজেশ পাঠক ও কেশব প্রসাদ মৌর্যের নাম রয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনে সিরাথু থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন কেশব প্রসাদ মৌর্য্য। নির্বাচনে তিনি হেরে গেলেও, ওবিসি সম্প্রদায়ের অন্যতম মুখ হওয়ায় তাঁকে হাতে রাখতে চায় বিজেপি। এছাড়া কাজের দিক থেকেও তাঁর রিপোর্টকার্ড যথেষ্ট ভাল বলেই জানা গিয়েছে। সেই কারণে তাঁকে ফের একবার উপমুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে।
অন্যদিকে, বেবি রানি মৌর্য্য এর আগে উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন। উত্তর প্রদেশের যাটভ সমাজও তিনি পরিচিত মুখ। ব্রীজেশ পাঠক ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের, পাশাপাশি তিনি আইনমন্ত্রীও ছিলেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি স্বতন্দ্র দেব সিং আবার কুর্মি নেতা। এবার ব্রাহ্মণ ভোট ধরে রাখতে নাকি অন্যান্য সম্প্রদায়গুলির কথা মাথায় রেখে নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া হয়, তাই-ই এখন দেখার।
আরও পড়ুন: CWC Meeting: ‘ভুল’ শোধরাতে আজই ইস্তফা দেবেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা ও সনিয়া? গুঞ্জন দলের অন্দরেই