AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

শীতলকুচি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, সায়ন্তন বসুর কাছে জবাব তলব কমিশনের

এই নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষের পর এ বার সায়ন্তনের কাছে জবাব তলব করা হল। উল্লেখ্য, শীতলকুচি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে ৪৮ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল রাহুল সিনহার উপরও।

শীতলকুচি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, সায়ন্তন বসুর কাছে জবাব তলব কমিশনের
নিজস্ব চিত্র
| Updated on: Apr 15, 2021 | 6:15 PM
Share

নয়া দিল্লি: শীতলকুচি কাণ্ডে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে এ বার বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর কাছে জবাব তলব করল নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর কাছে জবাব তলব করা হয়েছে। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধেও নির্বাচন কমিশন কড়া পদক্ষেপ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষের পর এ বার সায়ন্তনের কাছে জবাব তলব করা হল। উল্লেখ্য, শীতলকুচি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে ৪৮ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল রাহুল সিনহার উপরও।

ঠিক কী বলেছিলেন সায়ন্তন? কমিশনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শীতলকুচি নিয়ে সায়ন্তন সংবাদ মাধ্যমের সামনে এমন কিছু মন্তব্য করেছিলেন যা নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে সায়ন্তনকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমি সায়ন্তন বসু বলে যাচ্ছি, বেশি খেলার চেষ্টা করবেন না। আমরা তাহলে শীতলকুচির খেলা খেলব।”

তিনি আরও বলেন, “ওরা সকালে ১৮ বছরের আনন্দ বর্মণকে মেরে ফেলেছে। প্রথমবারে ভোটার আনন্দ বিজেপির শক্তি প্রমুখের ভাই ছিল। কিন্তু আমাদের বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ওদের চারজনকে স্বর্গের রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। শোলে ছবির একটা সংলাপ ছিল, তোমরা একটা মারলে আমরা চারটে মারব। শীতলকুচি সেটা দেখিয়ে দিয়েছে। আমাদের একটা মারলে আমরা কিন্তু চারটে মারব।”

আরও পড়ুন: বঙ্গে শেষ তিন দফার ভোট কি একসঙ্গে? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাল নির্বাচন কমিশন

বিজেপি নেতার এই মন্তব্যের জন্যই তাঁকে শো-কজ করা হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন একটা বিষয় আবারও স্পষ্ট করে দিতে চেয়েছে, কেউ কোনও ধরনের বিতর্কিত বা উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে তাঁকে রেয়াত করা হবে না। তা যত বড়ই নেতা বা নেত্রী হন না কেন। আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে সবার প্রথম দু’বার জবাব তলব করে ২৪ ঘণ্টার জন্য খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যান করা হয়েছিল। এরপর আরও একাধিক নেতার বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করে কমিশন।

আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে পর্যবেক্ষকদের সংখ্যা, শীতলকুচি থেকে শিক্ষা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের