পোস্টাল ব্যালটে কারচুপি রুখতে বাড়ি-বাড়ি যাবে আধাসেনা! নির্দেশ কমিশনের
নির্বাচন চলাকালীন ব্যালটে (Postal Ballot) ভোট সংগ্রহের সময়ও এ বার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে (CRPF) সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নজিরবিহীন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
কলকাতা: নিরাপত্তায় কোনও ধরনের ফাঁক রেখে বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন (West Bengal Assembly Election 2021) করাতে নারাজ নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এর আগেও কমিশনের একাধিক পদক্ষেপে সেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। এ বার নজিরবিহীন এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সূত্রের খবর, নির্বাচন চলাকালীন ব্যালটে (Postal Ballot) ভোট সংগ্রহের সময়ও এ বার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে (CRPF) সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কমিশনের এই কড়া সিদ্ধান্তের ফলে প্রকারন্তরে বিরোধীদের অভিযোগই সিলমোহর পেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। দিনকয়েক আগে বিরোধীদের তরফে অভিযোগ তোলা হয় ঠিক এই বিষয়টা নিয়েই। কোভিডের কারণে নির্বাচন কমিশন ৮০ উর্ধ্ব ব্যক্তিদের জন্য বাড়ি থেকে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট সংগ্রহের ব্যবস্থা করেছে। তবে সেই ব্যালট সংগ্রহের কাজে ভোট কর্মীদের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের যাওয়ার কথা ছিল। ঠিক এই বিষয়েই আপত্তি তোলা হয়। যদিও ব্যালটে ভোট সংগ্রহের কাজে ভোট কর্মী, রাজ্য পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি দলীয় প্রতিনিধিরাও থাকতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে। থাকবেন একজন মাইক্রো অবজারভারও। তবে কমিশনের এ দিনের সিদ্ধান্তকে বিরোধীদের দাবিকেই আরও জমি দেবে নিশ্চিতভাবে বলাই যায়।
আরও পড়ুন: কমিশনের চোখে প্রথম দফার সব বুথ স্পর্শকাতর, বাধ্যতামূলক কেন্দ্রীয় বাহিনী
শুধুমাত্র ব্যালট সংগ্রহ নিয়েই কমিশন এতটা কড়া হচ্ছে ভাবলে ভুল হবে। প্রথম দফার নির্বাচনের আগে ৩০ টি বিধানসভা কেন্দ্রের সকল বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করেছে কমিশন। প্রথম দফায় বুথের সংখ্যা ১০ হাজার ৭০০। সেখানে সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দফা নির্বাচনে ঝাড়গ্রামের মতো মাও অধ্যুষিত এলাকায় নিরাপত্তার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করছে কমিশন। ইতিমধ্যেই ৪৯৫ কোম্পানি আধাসেনা রাজ্যে এসে পৌঁছে গিয়েছে বলে খবর। এই সংখ্যক বাহিনী দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী কমিশন।
আরও পড়ুন: ভোটের প্রচারে কি ব্যবহার করা যাবে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান? পত্রপাঠ খারিজ শীর্ষ আদালতের