Rahul Gandhi in Uttarakhand: ‘ওনার ইডি-সিবিআইকে ভয় পাই না’, বিজেপিকে ‘চোরের দল’ বলে কটাক্ষ রাহুলের

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Feb 11, 2022 | 8:30 AM

Rahul Gandhi in Uttarakhand: রাহুলের দাবি, কেন্দ্র বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্য়াহার করতো বাধ্য হয়েছে কেবলমাত্র কৃষক আন্দোলন ও কংগ্রেসের চাপের মুখে পড়ে। "কংগ্রেস একাই মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে", এমনটাই বলেন কংগ্রেস নেতা। 

Follow Us

নয়া দিল্লি: বাজেচট অধিবেশনের প্রথম ভাগেই চরমে উঠেছে কেন্দ্র বনাম বিরোধী তরজা। রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)-র “দুই ভারত” মন্তব্য নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল, তা নিয়ে চলতি সপ্তাহেই সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বলেছিলেন যে, “যিনি সংসদে আসেন না, তাঁকে কী জবাব দেব?” এবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়েও কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে ছাড়লেন না কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার তিনি নির্বাচনী প্রচার সারতে উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) গিয়েছিলেন, সেখানেই তিনি জানান যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা তার তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে তিনি ভয় পান না। বরং প্রধানমন্ত্রী ঔদ্ধত্যকে মজাদারই মনে হয়।

বিজেপিকে আক্রমণ:

উত্তরাখণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েই রাজ্যের শাসকদল বিজেপিকে আক্রমণ করেন রাহুল। ছয়মাসে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, “বিজেপি বারেবারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বদল করছে, কারণ জানে এরা সকলেই দুর্নীতিগ্রস্থ। তাই একজনকে সরিয়ে আরেকজন দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাকে মুখ্য়মন্ত্রী পদে বসাচ্ছে। বিজেপিতে চোরদের লম্বা লাইন রয়েছে, উত্তরাখণ্ডে কেবল এক চোরের বদলে আরেক চোরকে বসানো হচ্ছে।”

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধত বলে কটাক্ষ:

হরিদ্বারের মঙ্গলৌরে একটি জনসভায় রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কেও মুখ খোলেন। তিনি বলেন, “একটি সাক্ষাৎকারে মোদী বলেছেন যে আমি নাকি ওনার কথা শুনি না। একদম ঠিকই বলেছেন। আমি ওনার কথা শুনিনা কারণ আমি ওনাকে বা ওনার সিবিআই ও ইডিকে ভয় পাই না।”

রাহুল আরও বলেন, “উনি ভাবেন, সিবিআই-ইডি দেখিয়ে সবাইকে ভয় দেখাতে পারবেন। আমি ভয় পাই না। বরং আমার হাসি পায়…ওনার এই ঔদ্ধত্য দেখে। যখন উনি বলেন যে ৭০ বছরে দেশে ভাব কিছুই হয়নি, তখনই ওনার এই ঔদ্ধত্য় ফুটে ওঠে।  উনি কি বলতে চান যে ৭০ বছর ধরে দেশ ঘুমিয়ে ছিল এবং উনি আসার পরই জেগে উঠেছে? তাহলে এই সমস্ত রাস্তা কীভাবে তৈরি হল? রেললাইন কীভাবে তৈরি হল? ম্যাজিকের সাহায্য়ে?”

উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেসের লক্ষ্য:

একইসঙ্গে রাহুলের দাবি, কেন্দ্র বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্য়াহার করতো বাধ্য হয়েছে কেবলমাত্র কৃষক আন্দোলন ও কংগ্রেসের চাপের মুখে পড়ে। “কংগ্রেস একাই মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে”, এমনটাই বলেন কংগ্রেস নেতা।

উত্তরাখণ্ডের উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে এনে রাহুল গান্ধী বলেন, “কংগ্রেস উত্তরাখণ্ডের গরিব ও বেকারদের জন্য, তাদের নিয়েই সরকার গঠন করতে চায়। বিজেপির মতো নয়, যেখানে রাজা দিল্লিতে বসে থাকেন।”

“দুই ভারত” মন্তব্যেই অটল থেকে রাহুল বলেন, “ভারত এখনও কয়েকজন বাছাই করা কোটিপতি ও গরিবদের মধ্য়ে বিভক্ত। একদিকে গরিব ও বেকাররা রয়েছেন, অন্যদিকে ধনীরা। নোটবন্দি ও জিএসটির মতো পদক্ষেপ ক্ষুদ্র ও মাঝারি মাপের ব্যবসায়ীদের ধ্বংস করে দিয়েছে। নোটবন্দিতে একটাই লাভ হয়েছে, কালো টাকা সাদা করানো গিয়েছে এবং সেই টাকার উপরই বিজেপি গড়াগড়ি খাচ্ছে।”

নয়া দিল্লি: বাজেচট অধিবেশনের প্রথম ভাগেই চরমে উঠেছে কেন্দ্র বনাম বিরোধী তরজা। রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)-র “দুই ভারত” মন্তব্য নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল, তা নিয়ে চলতি সপ্তাহেই সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বলেছিলেন যে, “যিনি সংসদে আসেন না, তাঁকে কী জবাব দেব?” এবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়েও কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে ছাড়লেন না কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার তিনি নির্বাচনী প্রচার সারতে উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) গিয়েছিলেন, সেখানেই তিনি জানান যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা তার তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে তিনি ভয় পান না। বরং প্রধানমন্ত্রী ঔদ্ধত্যকে মজাদারই মনে হয়।

বিজেপিকে আক্রমণ:

উত্তরাখণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েই রাজ্যের শাসকদল বিজেপিকে আক্রমণ করেন রাহুল। ছয়মাসে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, “বিজেপি বারেবারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বদল করছে, কারণ জানে এরা সকলেই দুর্নীতিগ্রস্থ। তাই একজনকে সরিয়ে আরেকজন দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাকে মুখ্য়মন্ত্রী পদে বসাচ্ছে। বিজেপিতে চোরদের লম্বা লাইন রয়েছে, উত্তরাখণ্ডে কেবল এক চোরের বদলে আরেক চোরকে বসানো হচ্ছে।”

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধত বলে কটাক্ষ:

হরিদ্বারের মঙ্গলৌরে একটি জনসভায় রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কেও মুখ খোলেন। তিনি বলেন, “একটি সাক্ষাৎকারে মোদী বলেছেন যে আমি নাকি ওনার কথা শুনি না। একদম ঠিকই বলেছেন। আমি ওনার কথা শুনিনা কারণ আমি ওনাকে বা ওনার সিবিআই ও ইডিকে ভয় পাই না।”

রাহুল আরও বলেন, “উনি ভাবেন, সিবিআই-ইডি দেখিয়ে সবাইকে ভয় দেখাতে পারবেন। আমি ভয় পাই না। বরং আমার হাসি পায়…ওনার এই ঔদ্ধত্য দেখে। যখন উনি বলেন যে ৭০ বছরে দেশে ভাব কিছুই হয়নি, তখনই ওনার এই ঔদ্ধত্য় ফুটে ওঠে।  উনি কি বলতে চান যে ৭০ বছর ধরে দেশ ঘুমিয়ে ছিল এবং উনি আসার পরই জেগে উঠেছে? তাহলে এই সমস্ত রাস্তা কীভাবে তৈরি হল? রেললাইন কীভাবে তৈরি হল? ম্যাজিকের সাহায্য়ে?”

উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেসের লক্ষ্য:

একইসঙ্গে রাহুলের দাবি, কেন্দ্র বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্য়াহার করতো বাধ্য হয়েছে কেবলমাত্র কৃষক আন্দোলন ও কংগ্রেসের চাপের মুখে পড়ে। “কংগ্রেস একাই মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে”, এমনটাই বলেন কংগ্রেস নেতা।

উত্তরাখণ্ডের উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে এনে রাহুল গান্ধী বলেন, “কংগ্রেস উত্তরাখণ্ডের গরিব ও বেকারদের জন্য, তাদের নিয়েই সরকার গঠন করতে চায়। বিজেপির মতো নয়, যেখানে রাজা দিল্লিতে বসে থাকেন।”

“দুই ভারত” মন্তব্যেই অটল থেকে রাহুল বলেন, “ভারত এখনও কয়েকজন বাছাই করা কোটিপতি ও গরিবদের মধ্য়ে বিভক্ত। একদিকে গরিব ও বেকাররা রয়েছেন, অন্যদিকে ধনীরা। নোটবন্দি ও জিএসটির মতো পদক্ষেপ ক্ষুদ্র ও মাঝারি মাপের ব্যবসায়ীদের ধ্বংস করে দিয়েছে। নোটবন্দিতে একটাই লাভ হয়েছে, কালো টাকা সাদা করানো গিয়েছে এবং সেই টাকার উপরই বিজেপি গড়াগড়ি খাচ্ছে।”

Next Article